মেহনাজ জেরিন নিপা। বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি পু’লিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কনস্টেবল জাহিদুল ই’সলাম রুবেলের স’ঙ্গে বিয়ে হয় তার। ৩ জানুয়ারি গ্রামের বাড়ি থেকে স্বামীর স’ঙ্গে ঢাকায় আসেন নিপা। চাকুরির কারণে স্বামী রুবেলের বাসস্থান অফিসের মেস হওয়ায় স্ত্রীকে নিয়ে ওঠেন রাজধানীর উত্তর কমলাপুরের হোটেল সিটি প্যালেস ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আবাসিক হোটেলে। আর সেই হোটেল থেকে ম’ঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বের ক’রা হয় মেহনাজ জেরিন নিপার (২৪) ম’রদে’হ।
নিপার স্বজনদের অ’ভিযোগ, স্বামী রুবেলের প্র’রোচনায় নিপা জীবন দিয়েছে। পু’লিশ জানায়, মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই তরুণীর মৃ’তদে’হ উ’দ্ধার ক’রা হয়। এ সময় ভেতর থেকে রুমের দরজা ব’ন্ধ ক’রা ছিল। গত ৩ জানুয়ারি ওই রুমটি ভাড়া নেয় নীপার স্বামী। এ ঘ’টনায় স্বামী পু’লিশ সদস্য জাহিদুল ই’সলাম রুবেলের বি’রুদ্ধে প্র’রোচনার অ’ভিযোগে মা’মলা দা’য়ের ক’রা হয়। হোটেল সূত্র বলছে, গত ৩ জানুয়ারি তারিখে স্বামী-স্ত্রী প’রিচয়ে ২ জন হোটেলের ওই রুমটি ভাড়া নেয়।
এরপর স্বামী অ’সুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা বলে হোটেল থেকে চলে যায়। এসময় ওই তরুণী হোটেলে একাই ছিল। মঙ্গলবার সকালে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় খবর পেয়ে পু’লিশ এসে রুমের দরজা ভে’ঙে লা’শ উ’দ্ধার ক’রে। ম’রদে’হ উ’দ্ধারের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ম’র্গে নিয়ে যায় পু’লিশ। স্বজনদের অ’ভিযোগ, নীপাকে মা’নসিক নি’র্যা*তনের মাধ্যমে প্র’রোচনা দিয়েছিল স্বামী পু’লিশ কন্সটেবল রুবেল। মেহনাজ জেরিন নিপার বয়স ২৪।
১ জানুয়ারি বিবাহ বন্ধনে আব’দ্ধ হওয়ার ঠিক ৫ দিনের মাথায় ফিরলেন লা’শ হয়ে। পু’লিশ বলছে, স্বামী যেহেতু মেসে থাকেন, তাই স্ত্রী নীপাকে নিয়ে উঠেন কমলাপুরের হোটেল সিটি প্যালেস ইন্টারন্যাশনালে। কিন্তু স্ত্রীকে একা রেখে হোটেল থেকে কেন চলে যান রুবেল সে কারণই জানা যায়নি।
এ ঘটনায় রাজধানীর মতিঝিল থা’নায় কনস্টেবল রুবেলের বি’রুদ্ধে মা’মলা দা’য়ের ক’রেন নি’হতের ভাই। নিপা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের স্নাতোকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন।