









দাবি বিয়ে করতে হবে। আর এই দাবিতে টানা ৩৬ ঘণ্টা যুবকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন যুবতী। দীর্ঘ সময় ধরে ওই যুবতী ধর্নায় বসলে বিয়েতে রাজি ছিলেন না ওই যুবক। অবশেষে ওই যুবতীর জেদের কাছে হা’র মানতে হয় যুবক ও তার পরিবারকে। এলাকাবাসীর উদ্যোগে চার হাত এক হল।





এমনই এক বিয়ের ঘটনা ঘটল জল্পাইগুড়িতে। ওই যুবতীর দাবি, তাদের মধ্যে প্রায় ৩ বছরের প্রেমের সর্ম্পক আছে। আর সেই সম্পর্ক অনেক দূর গড়িয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি ওই যুবক ফোন ধরছিলেন না। সর্ম্পক অস্বীকার করতে থাকেন।





ফলে বাধ্য হয়ে খুট্টিমারি এলাকা থেকে ছেলের বাড়িতে হাজির হন ওই যুবতী। প্রথম অবস্থায় বাড়িতে ঢু’কতে না পেরে গেটের বাইরেই টানা ৩৬ ঘণ্টা ধর্না অব্যাহত রাখেন। শুক্রবার সকাল থেকে ধর্না চালিয়ে যাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত এলাকাবাসীর মধ্যে কিছু মানুষের সহানুভূতি মেলে। কিন্তু বিয়ে করতে গররাজি ছিলেন ওই যুবক।





শনিবার সন্ধ্যায় যুবতীর এলাকার লোকজনদের ভিড়ের জেরে এবং যুবতীর জেদে শেষে বিয়ের পিড়িতে বসতে রাজি হন ওই যুবক। সেখানেই চারহাত এক হল। ধর্না মঞ্চ থেকে বিয়ের এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই যুবকের বাড়িতে এদিন রাতে ভিড় জমে কয়েক শতাধিক লোকের। করোনাবিধি উপেক্ষা করেই মানুষের ব্যাপক ভিড় দেখা যায় বিয়েকে কেন্দ্র করে।





জানা গিয়েছে, মিলপাড়া এলাকার যুবক সমীর সাহার সঙ্গে খুট্টিমারি এলাকার যুবতী অঞ্জনা রায়ের ২০১৭ সাল থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সর্ম্পক দিনকে দিন আরও গাঢ় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু আচমকাই সমীর তা অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ।





তাই এই ধর্না। এদিন ওই যুবতীর পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলের বাড়িতেই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে হাতে হাত মেলাতে দেখা যায় প্রতিবেশী কিছু মানুষকেও। ধর্নায় বসে অধিকার আদায় করতে পেরে খুশি ওই যুবতী।
























