গার্হস্থ্য হিং’সা মা’মলায় ঐতিহাসিক রা’য় দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদা’লত জানায়, শুধু স্বামী নয়, স্বামীর পৈতৃক সম্পত্তির উপরেও অধিকার রয়েছে পুত্রবধূর৷ গার্হস্থ্য হিং’সার কারণে কোনও পুত্রবধূকে তা’ড়িয়ে দেওয়া হলেও, শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তির উপর তাঁর অধিকার থাকবে৷
বাড়ির মালিক তাঁর শ্বশুর কিম্বা শাশুড়ি হলেও পুত্রবধূ তাঁর অধিকার থেকে ব’ঞ্চিত হবে না৷ এছাড়াও মা’মলা চলাকালীন শ্বশুরবাড়িতেই থাকতে পারবেন পুত্রবধূ৷ শ্বশুরবাড়িতে থাকাটা পুত্রবধূর অধিকার৷ পাশাপাশি তিন বিচা’রপতির বেঞ্চ এদিন জানায়, পুত্রবধূ শ্বশুরবাড়ির যৌথ পরিবার বা স্বামীর কোনও আত্মীয়ের মালিকানাধীন বাড়ির ভাগ পাওয়ারও অধিকারী৷
এদিন বিচা’রপতি অশোক ভূষণ, আর সুভাষ রেড্ডি এবং এমআর শাহের বেঞ্চ জানায়, গার্হস্থ্য হিং’সা আই’নের ২ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যৌথ পরিবারের সম্পত্তির ভাগের অর্থ হল, এক্ষেত্রে শ্বশুরবাড়ির যৌথ সম্পত্তি এবং শ্বশুরবাড়ির পৈত্রিক ভিটে বা সম্পত্তির ভাগও পাবে পুত্রবধূ। তবে স্বামীর কোনও আত্মীয়র বাড়ির অধিকার পাওয়ার ক্ষেত্রে পুত্রবধূকে বিয়ের পর থেকে দীর্ঘদিন ওই বাড়িতে পারিবারিক সম্পর্কে বা বাসিন্দা হিসাবে থাকবে হবে৷ সুপ্রিম কো’র্টের এই রায় গার্হস্থ্য হিং’সার শি’কার বহু মহিলাকেই স্বস্তি দিয়েছে৷
গার্হস্থ্য হিং’সার জে’রে বহু মহিলাকেই শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়৷ ব’ঞ্চিত করা হয় তাঁর অধিকার থেকে৷ সুপ্রিম কো’র্টের এই রায় তাঁদের স্বস্তি দিল৷ সুপ্রিম কো’র্টের বেঞ্চ তাঁদের ১৫০ পাতার রায়ে জানিয়েছে, দেশে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে গার্হস্থ্য হিং’সার ঘটনা৷ বহু মহিলাকে প্রতিদিন কোনও না কোনও হিং’সার সম্মুখীন হতে হয়৷
যার প্রভাব পড়ে আমাদের সমাজের উপরে৷ এর আগে নিম্ন আদা’লত বলেছিল শ্বশুর বাড়ি খালি করার জন্য পুত্রবধূকে বলা যেতে পারে৷ কিন্তু হাই কো’র্ট ও সুপ্রিম কো’র্ট সেই রায় খারিজ করে দেয়৷
২০০৬ সালের এসআর বাত্রা এবং অন্যান্য বনাম তরুণ বাত্রা মামলার শুনানির সময় বিচা’রপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ জানায়, শুধু স্বামীর পৃথক সম্পত্তিতে নয়, স্বামীর পিতা-মাতার সম্পত্তির উপরেও অধিকার রয়েছে পুত্রবধূর। এর আগে তরুণ বাত্রা মা’মলায় দুই বিচা’রপতির বেঞ্চ বলেছিল, ‘আ’ইনত পুত্রবধূ তাঁর স্বামীর মালিকানাধীন সম্পত্তিতে থাকতে পারেন না।’ সুপ্রিম কো’র্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ সেই সিদ্ধান্তকেই প্রত্যা’খ্যান করল।