Home / Lifestyle / বাবার প্রা’ণ বাঁ’চাতে লিভার প্রতিস্থাপনে নিজেই ডোনার ,২৩ বছরের তরুণ তামিল সিনেমার ডিরেক্টর

বাবার প্রা’ণ বাঁ’চাতে লিভার প্রতিস্থাপনে নিজেই ডোনার ,২৩ বছরের তরুণ তামিল সিনেমার ডিরেক্টর

পিতা নয় এবার ত্যাগ স্বীকার করল পুত্র কথাতেই আছে কুসন্তান তবুও হয় কুমাতা কভু নয়। আজকের সমাজে যেখানে প্রত্যেকটি বাড়িতে কোথাও-না-কোথাও বাবা মাকে ত্যাগ শিকার করতে হচ্ছে। ভারতবর্ষ ভরে যাচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমে। অথর্ব হয়ে গেলি বাতিলের তালিকায় চলে যায় বাবা-মা। আর অর্থ না থাকলে তাহলে তো কথাই নেই।

একটা সময় এর পর বাবা-মা শুধুমাত্র বাড়ির কাজের লোকের পরিণত হয়ে যায়। কিন্তু এ দৃশ্য সকলের ক্ষেত্রে এক না।পৃথিবীতে যেমন বাবা মা ও ছেলে মেয়েদের উপর অত্যাচার করে তেমন কিছু ক্ষেত্রে ছেলেমেয়েরাও বা আমার উপর অত্যাচার করেন আবার অনেক ক্ষেত্রে বাবা-মা শিশুদের জন্য প্রচুর ত্যাগ স্বীকার করে তেমন কিছু সন্তান থাকে যারা বাবা মার জন্য নিজের সমস্ত পৃথিবীটাকে উজার করে দিতে পারে।

ক এমনই একটা সন্তানের নাম হল তামিলনাড়ুর এক ডিরেক্টর অধীন অলুর। এই তরুণ ডিরেক্টর তামিলনাড়ুর বেশ কয়েকটি সিনেমা প্রকাশ করেছিলেন। এবং তার শেষ সিনেমা যেটি তিনি পরিচালনা করেছিলেন তার নাম পেনানভেশনাম।সিনেমাটিক পোস্টারটি গত বছর প্রকাশিত হয়েছিল এবং তা দর্শকদের কাছে ভালই সাড়া দিয়েছিল।

তিনি লিখেছেন যে তিনি এই রকম একটি সুন্দর সুযোগের অপেক্ষা করছিলেন যখন তিনি তার বাবা-মায়ের ঋণ শোধ করতে পারবেন। এবং তাই জন্য এই সুযোগ তিনি কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চাননি।তিনি মনে করেন বাবা-মায়ের ঋণ কোন কিছু দিয়েই শোধ করা যায় না তবুও কোন কিছু ভাবে যদি বাবা মাকে নিজের কাছে আটকে ধরে রাখা যায় তা সব সন্তানদেরই করা উচিত।

তার এই উক্তি প্রত্যেকটি তরুণ প্রজন্মকে উত্সাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঠিক এই কারণেই যখন তিনি জানতে পারেন যে তার বাবার একটি লিভার খারাপ হয়ে গেছে এবং তাকে বাচাঁনো যাবে না তখন তিনি খুব ভীষণ ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। কিন্তু এরই মধ্যে আশার আলো জাগিয়েছিলেন ডাক্তার মহলের কিছু অংশ।

তারা বলেছিলেন যে সন্তানের লিভার একমাত্র ম্যাচ করতে পারে তার বাবার সাথে। এ কথা শোনার পর তিনি এক মুহূর্ত আর অন্য কিছু ভাবেন নি। তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন যে তার নিজের লিভার দিয়ে তিনি তার বাবাকে আবার তার কাছে ফিরিয়ে আনতে পারবেন। কারণ জীবনে টাকা-পয়সা অর্থ বৈভব যতই থাকুক না কেন বাবা মার বিকল্প কোন কিছুই কখনো হতে পারে না।

এটা একমাত্র সেই বুঝে যার কাছে বাবা মা নেই তার কাছে আর সব কিছু থাকলেও মাথার ওপর বাবা-মার ছাতনা থাকার যন্ত্রণা একমাত্র একটি অনাথ সন্তানই বুঝতে পারে। তাদের সার্জারি হয়েছিল ১৮ ই মে। এবং খুব খুশীর সাথে জানানো হয়েছে বাবা এবং ছেলে দুজনেই পুরোপুরি সুস্থ আছেন।

ক্ষরণের জেরি সেখানে সমস্ত দেশে শুধু দুর্ঘটনা শোনা যায় সেখানে এই রকম একটি সুন্দর ঘটনার নজির গড়ে সকলের মন জয় করলেন এই তরুণ ডিরেক্টর।তিনি যে জীবনের মূল অর্থ কি বুঝতে পেরেছেন তা যদি আজ সমস্ত ঘরের সকল সন্তানেরা বুঝতে পারে তাহলে আর কোন দেশে কোন বৃদ্ধাশ্রম এর বোঝায় দরকার হবে না।

Check Also

আপনার কি রাতের বেলা চোখে ঘুম নেই? তাহলে আপনার যা যা করণীয়, দেখেনিন

অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। ঘুম না এলে শুধু এপাশ ওপাশ করে অনেকের সারারাত কেটে যায়। ...