









রাতারাতি সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়ে গিয়েছিলেন রানাঘাটের রানু মন্ডল। “এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়” গানটি ভাইরাল হতেই রানাঘাটের লতাকন্ঠী অভিধায় ভূষিত হয়েছিলেন তিনি। কয়েকদিনের মধ্যেই বদলে গিয়েছিল তার জীবন।





সোশ্যাল ওয়ার্কার অতীন্দ্র চক্রবর্তীর সহায়তায় জনসমাজে পরিচিতি লাভ করেছিলেন তিনি। তার গান শিল্পী মহলে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। তিনি রেলস্টেশন চত্বরে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন কাটাতে। সেই জীবন ছেড়ে বলিউডে পাড়ি দেন রানু।





তবে ভাগ্যের পরিহাসে আবারো রানাঘাট স্টেশন চত্বরে হাজির তিনি। চরম দূর্দশার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন রানু। গত বছর পুজোর মন্ডপে কলকাতার পুজোর প্যান্ডেল গুলিতে ঘুরে ছিলেন রানু মন্ডল।





বলিউড সিঙ্গার হিমেশ রেশমিয়া তাকে নিয়ে গান গাইয়েছিলেন। এইভাবে বলিউডের জগতের পাড়ি দেওয়ার পর সেলিব্রেটি হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই তার সেই সেলিব্রিটি তকমা হারিয়ে যায়। গত নভেম্বর মাসে হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে গান গেয়েছিলেন রানু। এরপর তাকে খুব একটা বড় কাজে দেখা যায়নি। অথচ বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন রানু মন্ডল।





সেলিব্রেটি হয়ে ওঠার পর তার মধ্যে এক অহং ভাব বিরাজ করেছিল। নিজেকে সবার থেকে আলাদা বড় মনের মানুষ বলে মনে করতেন তিনি। ভোল পাল্টে ফেলে নতুন বাড়িতে গিয়েছিলেন রানু। কিন্তু লকডাউন চলাকালীন সময়ে কোন নতুন কাজ না পাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েন তিনি। ফিরে আসতে হয় নিজের পুরনো বাড়িতে। বর্তমানে তার চরম অর্থাভাব।





রানু মন্ডলের এই দুরবস্থার জন্য অনেকে তার অহংকার কে দায়ী করেছেন। হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে তাঁর গানের ভিডিও রিলিজ হওয়ার পর এক ভক্ত তার সঙ্গে সেলফি তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভক্তের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন রানু।





এখানেই শেষ নয়,এরপরেও বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ভক্তদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার পরিবর্তে দুর্ব্যবহার করেন তিনি। কয়েক মাস যেতে না যেতে আবারো তাকে ফিরতে হলো রানাঘাটের রেলস্টেশন সংলগ্ন চত্বরে।
























