









হাসিমুখে ৮০ বছর বয়সী স্বামীর বাড়ি গেলেন ৭০ বছরের নববধূ! – সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজে’লার কৈখালী ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামের বাসিন্দা ইসহাক আলী তরফদার। তাঁর বয়স ৮০ বছর। একই ইউনিয়নের নৈকাটি গ্রামের আনোয়ারা বেগম ওরফে ইলে বেগম। তাঁর বয়স ৭০
বছর। সম্প্রতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নতুনভাবে দাম্পত্য জীবন শুরু করেছেন তারা। রোববার ইস’লামী শরিয়াহ অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আলমগীর হোসেন জানান, উভ’য়ের সম্মতিতে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়েছে। ইসহাক আলী





তরফদারের এটি তৃতীয় ও আনোয়ারা বেগম অরফে ইলে বেগমের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর মোটরসাইকেলে চড়ে লাল বেনারশি শাড়ি পরে হাসিমুখে স্বামীর বাড়িতে গেছেন ইলে বেগম। এলাকার অনেক মানুষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হওয়ার বিষয়ে ইসহাক
আলী তরফদার বলেন, “এটি আমা’র তৃতীয় বিয়ে। আমা’র বড় স্ত্রী’ মা’রা গেছে, তারপরের স্ত্রী’ চলে গেছে। সেই থেকে অনেক বছর একা থাকি আমি। পাড়া প্রতিবেশীরা ক’ষ্ট দেখে বিভিন্ন সময় বলে, চাচা বিয়ে করো আরেকটা। এরপর প্রতিবেশীরা দেখেশুনে নতুন বিয়ে দিয়েছে।”





তিনি জানান, আগের স্ত্রী’র পক্ষের তিন ছে’লে ও দুই মে’য়ে রয়েছে। তারা তাঁর সঙ্গে থাকেন না। ছে’লেরাও গরীব, কেউ তাঁর দেখাশোনা করেন না। “একা থাকি। ক’ষ্টের মধ্যে দিন কাটে, দেখাশুনার লোক নেই। তাই বিয়ে করেছি।” বৃদ্ধ জীবনে বিয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ”বয়স
৮০, একটু বেশি তাতে কী’? নতুন বউ আমা’র দেখাশুনা করছে। তারও একটু বয়স বেশী। তাতে কোনো সমস্যা না। আমিও তাকে সহযোগিতা করি। আম্পান ঝড়ে আমা’র থাকার ঘরটি ভেঙ্গে গেছে। বৃষ্টির সময় ঘরে থাকা যায় না। পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছি। কেউ বাধা





দেয়নি।” কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের পরানপুর গ্রামের গ্রাম পু’লিশ নিশিকান্ত মন্ডল বলেন, “আমি তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখে এসেছি। ওই বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা নতুন বিয়ে করে সুখেই আছে। তবে তাদের ঘরটি ভাঙাচো’রা। একটি নতুন ঘর হলে ভালো হতো।” কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানান, “ঘটনাটি বিয়ের পর আমি জেনেছি। প্রতিবেশী গ্রামবাসীরা মিলে তাদের বিয়ে দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, নতুন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে এই দম্পতি ভালো রয়েছে।
























