Home / News / ২৫ বার সার্জারির পরও হাত থেকে গজিয়ে উঠছে ‘গাছ’, হাসপাতালে গেলেন বৃক্ষমানব…

২৫ বার সার্জারির পরও হাত থেকে গজিয়ে উঠছে ‘গাছ’, হাসপাতালে গেলেন বৃক্ষমানব…

Copy

আড়াই বছরে ২৫ বার অস্ত্র-প্রচার করা হয়েছে বৃক্ষমানবের। তার নাম হল আবুল হোসেন। তার বাড়ি বাংলাদেশে। গত ২০১৬ সাল থেকে তিনি ‘টি ম্যান সিন্ড্রোম’ নামক রোগে আক্রান্ত। এই রোগের ফলে তার হাত পায়ে গজিয়ে উঠেছে গাছের শিকড়ের মতো অংশ। তার হাত পা দেখতে গাছের ছালের মতো। এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।

আবুল হোসনে বাজনদারকে মাঝে মধ্যেই হাসপাতালে গিয়ে অপারেশন করে তার শরীরের অদ্ভুত গাছের মত অংশ গুলি বাদ দিয়ে আসতে হয়। তিন বছর আগে থেকে তার এই অসুস্থতা। বহুবার অস্ত্রপচার করেও কোন লাভ হয়নি। আবার তার মধ্যে দেখা দিয়েছে এই অসুস্থতা।

এই রোগ পৃথিবীতে হাতে গোনা কিছু মানুষের হয়। তার মত আরও ২ জন আছেন সারা পৃথিবীতে যারা এই রোগে আক্রান্ত। তিনি জানিয়েছেন যে তিনি আর বাকি সুস্থ মানুষের মতো বাঁচতে চান। তার মেয়েকে নিজের হাতে কোলে নিতে চান।

কিন্তু তার এই শারীরিক অসুস্থতা তাকে সব কিছুতেই বাধা দেয়। তাই সে স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে চাইলেও পারেনা। তাকে তার হাতে পায়ে প্রায় ৫ কেজি করে ওজন বয়ে বেড়াতে হয়। ডাক্তাররা বলেন যে ২০১৬ সাল থেকে মোট ২৫ বার তার শরীরে অপারেশন করা হয়।

তার চিকিৎসা করা ডাক্তার জানান যে বার বার অপারেশনের পর তার রোগ আসতে আসতে সেরে যেতে শুরু করেছিল। কিন্তু বাজনদার হটাত করে হাসপাতালে আসা বন্ধ করে দেয়। তাই আবার তার মধ্যে পুরনো রোগ দেখা দিতে শুরু করে।

সে যদি নিয়মিত চিকিৎসার মধ্যে থাকে তাহলে তার এই সমস্যা দেখা দেবেনা। সে বহুদিন পর যখন তার মায়ের সঙ্গে হাসপাতালে যায় ততক্ষণে তার হাত পা থেকে গাছের ছাল বেরনো শুরু করে দিয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান যে তার হাত পায়ের চামড়া এক ইঞ্চি করে বেড়ে গেছে।

ডাক্তাররা জানান যে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রায় ৫ থেকে ৬ বার অপারেশন করতে হতে পারে। তার মধ্যে এই অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায় যখন তার মাত্র ১০ বছর
বয়স। সে তার নিজের হাতে কোন কাজই করতে পারতনা। প্রথম দিকে সে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাও শুরু করেছিল, কিন্তু কোন লাভ হয়নি।

Check Also

সুন্দরবনের নদীতে মিলল প্রায় ৭ ফুটের তেলেভোলা মাছ, বিক্রি হল ৪৩ লক্ষ টাকায়।

Copy ওপার বাংলার সুন্দরবনের নদীতে মিলল প্রায় ৭ ফুটের তেলেভোলা মাছ। ৭৮ কেজির ওজনের মাছটি ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *