অতিমারীর তান্ডবে দেশের অর্থনীতি যখন তলানীতে এসে ঠেকেছে তখন,মাগুর মাছ চাষ করে লাখ টাকা রোজগার করছেন জলপাইগুড়ির ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগানের এক মহিলা শ্রমিক। মোবাইলে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাছ চাষের ভিডিও এবং পদ্ধতি দেখে মাগুর মাছ চাষ শুরু করেছিলেন কল্পনা রায় নামে ওই চা-শ্রমিক।
স্বামী খগেন রায় গত দশ বছর আগে অসুস্থ হয়ে আচমকাই মারা যান। এই পরিস্থিতিতে একমাত্র ছেলেকে উচ্চ শিক্ষিত করার স্বপ্ন ভাঙতে বসেছিল কল্পনার। তবে হাল ছাড়েননি কখনও। রোজগার বাড়ানোর জন্য চা-বাগানে কাজ করার পাশাপাশি অন্য কিছু করতে চাইছিলেন তিনি। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাগুর মাছ চাষের পদ্ধতি রপ্ত করে বহরমপুরে যোগাযোগ করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, তাঁরাই সেখান থেকে পোনা মাছ পাঠিয়ে দেন জলপাইগুড়িতে। ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগানের টাটা লাইনের বাসিন্দা কল্পনা রায় জানান, প্রথমে তিন হাজার মাছ দিয়ে চাষ শুরু করেছিলেন তিনি। খরচ হয়েছিল আট হাজার টাকা।
তিন মাস পর সেগুলো বিক্রি করে সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে তিরিশ হাজার টাকার বেশি লাভ হয়েছিল। এখন তাঁর কাছে তিনটি চৌবাচ্চায় মোট পনেরো হাজার মাছ রয়েছে। বাড়ির উঠোনে জায়গা কম থাকায় নিজের রান্নাঘরে দুটো চৌবাচ্চা তৈরি করেছেন।
এদিন তিনি বলেন, “ছেলে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে। মাছ চাষের রোজগারের এই অর্থ দিয়ে ছেলেকে উচ্চ শিক্ষিত করে তোলাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য।” তথ্যসুত্র: kolkata24x7.