প্রোস্টেট ক্যানসার গবেষণায় বড়সড় সাফল্য পেলেন বিজ্ঞানীরা। দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা চলাকালীন সময়ে মানব দেহে টিউবারিয়াল লালাগ্রন্থি নামে একটি ছোটো অঙ্গের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা।
জানা গিয়েছে, প্রায় ১. ৫ ইঞ্চি লম্বা টিউবারিয়াল লালা গ্রন্থিটি নাকের পিছনে অবস্থিত। এবং এই গ্রন্থি অঞ্চলটি ভালোভাবে লুব্রিকেটেড রাখতে সহায়তা করে। আরও জানা গিয়েছে, নেদারল্যান্ডসের বিজ্ঞানীরা তথা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা মানুষের গলার এই নতুন অঙ্গের আবিষ্কার করেছেন।
এই বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের ‘অঙ্কোলজি’ নামক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, মানব দেহের প্রোস্টেট ক্যানসার নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর সময় হঠাৎ করেই গলার উপরের অংশে থাকা গ্রন্থিগুলির মধ্যে একটি নতুন অঙ্গে আবিষ্কার করেন।
গবেষকরা আরও জানিয়েছেন যে, তাঁরা বিশ্বাস করেন, টিউবারিয়াল লালা গ্রন্থিগুলি’ ডাব করে এই অঙ্গটি নাকের পিছনের একটি অঞ্চলকে ভালো ভাবে লুব্রিকেটেড রাখতে সহায়তা করে। শুধু তাই নয়, ক্যান্সার আক্রান্ত কোনও রোগীর শরীর থেকে এই গ্রন্থিটি বাদ দিলে রেডিয়েশনের চিকিৎসায় প্রচুর সাফল্য মিলবে।
এমনকি রোগীর জীবনযাত্রার মানও উন্নত হবে। আমস্টারডামের নেদারল্যান্ডস ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা একটি নতুন পিএসএমএ পিইটি-সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করছিলেন, যা গণিত টমোগ্রাফি (সিএটি) স্ক্যান এবং পজিট্রন নিঃসরণ টমোগ্রাফির (পিইটি) স্ক্যানগুলির সংমিশ্রণে প্রোস্টেট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এই কাজ করার জন্য, চিকিৎসকরা একজন রোগীকে একটি তেজস্ক্রিয় ট্রেসার ইনজেকশান দেন এবং তারপর গবেষণা শুরু করেন।
যদিও সবার দেহে এর সন্ধান পাননি তাঁরা। এর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে শুধুমাত্র ক্যান্সারের রোগীদের দেহে। এখন বিজ্ঞানীরা আশাবাদী যে এটা কিভাবে সারা অঙ্গে ছড়িয়ে পরে। আর তার ফলেই ক্যান্সারের প্রতিষেধক তৈরী করতেও সুবিধা হবে।