









বিবাহ বিচ্ছেদ ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। কিন্তু কেন? অনুসন্ধানে জানা গেছে, পরকীয়া সর্ম্পক, অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা, পারিবারিক অশান্তি, স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর রোজগার বেশি ইত্যাদিসহ আরও অনেক কারণ বেড়িয়ে এসেছে এক গবেষণায়।
বিগত কয়েক বছরে গোটা বিশ্বব্যাপী ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫৩ %। শুধু মালদ্বীপে প্রতি ৩০ জনের মধ্যে ৩ জনের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে থাকে। মালদ্বীপ বিবাহ বিচ্ছেদের দিক দিয়ে বিশ্বের মধ্যে সবার উপরে শীর্ষস্থান এ রয়েছে।





মূলত সংসার টিকে থাকে পুরুষের রোজগারের উপর। কার কোন ধরণের চাকরি, মাসিক ইনকাম কত এই দিকটিই মূলত সংসারে এবং সামজে প্রধান্য পেয়ে থাকে। হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অলেকজান্দ্রা কিলোওয়াল ১৯০৭ সাল হতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার দম্পতির উপর গবেষণা করে তথ্য সংগ্রহ করে গবেষণা করেছন।
যদিও বিবাহ বিচ্ছেদের আরও অনেক কারণ রয়েছে। তবে এর মধ্যে ৩০ শতাংশ পুরুষ কম রোজগার বা বেকারত্ব কারণে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে থাকে। আর যেসব পুরুষরা পার্ট টাইম জব করে তাদের ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের শংকা আরও বেশি।





কারণ তারা সর্বদা সংসার নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকে। যার প্রভাব তাদের বিবাহিত জীবনে এসে পড়ে। তখন যেন মনে হয় অর্থই সংসারের সুখের মূল উৎস। অর্থ ছাড়া যেন সুখের কথা তারা ভাবতে পারেনা। আসলেই কি অর্থই সকল সুখের চাবিকাঠি?
অপর দিকে, নারীর কর্মজীবন কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে সেভাবে প্রভাব বিস্তার করেনা। বর্তমানে অনেক নারীই ঘর ও অফিস দুটোই সমান তালে সামলাচ্ছেন। এ জন্য তাদের পরিবারের উৎসাহ ও সার্পোট দুটো সমানভাবে প্রয়োজন। তবে তাদের ইনকাম কম হলেও কিংবা না হলেও বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার সম্ভবনা থাকে না।





গবেষণায় অধ্যাপক জানিয়েছেন, অর্থই সুখের মূল চাবিকাঠি নয়। কেননা অর্থ দিয়ে সুখ কখনো কেনা যায় না কিংবা পাওয়া যায় না। এজন্য দায়ী আমাদের সমাজ ব্যবস্থা। আমাদের সমাজ পুরুষের ইনকামটাই সুখের মূল চাবিকাঠি মনে করে যা অদৌ সঠিক। সুখে থাকার মূল চাবিকাঠি হলো, হতাশা হতে বেড়িয়ে আসা এবং নিজের যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ঠ থাকা।
স্বামী-স্ত্রী উভয়ে এই মানসিকতার হলে তাদের সংসারে সুখ উপচে পড়বে। আর যদি হা হুতাশ এর মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে থাকেন তাহলে সুখ নামের শব্দটি কখনোই তারা দেখতে পাবে না। তাই নিজের যা আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ঠ থাকার চেষ্টা করুন।
























