করোনা মহামারীর কারনে গোটা বিশ্বে সোনার দর বাড়তে থাকে গত এপ্রিল মাসের পর থেকেই। রেকর্ড পরিমাণ দর বৃদ্ধি হতে দেখা গিয়েছে এবার বিশ্ব বাজারে। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বাজারেও। সোনার বাজারের এই অস্থির অবস্থা অবশ্য ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে বিশ্ব
বাজারে। গত মাসের শুরুর থেকেই টানা দরপতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সোনার বিশ্ববাজার।শেষ গত (৮ অক্টোবর) প্রতি ভরি ২৪ ক্যারেটের সোনার দর নেমে এসেছে মাত্র ৫১ হাজার ৬২৩ টাকায়। এছাড়া ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হয়েছে ৪৭ হাজার ৩২২ টাকায়। এমন দরপতনের ফলে সোনা ক্রয়ের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ধারনা করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে মূল্য নির্ধারন করে দেয়া হয়েছিল ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার মূল্য ৭৪ হাজার ৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা কিনতে হলে গ্রাহককে গুনতে হত ৭০ হাজার ৮৫৯ টাকা। ১৮ ক্যারেটের সোনা ৬২ হাজার ১১১ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা বিক্রি ৫১ হাজার ৭৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে গত ৫ অক্টোবর আগের দিনের তুলনায় প্রতি আউন্স সোনার মূল্য ১২ দশমিক ৩৪ ডলার বৃদ্ধি পেয়ে মূল্য দাড়ায় ১ হাজার ৯১৩ ডলার। কিন্তু এর পর দিন একই পরিমাণ সোনার মূল্য ৩৭ ডলার কমে দাড়ায় ১ হাজার ৮৭৬ ডলার। ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স মূল্য দাড়ায় ১ হাজার ৮৮৬ ডলার।
এদিকে দেশের বাজারে সোনার চাহিদা আগের তুলনায় বেশ বাড়তে দেখা গিয়েছে। ফলে সোনা আমদানির ক্ষেত্রে নতুন করে ১৯টি কোম্পানিকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। ব্যাবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বর্তমানে সোনার প্রচুর চাহিদা রয়েছে দেশের বাজারে। এখন বাজারে ১৫ থেকে ২০ টন সোনার চাহিদা রয়েছে বলেও জানানো হয় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে।