Home / Hindu / যে বিশেষ কাজটি করলে মা বি’পত্তা’রিনী সন্তুষ্ট হন, সংসারে ফিরে আসে সুখ-শান্তি

যে বিশেষ কাজটি করলে মা বি’পত্তা’রিনী সন্তুষ্ট হন, সংসারে ফিরে আসে সুখ-শান্তি

Copy

বি’পত্তা’রিণী পূজার সাথে পরিচিত আমরা সকলে। ইনি পশ্চিমবঙ্গে ও উড়িশার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পূজিত একজন দেবী। দেবী দুর্গার অন্যতম একটি অব’তার হলো এই বি’পত্তা’রিণী দেবী। বি’পত্তারিণী দেবী মূলত বি’পদ থেকে উ’দ্ধার পাওয়ার জন্য পূজিতা হন।আষাঢ় মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে এই ব্রত পালন করা হয়। এই ব্রত কৌশিকী দেবী নামেও খ্যাত। আবার কোন কোন জায়গায় ইনি জয়দুর্গা নামে পরিচিত।

পুরাণে কথিত আছে, বিপত্তারিণী দেবীর উৎপত্তি হয়েছিল ভগবান শিবের অ’র্ধাঙ্গিনী দেবী পার্বতীর কষিকা থেকে। তাই তার এর এক নাম কৌশিকী। এই নিয়ে পুরানে কি সুন্দর গল্প আছে। শুম্ভ এবং নিশুম্ভ এই দুই দা’নবের হাতে দেবতারা পরাজিত হয়ে যখন হিমালয়ের বুকে মা মহামা’য়ার স্তুতি করছিলেন, সেই সময়ে ভগবতী পার্বতীর শরীর থেকে আর একজন দেবী বেরিয়ে এলেন, যিনি পার্বতীর মতই দেখতে। এই জয় দুর্গা বা কৌশিকী দেবী হলেন বি’পত্তারিণী দেবী।

বি’পত্তারিণী দেবীর অনেক রূপ। উত্তর ভারতে অষ্টাদশ রূপে তাকে পূজা করা হয়, কোথাও আবার পূজা করা হয় দশোভূজা রূপে।জ্যৈষ্ঠ আষাঢ় মাসের মঙ্গল ও শনিবারে মায়ের পুজো হয়। যে বিশেষ উপায়ে বি’পত্তারিণী দেবীর পূজা করলে মন পাওয়া যায় সেগু’লি এবার জেনে নেওয়া যাক,১৩ প্রকারের ফল, ফল, মিষ্টি,পান, সুপারি অর্পণ করতে হয় দেবীকে।

ঘট, আমের পল্লব সিষ সমেত একটি নৈবেদ্য, ১৩ রকমের ফুল এবং ১৩ রকমের ফল রাখা থাকে তাতে। পুজো শে’ষে মন দিয়ে দেবীর ব্রত কথা শুনতে হয়। লাল সুততে ১৩ টি গিঁ’ট বেঁ’ধে ১৩ টি দূর্বা বাঁ’ধতে হয়। পুজো শে’ষে এই লাল সুতোগু’লি র’ক্ষাকবচ হিসাবে পরিবারের সদস্যদের হাতে বেঁ’ধে দিতে হয়।

এই ভাবেই সাধারণ মানুষ বি’পত্তারিণী দেবীর কৃপা লাভ করেন এবং সংসারের সমস্ত দুঃখ ঘুচে গিয়ে আসে সুখ এবং শান্তি।যদিও বর্তমানে বিপ’ত্তারিণী পুজোর এই নিয়ম সঠিকভাবে পালন করেন না অনেকেই। পুজো দিয়ে লুচি বা সুজি করে খেয়ে নেন অনেক মহিলারাই। কিন্তু সঠিক নিয়ম না মেনে পুজো করলে সঠিক ফল পাওয়া যায় না।

Check Also

তারা মায়ের স্বপ্নাদিষ্ট অব্যর্থ ওষুধ খেয়ে সুস্থ হন রোগীরা, রয়েছে ৪০০ বছরের প্রাচীন মন্দিরের মাহাত্ম্য

Copy তারা মায়ের স্বপ্নাদিষ্ট অব্যর্থ ওষুধ খেয়ে সুস্থ হন রোগীরা, রয়েছে ৪০০ বছরের প্রাচীন মন্দিরের ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *