যৌ’তুকের লোভে স্ত্রী’দের ওপর অত্যা’চার কোন নতুন ঘটনা নয়। বহুকাল ধরেই সমাজে না’রীর এই অসন্মান, মা’নহা’নি হয়েই চলেছে। এর প্র’তিবাদ হয়েছে প্রচুর, এসেছে নতুন নতুন আইন, কিন্তু মানসি’কতার কোন উন্নতি হয়নি। পু’রুষ শা’সিত এই সমাজে নারী’দের প্রতি এই অ’ত্যা’চার হয়েই চলেছে এবং এইভাবে চলতে থাকছে বলে আমাদের সমাজ ক্রম’শ অবনতির দিকে যাচ্ছে।
ছাব্বিশ বছর বয়সি শারমিন আক্তার পেশায় শিক্ষিকা। তার স্বামী আব্দুল মমিনও পেশায় একজন শিক্ষক। কিন্তু সব শিক্ষক যে সবসময় শিক্ষিত হবে তার তো কোন কথা নেই। তার পা’ষণ্ড স্বা’মী ও শ্বশুর তার পিঠ ও হাত থেকে কোম’র পর্যন্ত র’ড দিয়ে পি’টিয়ে গু’রুতর আহ’ত করে ঘ’রেতালা লাগিয়ে রেখেছিল।’
পরে শনিবার বিকেলের দিকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাকে উ’দ্ধার করে, জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপ’জেলা স্বাস্থ্য ক’মপ্লেক্সে ভ’র্তি করা হয়েছে তাকে। জানা যায় যৌ’তুকের কারণে স্বামীর ও শ্বশুর এর হাতে পাশবিক নি’র্যাতনের শিকা’র হন ওই শিক্ষিকা।
নির্যা’তিতার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শারমিন আক্তার বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার হযরত শাহজামাল বিদ্যা নিকে’তনের সহকারী শিক্ষি’কা। বক’শীগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরকাউরিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার মৃ’ত নূর ইসলামের মে’য়ে’।
প্রায় ছয় বছর আগে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মাঝপাড়া গ্রামের আব্দুল মমিনের সঙ্গে শারমিনের বিয়ে হয়। তাদের তাসফিয়া নামে এক মে’য়ে রয়েছে। আব্দুল মমিনও স্থানীয় অ্যাডভ্যান্স কিন্ডার গার্টেনের সহকারী শিক্ষক। হোসেন আলীর ছেলে আব্দুল মমিন।
দরিদ্র পরিবারের সন্তান শি’ক্ষিকা শারমিন। আব্দুল মমিন বিয়ের পর থেকেই যৌ’তুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় তার স্ত্রী শারমিনকে নি’র্যাতন করেছেন। ইদানিং, স্থানীয় চরকাউরিয়া বাজার সংলগ্ন শারমিনের বাবার রেখে যাওয়া জমি জো’র’ করে লিখে নেয়ার জন্য শারমিনকে চাপ দিচ্ছিলেন শারমিনের স্বা’মী। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে শারমিনের ওপর চলে ধা’রাবাহিক নির্যা’তন।
এই ‘ক্ষো’ভ জমিয়ে রাখতে রাখতেই গত শুক্রবার গভীর রাতে আব্দুল মমিন লো’হার র’ড দিয়ে শার’মিনকে নি’র্মম ভাবে পে’টান। শারমিনের শ্বশুর হোসেন আলীও এই পাশবিক অ’ত্যাচারে পি’ছুপা হন নি। এতে শারমিনের বাম হাত, পিঠ থেকে শুরু করে নিচের দিকে কোমর ও পায়ে র’ক্ত জমে দা’গ হয়ে গেছে।