Home / News / মাটির নিচে মিলল কলস ভর্তি সোনার মোহর

মাটির নিচে মিলল কলস ভর্তি সোনার মোহর

ইসরায়েলের ইয়াভনে শহরের কাছে খননকাজ চালানোর সময় কলস ভর্তি স্বর্ণের মুদ্রা পাওয়া গেছে। এ তথ্য জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

ইসরায়েলে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের চোরাচালান ঠেকানোর দায়িত্ব ইসরায়েল অ্যান্টিকস অথরিটি’র ওপর। পাশাপাশি ওই সংস্থা ইসরায়েলে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং গবেষণার প্রসারের কাজেও নিয়োজিত।

সোমবার অ্যান্টিকস অথরিটি’র দুই প্রত্নতত্ত্ববিদ লিয়াত নাদাভ-জিভ এবং এলিয়ে হাদাদ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মোট চারশ ২৫টি ‘অত্যন্ত দুর্লভ’ প্রাচীন স্বর্ণমুদ্রা পেয়েছেন তারা। প্রতিটি মুদ্রা খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরি। এর মধ্যে অধিকাংশ ১১০০ বছর পুরনো আব্বাসীয় আমলের।

জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া সম্পদের মধ্যে ছোট আকারের স্বর্ণমুদ্রার অনেক টুকরা পাওয়া গেছে। সেই আমলে এগুলো স্বল্প মূল্যের মুদ্রা ছিল বলে ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

নবম শতাব্দীর শেষ সময়টা ছিল আব্বাসীয় খিলাফতে স্বর্ণযুগ। ওই সময় সাম্রাজ্যের সর্বাধিক বিস্তার ঘটেছিল। অ্যান্টিকস অথরিটি’র অন্যতম মুদ্রা বিশেষজ্ঞ রবার্ট কুল জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া স্বর্ণমুদ্রাগুলোতে যে সংকেত বা চিহ্ন দেখা গেছে তা থেকে মনে করা হচ্ছে এগুলো আব্বাসীয় খিলাফতের সময়ের। যদিও এ বিষয়ে আরো গবেষণা এবং বিশ্লেষণের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন তিনি।

আব্বাসীয় খিলাফত সম্পর্কে এখনো বহু তথ্য অজানা। উদ্ধার হওয়া স্বর্ণমুদ্রা থেকে সে সময় সম্পর্কে আরো অনেক অজানা তথ্য জানা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী রবার্ট কুল।

ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে এর আগেও বিভিন্ন সময় বহু প্রাচীন স্বর্ণমুদ্রা এবং অন্যান্য প্রাচীন সম্পদ আবিষ্কার হয়েছে। ২০১৫ সালে প্রাচীন বন্দর শহর সিয়েসারিয়ায় গুপ্তধনের সন্ধান পেয়েছিলেন জাভিকা ফায়ের নামে এক স্কুভা ডাইভার।

সাগরের তলদেশে ঘুরে বেড়ানোর সময় বিপুল সোনার মোহর আবিষ্কার করেন তিনি। সেবার প্রায় দুই হাজার সোনার মোহর আবিষ্কার হয়। সেগুলো ফাতেমীয় যুগের স্বর্ণমুদ্রা ছিল বলে জানা যায়।

Check Also

কচি কাঁঠালের এঁচোড় দিয়ে চিংড়ি মাছ এইভাবে রান্না করলে তার স্বাদ হবে দারুন! গরম ভাতের সাথে জাস্ট জমে যাবে, রইলো স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি!

আমরা বাঙালি মাত্রই ভোজন রসিক, বিশেষ করে গ্রাম গঞ্জের লোকাল যত খাবার আছে, বিভিন্ন পালা ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *