Home / Education / ১০৫ কিমি সাইকেল চালিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছিলেন পিতা, সেই ছেলের পড়াশোনার খরচ চালাবেন আনন্দ মহিন্দ্রা

১০৫ কিমি সাইকেল চালিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছিলেন পিতা, সেই ছেলের পড়াশোনার খরচ চালাবেন আনন্দ মহিন্দ্রা

সম্প্রতি সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন মধ্যপ্রদেশের বাবা ও ছেলে। ছেলেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যেতে সাইকেলেই ১০৫ কিলোমিটার পাড়ি দেন শ্রমিক বাবা। যা ঘিরে প্রশংসার বন্যা দেশ জুড়ে৷ এবার ঐ পরিবারকে সাহায্যের কথা ঘোষণা করল বিজনেস টাইকুন আনন্দ মহিন্দ্রা (anand Mahindra).

বিহারের ধর জেলার মানওয়ার তহসিলের এক গ্রামের এক পিতা প্রায় ৮৫ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে ছেলেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছে৷ ছেলেটির দশম শ্রেণীর সাপ্লিমেন্টারী পরীক্ষা ছিল। ছেলে আশিসের কথাউ, “বাস চলাচল করছে না তাই আমরা সাইকেল চালিয়ে এসেছি। আমি অফিসার হতে চাই”

জানা যাচ্ছে, শুভরাম সোমবার রাতে ১২ টায় তার যাত্রা শুরু করে। ধরে থাকার ব্যবস্থা না থাকার কারণে, তিনি তাঁর সাথে তিন দিনের খাবার নিয়েছিলেন। টানা সাইকেল চালিয়ে মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঠিক ১৫ মিনিট আগে সকাল ৭ টা ৪৫ মিনিটে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে যায়। জানা যাচ্ছে, তারা ভোর 4 টায় মান্ডু পৌঁছেছিল।

তাদের ১০৫ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই। জেলা কালেক্টর জেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেন যে ঐ পড়ুয়া এবং তার পিতাকে যত শীঘ্র সম্ভব ইতিবাচক সহায়তা প্রদান করে থাকার ব্যবস্থা এবং খাবারের উপযুক্ত ব্যবস্থা করার।

সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঐ পিতা জানিয়েছেন, তিনি একজন শ্রমিক। তিনি চান না তার পুত্রও শ্রমিক হোক। তিনি তার ছেলেকে বড় অফিসার করতে চান৷ সেই লক্ষ্যেই ১০৫ কিমি সাইকেল চালিয়ে নিয়ে এসেছেন পরীক্ষাকেন্দ্রে। তিনি আরো বলেছেন, তার ছেলে পড়াশোনায় খুবই ভালো যদিও লকডাউন এবার পড়াশোনায় ক্ষতি করেছে।

সম্প্রতি এই ঘটনার একটি পেপার কাটিং টুইট করে আনন্দ মহিন্দ্রা জানিয়েছেন, এই রকম পিতামাতাই দেশের অগ্রগতির বাহক। আমাদের সংস্থা এই ছেলেটির পড়াশোনার দ্বায়িত্ব নিতে চায়।

Check Also

প্রকৃতির উল্টো ঘটনা! ব্যাঙ সাপকে ধরে খাচ্ছে! এমন আজব ঘটনা কখনও দেখেছেন

কিছুদিন আগে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়, যেখানে দেখা যাচ্ছিলো যে,হুবহু মানুষের মতো কাজ ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *