রাস্তার ধারে পড়ে থাকা বিড়ালের একটি বাচ্চাকে তুলে এনে ঠাঁই দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার এক তরুণী। ভেবেছিলেন বিড়ালটি হবে তাদের। কিন্তু একটু বড় হতেই সে ও তার বাড়ির লোক বুঝল এ কোন বিড়ালের বাচ্চা নয়। বিড়ালের মতো দে’খতে এক বন্য জন্তু। আর্জেন্টিনার টুকুম্যান প্রদেশের সান্টা রোজা দে লিলেস শহরে মাসখানেক আগে ভাইয়ের স’ঙ্গে ঘুরছিল ফ্লোরেন্সিয়া লোবো।
রাস্তায় কান্নার শব্দ পায় তারা। তারা ভেবেছিল কোনও পাখি আ’হত হয়ে কাতরাচ্ছে। কিন্তু গাছের কাছে যেতে তারা দে’খতে পায় বিড়ালের ছানা মতো দু’টি শাবককে। তখন সেগু’লিকে বাড়িতে এনে আশ্রয় দেয় তারা। ফ্লোরেন্সিয়া তাদের নাম দেয় টিটো ও দানি। কিন্তু বাড়িতে আনার দু’সপ্তাহ পরই মা’রা যায় দানি।
ফ্লোরেন্সিয়া ও তার ভাইয়ের আ’দর যত্নে বেড়ে উঠছিল টিটো। যতই সে বড় হচ্ছে ততই চ’ঞ্চল হয়ে উঠছে। সাধারণ বিড়ালের স’ঙ্গে তার আ’চরণেও কিছু পার্থক্য দেখা দিচ্ছিল। যদিও ফ্লোরেন্সিয়া ও তার পরিবারের লোকজন কিছু বুঝতে পারেনি। এর মধ্যেই পায়ে চোট পায় টিটো। তখন তাকে স্থা’নীয় পশু চিকি’ৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পরই সামনে আসে তথ্য।
চিকি’ৎসক জা’নান, টিটো গৃহপালিত বিড়াল নয়। এটি বনবিড়াল বা পুমা গোত্রের পশু। তিনি আরও জা’নান টিটো যত বড় হবে, তত তার বন্য আ’চরণ প্র’কাশ পাবে। চিকি’ৎসকের কথা শুনে টিটোর আ’চরণের বৈসাদৃ’শ্যের ব্যা’পারে অবগত হয় ফ্লোরেন্সিয়া। এর পর তাকে তুলে দেওয়া হয় আর্জেন্টিনার অ্যানিম্যাল রেসকিউ ফাউন্ডেশনে। বর্তমানে সেখানেই রয়েছে টিটো।
তিতোর ব্যা’পারে বি’স্তারিত তথ্য ও তার ছবি নিজেদের ফেসবুক পেজ থেকে শে’য়ার করেছে আর্জেন্টনার ওই সংস্থা। তার পরই ভাইরাল হয়েছে সেই পোস্ট। আর তিতো উ’দ্ধার করে আ’শ্রয় দেওয়ার জন্য ফ্লোরেন্সিয়াকে প্র’শংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নে’টিজেনরা।