যেন বিয়ে করাই তার নে’শা। ৫৫ বছরে বিয়ে করেছেন ৪০টি। একের পর এক বিয়ে করতে করতে এখন তিনি পাগ’লপ্রায়। এবার অন্যকে ফাঁ’সা’তে নিজের বাক’প্রতি’বন্ধী মেয়েকে খু’ন করতে গিয়ে ধ’রা পড়েছেন বিয়েপা’গল এই বাবা।
নিজের মেয়েকে ধা’রা’লো অ’স্ত্র দিয়ে আ’ঘা’ত করে খু’ন করতে গিয়ে ধরা পড়া বিয়েপা’গল বাবার নাম আবদুস সোবহান। তিনি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। ঘটনার সময় বাক’প্রতিব’ন্ধী মেয়েকে বাঁ’চাতে আসা দুই প্রতিবে’শীকে কু’পি’য়ে জ’খ’ম করেন তিনি।
রোববার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে আবদুস সোবহানকে গ্রে’ফ’তার করে আদা’লতের মাধ্যমে কা’রা’গা’রে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে প্রতিবেশী আবদুস ছত্তার ও তার ছেলে নান্নার সঙ্গে তু’চ্ছ ঘটনা নিয়ে সোবহানের বি’রো’ধ সৃষ্টি হয়। বিরোধকে কেন্দ্র করে সকালে তাদের মধ্যে কথা’কা’টাকা’টি হয়। একপর্যায়ে সোবহান ধা’রা’লো অ’স্ত্র দিয়ে তার বাকপ্র’তি’বন্ধী মেয়ে রিশাকে খু’ন করে প্রতিপক্ষকে ফাঁ’সা’নোর পরিকল্পনা করেন।
এ সময় রিশাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে প্রতিবেশী ছত্তার ও তার ছেলে না’ন্নাকে কো’পা’তে শুরু করেন তিনি। সোবহানের ধা’রা’লো অ’স্ত্রে’র আ’ঘা’তে নান্নার হাতের এক’টি আ’ঙুল কে’টে বি’চ্ছিন্ন হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা লতিফ বলেন, আবদুস সোবহান এখন পর্যন্ত কতগুলো বিয়ে করেছেন তার সঠিক হিসাব নেই। তবে গ্রামের লোকজন বলছেন ৪০টি বিয়ে করেছেন। একের পর এক বিয়ে করে তিনি এখন পা’গল’প্রায়। এজন্য এসব কর্মকা’ণ্ড ঘটি’য়েছেন।
স্থানীয়রা আ’হ’ত’দের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আঘাত গু’রু’তর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ছত্তার ও তার ছেলে নান্নাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আ’হ’ত প্রতিবন্ধী রিশাকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, অন্য আ’হ’তদের বরিশালে পাঠানো হয়েছে। রিশাকে এখানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পাথরঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, গু’রু’তর আ’হ’তদের বরিশালে পাঠানো হয়েছে এবং রিশাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় গ্রে’ফ’তার আবদুস সোবহানের বি’রু’দ্ধে মা’ম’লা করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কা’রা’গা’রে পাঠানো হয়।