ভারতের বেসরকারি এয়ারলাইন্স জেট এয়ারওয়েজে এক শিশু জন্ম নিয়েছে। সৌদি আরব থেকে ভারত যাওয়ার পথে শিশুটির জন্ম হয়। ওই বিমান কর্তৃপক্ষ শিশুটির আজীবন বিনামূল্যে আকাশ ভ্রমণের সুবিধা করে দিয়েছে। তবে শিশুটি পৃথিবীতে আসার ব্যাপারটি সহজ ছিল না। বিমান কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, বিমানটি তখন ৩৫ হাজার ফুট উঁচুতে। হঠাৎ করে গর্ভবতী এক নারীর নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রসব ব্যথা শুরু হয়। বিমানে কোনো ডাক্তার না থাকায় একজন ক্রু ও এক যাত্রী নারীটিকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। অবশ্য তারা দুইজনই ছিলেন প্রশিক্ষিত নার্স।
তাদের সাহায্যে প্রায় ৩৫ হাজার ফুট উঁচুতে মধ্য আকাশে জন্ম হয় শিশুটির। জেট এয়ারওয়েজের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি মুম্বাই পৌঁছানোর পর মা ও শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিমান কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছে। সফলভাবে একটি ছেলের শিশুকে পৃথিবীতে আনতে প্রসবকাজে সহায়তার জন্য বিমানের ওই যাত্রী ও কেবিন ক্রুকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছে জেট এয়ারওয়েজ। এর আগে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ৪২ হাজার ফুট উঁচুতে এক শিশুর জন্ম হয়েছিল। প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ এয়ারলাইন্সের নিয়ম অনুযায়ী, গর্ভবতী নারীদের গর্ভধারণের ৩৬ সপ্তাহ হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের বিমানে চড়তে কোনো বাধা নেই। তবে এ ক্ষেত্রে গর্ভবতী নারীদের ডাক্তারের স্বাক্ষরসহ একটি চিঠি দেখাতে হয় যে তাদের গর্ভধারণের কত সপ্তাহ পার হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ছয় বছর বয়সী কিশোরী এক ইউটিউব ‘তারকা’, যার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার তিন কোটিরও বেশি। সম্প্রতি রাজধানী সিউলে সে ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে একটি পাঁচতলা অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৬৭ কোটি ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। চলতি বছরের শুরুতে বোরাম নামের ওই ছয় বছর বয়সী মেয়ে সিউলেরও অভিজাত এলকার গ্যাংনামে বাড়িটি ক্রয় করে। বোরাম ফ্যামিলি কোম্পানি নামে বাড়িটি কেনার কাজ করেন ইউটিউবারের বাবা-মা।
সরকারি রিয়েল এস্টেট নিবন্ধন নথি থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। মার্কিন নিউজ নেটওয়ার্ক সিএনএন বলছে, বোরাম নামে ওই কিশোরীর ইউটিউবারের দুটি জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। টয় রিভিউ করা একটি চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ১৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন অপরটি ভিডিও ব্লগভিত্তিক একটি যার সাবস্ক্রাইবার ১৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন। মোটে তিন কোটিরও বেশি। তার জনপ্রিয় ভিডিওগুলোর মধ্যে একটি ৩৭ কোটি ৭ লাখ মানুষ দেখেছে মানে ভিউ হয়েছে। বোরাম ওই ভিডিওতে প্লাস্টিকেও পুতুল ব্যবহার করে নুডলস রান্না করার দৃশ্য দেখায়। তারপর ক্যামেরার সামনেই সেই পুতুলগুলো গোগ্রাসে নুডলসগুলো সাবাড় করে।
তবে বোরামের কিছু কন্টেট যে মূল্যবোধের প্রচার করে তা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে না মেলায় অনেকে এর সমালোচনাও করেন। ২০১৭ সালে শিশুদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের কাছে দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষদের কাছ থেকে অভিযোগ জমা পড়ে। তাদের দাবি, বোরাম তার এই ভিডিওর মাধ্যমে দেশটির কিশোরদের আবেগীয় এবং নৈতিক উন্নতি সাধনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সংস্থাটির একজন ব্যবস্থাপক সিএনএনকে বলেন, বোরানের ভিডিওতে যেসব বিষয় দেখানো সেগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে তারা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। যেমন বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি করা এবং রাস্তায় একা একাই গাড়ি চালানো ইত্যাদি।
এমন অভিযোগ আসার পর ইউটিউব চ্যানেল থেকে ওইসব ভিডিও নামিয়ে ফেলা হয়। এদিকে সেভ দ্য চিলড্রেন বোরামের ভিডিওগুলো পুলিশের নজরে আনে। এরপর সিউলের পারিবারির আদালত তারা বাবা-মায়ের উদ্দেশে বলেন, তারা যেন তাদের কন্যসন্তানের মানসিক চিকিৎসা করায়। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করার সময় সিএনএন চেষ্টা করলেও বোরামের বাবা-মা এমনকি তার আত্মীয়-স্বজনের কাছেও কোনো মন্তব্য পায়নি। এ ছাড়া ইউটিউব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা গেলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।