নারিকেল বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল। এটা এমন এক বৃক্ষ যার প্রতিটি অঙ্গ জনজীবনে কোনো না কোনোভাবে কাজে আসে। এ গাছের পাতা, ফুল, ফল, কাণ্ড, শিকড় সব কিছুই বিভিন্ন ছোট-বড় শিল্পের কাঁচা মাল, হরেকরকম মুখরোচক নানা পদের সুস্বাদু খাবার তৈরির উপকরণ, পুষ্টিতে সমৃদ্ধ, সুস্বাদু পানীয়, রোগীর পথ্য এসব গুণে গুণাম্বিত এটি পৃথিবীর অপূর্ব গাছ, তথা ‘স্বর্গীয় গাছ’ হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত ও সুপরিচিত।
নারিকেল চারা তৈরির জন্য যেখান সেখান থেকে বীজ নারিকেল সংগ্রহ করা উচিত হবে না। অজানা উৎস থেকে সংগৃহীত নারিকেল বীজ থেকে উৎপাদিত চারায় গাছ থেকে যে ডাব/নারিকেলের ফলন হবে তা নিম্ন মানের।
যে গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা হবে তার মাতৃ গুণাগুণ (Genetical potenciality) জেনেই উন্নত মানের ও জাতের গাছ থেকে সুস্থ, ভালো মানের বীজ নারিকেল সংগ্রহ করে তা চারা উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা যাবে। যেহেতু নারিকেল চারা উৎপাদন কাজটি অতি সহজ,
তাই নিজে ভালো জাতের বীজ লাগিয়ে চাহিদা মতো চারা তৈরি করে নেয়া ভালো। এলাকার পাড়া-পড়শীর কারও না কারও নারিকেল গাছে প্রচুর ফল দেয়, এমন সুলক্ষণা কিছুসংখ্যক মাতৃগাছ নির্বাচন করে তা থেকে পাকা বীজ নারিকেল কিনে, বেঁলেমাটিতে রেখে মাঝে মাঝে পানি দিলে কিছু দিনের মধ্যই চারা গজাবে। এ গজানো চারাগুলো ৮-৯ মাস পরেই লাগানোর উপযোগী হবে।
সাধারণ গাছের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি নারিকেল দেবে এই গাছ। শুধু তাই নয়, এমন নারিকেল গাছের চারা বপণের দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যেই নারিকেল ধরা শুরু করবে। তাই চাষিকে আর ৬-৭ বছর অপেক্ষা করতে হবে না নারিকেলের জন্য।
নতুন উদ্ভাবিত এ গাছ বছরে ১৫০ থেকে ২৫০টি নারিকেল দিয়ে থাকে। এর পরিমাণ আমাদের দেশি গাছের তুলনায় প্রায় তিন থেকে পাঁচ গুণ বেশি। গাছের উচ্চতা ২ থেকে ৪ ফুট হলেই নারিকেল ধরা শুরু করে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে খর্বাকৃতির এই নারিকেল গাছ রোপনে জোর দেয়া হচ্ছে।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন