Home / News / ফল বিক্রেতা তরুণীর ঝরঝরে ইংরেজি লজ্জায় ফেলবে আপনাকে

ফল বিক্রেতা তরুণীর ঝরঝরে ইংরেজি লজ্জায় ফেলবে আপনাকে

একজন সবজি বিক্রেতা এই ভাবেই ঝড়ের গতিতে ইংরেজি বলতে পারেন এমনটা আমরা ভেবে উঠতে পারিনা। কারণ একটাই, এত শিক্ষিত হয়েও কেন সে এই সবজি বেচার মতো পেশাই থাকবে। তবে সম্প্রতি এক সবজি বিক্রেতার ঝড়ের গতিতে ইংরেজি বলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আর সেই ভিডিও দেখলে থতমত হতে হবে যে কাউকেই। পাশাপাশি ওই সবজি বিক্রেতার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই মুগ্ধ হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজেনরা।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ঝরঝরে ইংরেজি বলা ওই সবজি বিক্রেতার নাম রাইসা আনসারি। তিনি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা। ঘটনার সূত্রপাত যখন ওই এলাকার পুরসভার কর্মীরা রাস্তার ধারে সবজি বিক্রি করতে বাধা দেয়, ঠিক সে সময় ওই সবজি বিক্রেতা মহিলা ঝর ঝর করে ইংরেজি বলে তার প্রতিবাদ করে।

আর এইভাবে ইংরেজি বলাই সেই ইংরেজি শুনে থতমত হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। এবং তাকে তার শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা জিজ্ঞাসা করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইন্দোরের দেবী অহল্যা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি মেটেরিয়াল সায়েন্স নিয়ে পিএইচডি করেছেন।

প্রতিবাদের সময় ওই মহিলাকে ইংরেজিতে বলতে শোনা যায়, “আমাদের পরিবারের ২০ জন সদস্য। বাজার বন্ধ, খদ্দের নাই। আমি রাস্তার ধারে ঠেলা গাড়ি নিয়ে ফল ও সবজি বিক্রি করছি। কিন্তু পৌরসভার লোকজন তা বাধা দিচ্ছেন। কিভাবে চলবে আমাদের সংসার? কি খাবো? কিভাবে বাঁচবো?”

কিন্তু প্রশ্ন হল পিএইচডি করার পরেও কেন এইভাবে সবজি বিক্রি করছেন? “কে আমাকে চাকরি দেবে? আর প্রাইভেট চাকরি আমি চাকরি বলে মনে করি না।” এছাড়াও সে জানায়, “আমার বাবার বয়স ৭৫ বছর। সেও সবজি বিক্রি করেন।”

আর এই মহিলা সবজি বিক্রেতার এইভাবে ইংরেজি বলা কখনো কোনো মানুষকে তার কাজ দেখে ছোট করা উচিত নয় এই শিক্ষাই দিচ্ছে। কারণ এরকম আমাদের দেশে অনেক মানুষকেই দেখা গেছে যারা যথেষ্ট শিক্ষিত কিন্তু কাজের অভাবে নিজেদের সংসার, নিজেদের পেট চালাতে ছোটখাটো কাজকেও বেছে নিয়েছেন।

Check Also

কচি কাঁঠালের এঁচোড় দিয়ে চিংড়ি মাছ এইভাবে রান্না করলে তার স্বাদ হবে দারুন! গরম ভাতের সাথে জাস্ট জমে যাবে, রইলো স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি!

আমরা বাঙালি মাত্রই ভোজন রসিক, বিশেষ করে গ্রাম গঞ্জের লোকাল যত খাবার আছে, বিভিন্ন পালা ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *