আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে,আগামী সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় থাকবে নিম্নচাপের প্রভাব। এই নিম্নচাপের তৈরি হয়ে আছে ওড়িশা উপকূলে। এই মুহূর্তে ওই উপকূল অঞ্চলে মৎস্যজীবীদের কোনোরকম ভাবেই যাওয়া যাবেনা বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে প্রশাসন।
খবর অনুযায়ী, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে এই নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। বর্তমানে নিম্নচাপটি রয়েছে ওড়িশা উপকূল ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল বরাবর।ঝুঁকে আছে সামান্য দক্ষিণ – পশ্চিম দিকে।
শুধু নিম্নচাপ নয়, এছাড়াও তিনটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়ে আছে। একটা ওড়িশা উপকূলে, বাকি দুটো অসম ও ছত্তিশগড়ের ওপর। এর ফলে সোমবার ছত্তীসগড়, ওড়িশা, অরুণাচলপ্রদেশ, অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরাতে ভারী বৃষ্টির অনুমান করা হয়েছে।
এই নিম্নচাপের প্রভাব আমাদের রাজ্যেও কিছু জেলায় পড়বে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই মেঘলা আকাশ সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও থাকবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোয় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকার দরুন। এরই সঙ্গে আরো খবর, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এইমুহুর্তে ভারী বৃষ্টি হবেনা উত্তরবঙ্গে। কিন্তু আগামী বুধবার নাগাদ সিকিম সহ উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ঋতুর কালচক্রেই বর্ষার বিদায়ঘণ্টা বেজেছে উত্তর পশ্চিম ভারতে। আপাতত লক্ষ্মীপুরখেরি, শাহজাহানপুর, আলোয়ারের ওপর বর্ষার বিদায় রেখা থাকলেও, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু উত্তরপ্রদেশ রাজস্থানের অনেকাংশে, এবং মধ্যপ্রদেশের কিছু জেলা থেকে সরে যাবে বলে সূত্রানুসারে জানা গিয়েছে।