









ভারত এবং শ্রীলঙ্কায় যত্রতত্র দেখা যায় এই গাছ | বহু ধরণের ভারতীয় রান্নায় এই পাতার ব্যবহার হয় | আর দক্ষিণ ভারতীয় রান্নায় এই পাতা থাকবে না তা তো ভাবাই যায় না | এতক্ষণে নিশ্চই বুঝতে পেরে গেছেন আমরা কারি পাতার কথা বলছি | অনেক জায়গায় আবার কারি পাতা কে ‘ মিঠা নিম ‘ নামেও ডাকা হয় | কারি পাতার বহু গুণ আছে‚ এটা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট‚ অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি কান্সার | এছাড়াও কিডনি‚ লিভার ভালো রাখে‚ হাড় শক্ত করে‚ ত্বক উজ্জ্বল করে এবং হজম করতেও সাহায্য করে |





এখানেই শেষ নয়‚ কারি পাতা আমাদের চুলের জন্যও খুব উপকারী | কারি পাতা ভিটামিন সি‚ ক্যালসিয়াম‚ ফসফরাস‚ আয়রন আর নিকটনিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ | আর এইসব গুলোই চুল ভালো রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরী |





আজকে দেখবো চুলের ক্ষেত্রে কারি পাতার উপকারিতা |
# চুলের বৃদ্ধি দ্রুত করে
পরীক্ষা করে দেখা গেছে কারি পাতা‚ আমলকি‚ ব্রাহ্মী আর মেথির দানা যদি একসঙ্গে বেটে মাথায় লাগানো হয় তাহলে চুলের বৃদ্ধি দ্রুত হয় | এমনকী বাজারে যে হেয়ার গ্রোথ হেয়ার অয়েল পাওয়া যায় তার থেকে এটা অনেক বেশি কার্যকরী | দেখা গেছে নিয়মিত ১৮ দিন লাগালেই আপনি নিজের চোখে ফলাফল দেখতে পাবেন |





# চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে
চুলের বৃদ্ধি তো দ্রুত করেই তাছাড়াও চুল-কে স্বাস্থ্যজ্জ্বলও রাখে | আপনি নারকেল তেলে কারি পাতা ফুটিয়ে সেই তেল লাগাতে পারেন আবার হেয়ার মাস্ক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন | সাধারণত দেখা গেছে দক্ষিণ ভারতীয় মহিলাদের চুল লম্বা কালো এবং মোটা হয় | শোনা যায় দক্ষিণ ভারতীয় মহিলারা নিয়মিত জলের মধ্যে কারি পাতা ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে চুল ধোয় | ফলে সুন্দর চুল-এর অধিকারীনী হয় ওরা |





# অকালপক্কতা রোধ করে
চুলের অকালপক্কতা রোধ করা কারি পাতার অন্যতম উপকারিতা | নারকেল তেলে কারি পাতা ফুটিয়ে সেই তেল নিয়মিত মাথায় লাগালে চুল কালো এবং রেশমি হয় | অকালপক্কতা রোধ করার জন্য কারি পাতার ব্যবহার আয়ুর্বেদেও নির্দেশ করা আছে |





# চুল পড়া কমায়
মাথা থেকে রোজ ৫০ থেকে ১০০ টা চুল ঝরে যাবে তা স্বাভাবিক | কিন্তু তার থেকে বেশি যদি চুল পড়ে সেই অবস্থাকে বলে অ্যালোপেসিয়া | দেখা গেছে লাল জবা ফুল আর কারি পাতা একসঙ্গে বেটে মাথায় লাগালে কয়েকদিনের মধ্যে চুল পড়া কমে যায় |





# খুসকি আর মাথার ইনফেকশন থেকে বাঁচায়
আগেই বলেছি কারি পাতা অ্যান্টি ব্যকটেরিয়াল‚ অ্যান্টি ফাংগাল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি | ফলে মাথার স্কাল্প সুরক্ষিত রাখে | একই সঙ্গে খুসকি যা সাধারণত ফাংগাস আর ব্যাকটেরিয়া থেকে হয় তার থেকেও চুল-কে বাঁচায় | এর জন্য কারি পাতা বেটে টক দয়ের মধ্যে তা মিশিয়ে মাথার স্কাল্পে আর চুলে ভালো করে লাগাতে হবে | ২০ মিনিট রেখে হাল্কা গরম জলে চুল ধুয়ে ফেলুন |





# চুল-এর ড্যামেজ মেরামত করে
দূষণের কারণে খুব সহজেই চুলের ক্ষতি হয় | এর ফলে চুল শুষ্ক‚ নির্জীব হয়ে পড়ে | কারি পাতায় যে হেতু অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে তাই এর ব্যবহারে চুল উজ্জব‚ নরম এবং স্বাস্থ্যকর হয় |
























