









লক ডাউনে অভিনব উপায়ে অনলাইনে পড়াচ্ছেন এই – ক’রোনা সং’ক্রমনের জেরে কয়েক মাস ধরে লকডাউন চলছে। লকডাউন চলাকালীন সময়ে স্কুল, কলেজ, হাটবাজার, সরকারি অফিস, বন্ধ। যাতায়াত ব্যবস্থার দিক থেকে
লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হলেও এই শিথিলতা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যে খুব একটা সুখকর হবে না সেই কথা বিবেচনা করে, সরকারি তরফ থেকে লকডাউন শুরুর বেশ কিছু দিন পর থেকেই অনলাইন ক্লাস এর কথা বলা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ক্লাস করাচ্ছেন শিক্ষিকা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঘর বন্দি ছাত্রছাত্রীরা। তাই ভার্চুয়াল ক্লাস কে





বেছে নিতে হল পড়াশোনার মাধ্যম হিসেবে। ভার্চুয়াল ক্লাস এর নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেদের পড়ানো ভিডিও, অডিও, নোটস এর পিডিএফ ফাইল ছাত্র-ছাত্রীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে প্রেরণ করছেন। এছাড়াও ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকারা তার ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করেছেন। সব





ক্ষেত্রে সুবিধাজনক না হলেও, ভার্চুয়াল ক্লাস ব্যাপারটি বেশ চ্যালেঞ্জের ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষক শিক্ষিকা উভয়ের কাছেই। এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে জনৈক রসায়নের শিক্ষিকা দূর থেকে ভার্চুয়াল ক্লাস এর মাধ্যমে তার শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠক্রম নিয়মিত পৌঁছে দিচ্ছেন। তার এই উদ্যোগে ছাত্র-ছাত্রীদের খুশি হওয়ার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও





আলোড়ন ফেলেছে। বহু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন রসায়নের ওই শিক্ষিকা।ওই রসায়নের শিক্ষিকার নাম মৌমিতা বি। তিনি পুনের বাসিন্দা। করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে লকডাউনের মধ্যে তিনি কীভাবে অনলাইন ক্লাস করেছেন, তা তিনি এক সপ্তাহ আগে লিঙ্কডইনের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ভার্চুয়াল ক্লাসের একটি ভিডিও তিনি





নিজেই পোস্ট করেছেন। ভিডিওটিতে একটি চক বোর্ডে লিখতে দেখা যাচ্ছে শিক্ষিকাকে। পাঠ্যসূচির সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে যায় এমন ব্যবস্থা। তার কাছে কোনো ট্রাইপড নেই।তবুও বোর্ডের লেখা যাতে ছাত্রছাত্রীরা দূর থেকে হলেও ঘরে বসে দেখতে পায় তার জন্য নিজের মতো করে একটা ব্যবস্থা তিনি করতে পেরেছেন। নিজের ফোন





থেকে জামা কাপড় রাখার হ্যাঙারে ঝুলিয়ে দিয়েছেন। অতঃপর সিলিং থেকে দড়ি ঝুলিয়ে ফোনটিকে একটি প্লাস্টিকের তৈরি চেয়ারের সাথে বেঁধে দিয়েছেন। এর ফলস্বরূপ ওই শিক্ষিকা বোর্ডে পাঠক্রম হিসেবে যা পড়াচ্ছেন সবকিছুই দৃষ্টিগোচর হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। বোর্ড দেখে পড়তে শিক্ষার্থীদের আর কোন রকম অসুবিধা হয়নি। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায়





ভাইরাল হয়। অসংখ্য মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন। প্রত্যেকেই এক শিক্ষিকার অভিনব শিক্ষাপদ্ধতির প্রশংসাও করেছেন। ট্রাইপড না থাকার ব্যাপারটি শিক্ষাপদ্ধতি কে হার মানাতে পারেনি। অস্থায়ী ট্রাইপডের মাধ্যমে মোবাইল ঝুলিয়ে রেখে ভিডিও করে বোর্ডের লেখা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে ভার্চুয়াল ক্লাস এর মাধ্যমে। নিজের মতো করে এক রকম





অস্থায়ী ট্রাইপড দিয়ে শিক্ষা পদ্ধতি চালু করার অভিনব প্রয়াস দেখে মুগ্ধ দর্শকরা। এই ব্যবস্থাটি প্রমাণ করে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দায়বদ্ধতা কতটা প্রয়োজনীয়। ভিডিওটির একটি স্ক্রিনশট ইতিমধ্যেই টুইটারে এসেছে। পুনের ওই রসায়ন শিক্ষিকার নামে প্রশংসার ঝড় উঠেছে টুইটার জুড়ে।
























