Home / Exception / বিয়ের ১০ দিন আগে বরের বাবার সাথে পালিয়ে গেলেন কনের মা

বিয়ের ১০ দিন আগে বরের বাবার সাথে পালিয়ে গেলেন কনের মা

Copy

কলি যুগে কে’লেঙ্কা’রির আর শেষ নেই। এবার বরের বাবার সঙ্গে পালালেন কনের মা। গুজরাটের সুরাটের এই আজব ঘ’টনায় ল’জ্জায় মুখ ঢেকেছে দুই পরিবার। জানা গেছে, বরের বাবা টেক্সটাইলের ব্যবসা করতেন। হঠাৎ করেই গত ১০ জানুয়ারি থেকে তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না।

এদিকে গুজরাটের নওসারি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান কনের মাও। তারপরেই আন্দাজ করা হয় যে হবু বর-কনের বাবা-মা একে অপরের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। জানা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল কাতারগাম নিবাসী পাত্রের সঙ্গে নওসারি নিবাসী পাত্রীর।

সেই মতো প্রস্তুতিও চলছিল দুজনের বিয়ের। এরই মধ্যে এই আজব ঘ’টনা। বিয়ের দিন দশেক আগে ৪৮ বছর বয়সী বরের বাবার সঙ্গে বাড়ি থেকে পালালেন ৪৬ বছর বয়সী কনের মা। ঘ’টনা যা জানা গেছে তা হল, কলেজে পড়ার সময় থেকেই নাকি একে অপরকে চিনতে হবু বেয়াই-বেয়ান।তবে সেই সময় তাঁদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল কিনা তা জানা যায়নি।

ওই দুজন নিখোঁজ হওয়ার পর উভয় পরিবারের পক্ষ থেকেই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। গত বছরই বাগদান হয়ে যায় পাত্র ও পাত্রীর মধ্যে, তারপরেই ঠিক হয় আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাতপাকে বাঁধা পড়বেন তাঁরা।

সেই মতো নিজেদের বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বর এবং কনে। সেই সময়েই বিনা মেঘে বজ্রপাত। তবে যেভাবে বরের বাবা এবং কনের মা একে অপরের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন তাতে দুই পরিবারই রীতিমতো হতবাক হয়ে গেছে। সমাজে মুখ দেখানোর জো নেই তাঁদের।

তবে যে দুজন পালিয়ে গেছেন তাঁদের পূর্ব পরিচিতরা বলছেন যে ওঁরা নাকি একে অপরকে আগে থেকেই চিনতেন। এমনকি কলেজেও একই সঙ্গে পড়তেন তাঁরা। নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও নাকি তৈরি হয়েছিল সেই সময়।

কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক সেই সময় একে-অপরের সঙ্গে ঘর বাঁধতে পারেননি। কিন্তু তা বলে, এই সময় এসে পালালেন তাঁরা? কালে কালে কত কী-ই যে ঘ’টবে, বলছেন নিন্দুকেরা। আবার অনেকেই এই ঘ’টনা জানতে পেরে হেসে খুন হচ্ছেন। তবে দুই পরিবারের যে কী অবস্থা হচ্ছে এখন, তা তাঁরাই জানেন!

Check Also

বিশ্বকে তাক লাগাতে সবচেয়ে বড় এয়ারপোর্ট বানাচ্ছে টাটা

Copy টাটা গ্রুপের অবকাঠামো এবং নির্মাণ শাখা, ‘টাটা প্রজেক্টস’, উত্তর প্রদেশের গ্রেটার নয়ডার জেওয়ারে আসন্ন ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *