









দাঁত দিয়ে জ্যান্ত কই মাছ কা’মড়ে ধরে পানির নিচে আরেকটি মাছ ধরতে গিয়েছিলেন সফিউদ্দিন (২০) নামে এক যুবক। এ সময় কামড়ে ধরা মাছটি ঢুকে যায় গ’লায়। গলায় জীবন্ত কৈ মাছ আ’ট’কে য’ন্ত্র’ণায় ছ’ট’ফ’ট করতে থাকেন সফিউদ্দিন। আ’শ’ঙ্কা’জ’নক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার গলা কে’টে অ’স্ত্রো’প’চার করে বের করা হয় মাছটি। আপাতত প্রাণে বেঁচে গেলেও তার অবস্থা স’ঙ্ক’টা’পন্ন।





কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নেয়াবাদ এলাকায় চা’ঞ্চ’ল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে গলায় বিঁ’ধে যাওয়া জ্যান্ত কৈ মাছটি অ’স্ত্রো’প’চার করে বের করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. কামিনী কুমার ত্রিপুরা।





জানা গেছে, করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে সফিউদ্দিন মঙ্গলবার বাড়ির পাশের বিলে মাছ ধরতে যান। পানির নিচ থেকে হাত দিয়ে একটি মাঝারি আকারের কৈ মাছ ধরেন। একই সময় পায়ের নিচে একটি মাছ চাপা পড়ে। ওই মাছটি ধরার জন্য কৈ মাছটি দাঁত দিয়ে কা’ম’ড়ে ধরে দুই হাত দিয়ে পায়ের তলায় চাপা পড়া মাছ ধরার চেষ্টা করছিলেন সফিউদ্দিন।





এ সময় মুখের মাছটি গলায় ঢু’কে আট’কে যায়। য’ন্ত্র’ণায় ছ’ট’ফ’ট করতে থাকেন তিনি। মু’মূ’র্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই সেখানে তা অপা’রে’শন হয়। হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের প্রধান ডা. কামিনী কুমার ত্রিপুরার তত্ত্বাবধানে একদল চিকিৎসক দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা প্রচেষ্টার পর গলার একাংশ কে’টে কৈ মাছটি বের করতে স’ক্ষম হন।





রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. কামিনী কুমার ত্রিপুরা জানান, সফিউদ্দিন বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা বর্তমানে শ’ঙ্কা’মুক্ত।





রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. নওশাদ খান জানান, এটি একটি জ’টিল অ’পা’রেশন ছিল। গলায় মাছ আ’টকে থাকায় তাকে বিকল্প উপায়ে অ্যানেস্থেসিয়া দিতে হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনে জীবনের ঝুঁ’কি থাকে। তবে আমাদের চিকিৎসকরা সফলভাবে অ’পা’রেশন শেষ করেছেন। তবে রোগীকে অব’জার’বেশনে রাখা হয়েছে।
























