আর্থিক সচ্ছলতা নয় বরং পড়াশোনার প্রতি একাগ্রতা এনে দিতে পারে সফলতা তাই প্রমাণ করে দেখালো এক নিট পরীক্ষার্থী। অভাবের সংসারে নিট পরীক্ষায় সফলতা কাজটা সহজ ছিল না। বাবা গরু চরান একশো দিনের কাজের কর্মী।
আর্থিক সচ্ছলতা কমতি থাকলেও কমতি ছিল না তাঁর একাগ্রতা, তার পড়াশোনার প্রতি অবিচ্ছেদ্য অনুরাগে। বাবা-মায়ের অদম্য চেষ্টায় নিট পরীক্ষায় বসেন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা জীবিত কুমার। কিন্তু বাবা মাকে নিরাশ করেনি সে। ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট (নিট) ৭২০ নাম্বারের মধ্যে ৬৬৪ পেয়ে উর্ত্তীন্ন হয়েছে জীবিত কুমার।
খুবই অভাবের সংসার ছিল তার। কিন্তু এইসব এর মধ্যেও সে তার স্বপ্নকে দমিয়ে রাখেনি।আর্থিক অনটনের সেই দিনগুলোতে বই ছিল তার প্রেরণা। পড়াশোনার প্রতি একাগ্রতা তাকে সফল হতে বাধ্য করেছে।
তবে সে একা নয় সব রকম পরিস্থিতিতে এসে পাশে পেয়েছে তার বাবা-মাকে। বাবা-মার সহযোগিতায় তাকে পৌঁছে দিয়েছে তার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে।শেষমেশ নিট প্রবেশিকা পরীক্ষায় সম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছে জীবিত কুমার।
পেরিয়াকুলাম সিলভারপর্টি-তে অবস্থিত গভর্মেন্ট মডেল হাই সেকেন্ডারী স্কুলের ছাত্র জীবিতকুমার। ছোট থেকেই অভাব-অনটন এর মধ্যে থেকে বড় হয়েছে সে। কিন্তু ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিল সে, তাই জীবনে কিছু করে দেখানোর যেটা ছিল খুব বেশী তাই আজ তার এই সফলতা। তবে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ডাক্তারি পড়া হবে কিনা এ বিষয়ে অনিশ্চিত জীবিত কুমার।
তার কথায়,সরকারি কলেজে ডাক্তারি পড়ার খরচ বহন করার সাধ্য তার পরিবারের নেই। সে আরও জানায় তার লক্ষ্য ডাক্তার হওয়ার ছিল না। নেট পরীক্ষা দিয়েছিল কারণ সে শুনেছিল পরীক্ষাটি অত্যন্ত কঠিন এবং খুব কম জনই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
নিজের যোগ্যতা যাচাই করার জন্যই পরীক্ষা দিয়েছিল সে। কিন্তু চরম আর্থিক অনটনের জন্য এখনও তার ডাক্তারী পড়া এখনো স্বপ্নই। সাধারণ মানুষকে সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছে জীবিতকুমার ও তার পরিবার।
এই মেধাবী ছাত্র তার ফলাফলের জন্য স্কুলের শিক্ষকদের বিশেষ ধন্যবাদ জানায়। সে বলে, পরিবারের আর্থিক সামর্থ ছিল না তাকে আলাদা করে কোনো কোচিং দেওয়ার। স্কুলের শিক্ষকরা তাকে নিট প্রস্তুতির জন্য সাহায্য করেছিলেন ।