









অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া খুবই কমন একটি ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে একেকজন মরিয়া হয়ে ওঠেন। কেউ চুলে মেহেদী দিচ্ছেন, কেউ বাজার থেকে কৃত্রিম রং এনে তা চুলে মাখছেন। খাবারের ভেজাল আর পরিবেশ দূষণের কুফলই কম বয়সে চুল পাকার একটি অন্যতম কারণ। একটি মিশ্রণ খেয়েই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। জেনে নিন কিভাবে তৈরি করবেন সেই ম্যাজিক মিশ্রণ।





যা যা লাগবে:
– ১০০ গ্রাম তিসির তেল
– ২টি মাঝারি মাপের পাতিলেবু
– ২ কোয়া ছোট রসুন
– ৫০০ গ্রাম মধু
যেভাবে তৈরি করবেন:
একটি লেবু খোসা ছাড়ানো অার অন্যটি ছোট ছোট টুকরো হবে। এবার রসুন ও লেবু পেস্ট করে নিন। পেস্ট করার সময় কোনভাবেই পানি মেশাবেন না। এখন এই মিশ্রণের সাথে তিসির তেল এবং মধু দিয়ে আবার ভালো করে মেশান। মিশ্রণটি একটি পরিষ্কার এয়ার টাইট কাঁচের বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। একদিন পরে বের করে ব্যবহার করুন। রোজ খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে দিনে তিন বার এক চামচ করে খান। এজন্য কাঠের চামচ ব্যবহার করবেন।





২ সপ্তাহের মধ্যেই তফাতটা ধরতে পারবেন। মিশ্রণটি নিয়মিত খেলে পাকা চুল কালো হয়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, মিশ্রণটি খেলে দৃষ্টিশক্তি প্রখর হবে, চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে এবং নতুন চুল গজাবে। এছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং কুঁচকানো চামড়া টানটান করবে।





যে ১২ টি খাবার শুক্রাণু বৃদ্ধির জন্য ঔষধের মত কাজ করে!
শরীরের পুষ্টির জন্য প্রয়োজন সুষম খাদ্য। পুষ্টিকর খাদ্য শুধুমাত্র আপনার শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখে শুধু তাই নয় যৌন স্বাস্হ্যের ওপরও এর প্রভাব পড়ে। আমাদের দৈনন্দিন খাবার তালিকায় কিছু পুষ্টিকর খাবার সংযোজনই পারে পুরুষদের শুক্রানুর পরিমাণ এবং গুণগত মান বাড়াতে।





পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পুরুষদের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ শুক্রাণু সমস্যায় ভোগেন। কাজের চাপ, মানসিক চাপ, জীবনধারা এবং বিশেষত ভুল খাদ্যাভাস পুরুষদের অনুর্বরতার কারণ হতে পারে। তবে এই ধরনের সমস্যা হ্রাস করা যেতে পারে স্বাস্থ্যকর খাদ্যের মাধ্যমে। এছাড়া স্বাস্থ্যকর খাদ্য আপনার কামশক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করতে পারে। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক, কী কী খাবারে পুরুষের শুক্রাণু পরিমাণ বাড়বে। নিম্নে শুক্রানু বৃদ্ধির খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল;





ডার্ক চকলেট: ভালো মানের কালো বা ডার্ক চকলেটে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান। ৭০-৮৫ ভাগ কোকোয়াসমৃদ্ধ চকলেটকেই বলে ডার্ক চকলেট। এতে আছে আঁশ, লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ম্যাংগানিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম। ডার্ক চকলেটের খাদ্যাভ্যাস পুরুষদের শরীরে বীর্য পরিমাণ বৃদ্ধি করে।





এর ফলে শুক্রাণুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। এটি শুক্রাণুর গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্যও দারুণ কাজ করে। পালংশাক: আপনার খাদ্য তালিকায় পুষ্টিতে ভরপুর পালং শাক নিয়মিত রাখা চাই। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। ভিটামিন এ, বি২, সি, ই, কে, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, কপার ও প্রোটিন পাবেন এই একটি শাক থেকেই। পালং শাক খেতে পারেন রান্না করে।





আবার সালাদ, স্যুপ অথবা জুস করেও খাওয়া যায়। ফলিক অ্যসিডে সমৃদ্ধ পালংশাক শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে এবং তাকে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। পানি: পানির উপকারিতা বলে শেষ করা যাবেনা। পানি শুধু প্রাণ বাঁচায় না। পানি আমাদের শরীরে প্রধান উপাদান।





আমাদের শরীরের ৫৫ থেকে ৮০ ভাগ পানি থাকে। শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। এটা আপনার উর্বরতা বৃদ্ধি করে। বেশি করে পানি খেলে আপনার বীর্যপাতের ভলিউম বৃদ্ধি হয়, যা স্বাস্থ্যসম্মত শুক্রাণুকে উৎসাহিত করে।





টমেটো: অনেক তরিতরকারিতেই আমরা স্বাদ বাড়ানোর জন্য টমেটো ব্যবহার করে থাকি। অনেকে আবার স্যালাডেও টমেটো খেয়ে থাকেন। তবে টমেটো শুধুমাত্র খাবারে স্বাদই বাড়ায় না। গাঢ় লাল রঙের টমেটো পুরুষের দেহে সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা বাড়ায়। টমেটো খেলে পুরুষের শুক্রানুর পরিমাণ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে বলে সম্প্রতি ব্রিটেনের ইনফার্টিলিটি নেটওয়ার্কের করা এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়।





গাজর: পুষ্টিতে পরিপূর্ণ এই সবজিটি তার যথার্থ কদর পায় না। নামে সবজি হলেও আসলে এটি মূল। গাজরের অনেক গুণাগুণ আছে। সবজিটা বেশ খেতে মিষ্টি। গাজরে থাকা ভিটামিন পুরুষদের স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং যৌন কার্যকলাপ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।





কুমড়ো বীজ: নানা পুষ্টি উপাদানে ঠাসা কুমড়ো বীজ। এতে আছে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, কপার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোস্টেরল এবং প্রোটিন। কুমড়ো বীজে আরও আছে প্রদাহরোধী উপাদান। এ ছাড়া কুমড়ো বীজে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে, যা যৌন অঙ্গে রক্ত প্রবাহ উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। এগুলো কাঁচা খাওয়াই ভাল। কারণ রান্না বা প্রক্রিয়াজাত খাবার প্রয়োজনীয় পুষ্টি রোধ করে।





ডাল: প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অপরিহার্য এক খাদ্য উপাদান হলো ডাল। বিভিন্ন প্রকারের ডাল নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রোটিনের চমৎকার উৎস হওয়ায় তা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। নিরামিষভোজীদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে এর বিকল্প নেই। ডাল শুক্রাণুর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কারণ এটি প্রাকৃতিক ফলিক অ্যাসিডের অন্যতম উৎস।





যে সব পুরুষের শরীরে কম ফোলেট থাকে তাদের শুক্রাণুর মধ্যে ক্রোমোসোমাল খুব কম বা খুব বেশি হওয়ার আশংকা থাকে। বাদাম: আপনি জানেন কি যৌবন ধরে রাখতে বাদামের অবদান অনস্বীকার্য। বিশেষ করে সারারাত যদি সেই বাদাম জলে ভিজিয়ে রেখে খান তবে তো তার সুফল পাবেনই আপনি।





বাদামে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। এই জিঙ্ক শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায় এবং শক্তিশালী শুক্রাণু তৈরি করে। যারা খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে কম জিঙ্ক গ্রহণ করে তাদের বীর্য এবং টেস্টোস্টেরনের ঘনত্ব দুটিই কমে যায়। ডালিম: ডালিম ফলটি দেখতে যেমন সুন্দর। এর পুষ্টিগুণও কিন্তু ব্যাপক। ডালিমে প্রচুর পরিমাণে রোগ প্রতিরোধক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে।





ডালিম ফল আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী চিকিৎসায় পৈথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডালিমে বিউটেলিক এসিড, আরসোলিক এসিড এবং কিছু আ্যলকালীয় দ্রব্য যেমন- সিডোপেরেটাইরিন, পেপরেটাইরিন, আইসোপেরেটাইরিন, মিথাইলপেরেটাইরিন প্রভৃতি মূল উপাদান থাকায় ইহা বিভিন্ন রোগ উপশমে ব্যবহৃত হয়। ডালিম অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর, যা রক্তের প্রবাহ বাড়ায়। এ ফলটি শুক্রাণুর মান উন্নত করে। এটা আপনার কামশক্তিও উন্নত করবে।





ডিম: ডিম যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ডিম খেলে যৌবন ধরে রাখা সম্ভব বহুদিন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে একজন সুস্থ মানুষ যদি প্রতিদিন একটি করে ডিম খায় তাহলে বহু শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ডিমে ভিটামিন বি গ্রুপের বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬ ও বি ১২ আছে। এছাড়াও ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।





টাটকা ফল ও সবজি: সাধারণত খাবারে ভিটামিন এবং মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক থাকলে শরীরে এন্ড্রোক্রাইন সিস্টেম সক্রিয় থাকে। আর তা শরীরে এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরনের তৈরি হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন সেক্সের ইচ্ছা এবং পারফরমেন্স বৃদ্ধি করে। এতে ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।





ফলে এই ধরনের খাবার খেলে শুক্রাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং উর্বরতা বাড়ে। আখরোট: আখরোট একপ্রকার বাদাম জাতীয় ফল। এই ফল অত্যন্ত পুষ্টিকর যাতে প্রচুর আমিষ এবং অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি আসিড আছে। আখরোট বীর্যের ভলিউম বাড়ায়। প্রতিদিন এক মুঠো আখরোট খেলে শুক্রাণুর উন্নত হয়, সেই সঙ্গে এর সক্রিয়তাও বাড়ে।





তাছাড়া আখরোটে থাকে ওমেগা-৩, ফ্যাটি অ্যাসিড যা পুরুষ লিঙ্গে রক্তসংবহনের কাজ খুব ভালোভাবে করে। মানুষের জীবনকে সহজ আর গতিময় করতে নানা রকম প্রযুক্তি আর ইলেক্ট্রনিক পণ্যের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। এসব পণ্য থেকে বিচ্ছুরিত নানা রকম রেডিয়েশন, কেমিক্যাল মিশ্রিত খাবার গ্রহণের পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার ফলে কমে যাচ্ছে পুরুষের শুক্রাণু উৎপাদন ক্ষমতা। তাই জেনে রাখুন সঠিক আহারই শুক্রাণুর উৎপাদন বৃদ্ধিতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
























