রামায়ণের মধ্যে এক প্রধান ব্যক্তিত্ব হনুমান । যাকে ছাড়া রামায়ণ কখনো রামায়ণ হতেই পারতো না। তাঁর ভগবান রামের প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা অতুলনীয়। হনুমান এক জনপ্রিয় চরিত্র। তাঁর ভক্তি শ্রদ্ধা নিয়ে এক চল্লিশা রয়েছে। চল্লিশা টি চল্লিশ চৌপাই দ্বারা রচিত কবিতা। এই চল্লিশার রচয়িতা হলেন কবি তুলসীদাস, এই চৌপাইের অনেক ক্ষমতা আছে এর মধ্যে পাঁচটি চৌপাইের বিশেষ এবং অসীম ক্ষমতা রয়েছে।
এই মন্ত্র উচ্চারণ করলে স্বাস্থ্য, সম্পত্তি, এবং সমৃদ্ধি আরও আপনার সংসারে উথলে পড়বে। হনুমান ছিল ছোট থেকেই রামের ভক্ত। জীবনের অনেক সময়ই তিনি তাঁর ভগবান রামের হয়ে যুদ্ধ করেছেন তার শত্রুদের বিরুদ্ধে। মাতা সীতার আর্শীবাদে মহাবীর হনুমান অমর হওয়ার বর পেয়ে ছিলেন।
কেউ যদি মন দিয়ে হনুমান চল্লিশা পাঠ করে তাহলে তার ভাগ্যের চাকা খুলে যাবে। সুন্দরকান্ড, রামচরিতমানস, রামায়ণ পাঠ করা হয় তখন হনুমান স্বয়ং সেই স্থানে এসে উপস্থিত হন। তবে হনুমান চল্লিশা ছাড়া ও দূর্গা চল্লিশা, শিব চল্লিশার ও রয়েছে চল্লিশ টি চৌপাই।
কবিতার স্তবক কয়েক বার পড়লেই নাকি সকলের মুখস্থ হয়ে যায়। রামের সবচেয়ে প্রিয় ভক্ত যেহেতু হনুমান ছিলেন তাই ভগবান রামের পূজোর আগে হনুমানের পূজো করুন। হনুমান পূজোর জন্য নারকেল এবং সামান্য দক্ষিণা দিয়েই করতে পারবেন। কিন্তু পূজা করবার সময় এই দুই ভগবান কে মন থেকে আপন করে নিতে হবে। লাল রঙের অর্থাৎ কুশের আসনে বসে হনুমান পূজো করা আবশ্যক।
তাহলে মন্ত্র গুলি দেখে নিন: –
১) रामदूत अतुलित बलधामा। अंजनिपुत्र पवनसुत नामा৷ হনুমান পূজার সময়ে এই মন্ত্রোচ্চারণ করলে আপনি সমস্ত রকম শারিরীক যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবেন৷
২) महाबीर बिक्रम बजरंगी। कुमति निवार सुमति के संगी। এই মন্ত্রোচ্চারণে আপনি জ্ঞান এবং বুদ্ধিমত্তার অধিকারী হবেন৷
৩) बिद्यबान गुनी अति चातुर। रामकाज करीबे को आतुर। যদি কোনও ব্যক্তি এই দুনিয়া থেকে জ্ঞান সমৃদ্ধ হতে চান তাহলে অবশ্যই এই মন্ত্র উচ্চারণ করা আবশ্যিক৷
৪) भीम रूप धरि असुर संहारे। रामचंद्रजी के काज संवारे। শত্রুদের থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই এই মন্ত্র উচ্চারণ করুন৷
৫) लाय संजीवन लखन जियाये। श्रीरघुबीर हरषि उर लाये। দীর্ঘদিন ধরে যদি কোনও রোগে ভোগেন তাহলে অবশ্যই এই মন্ত্রটি মন থেকে উচ্চারণ করুন৷ সুফল মিলবেই৷