Home / Exception / প্রতিদিন 24 কি.মি. সাইকেলে চালিয়ে স্কুল! দশমে ৯৮.৭৫% নম্বর পেয়ে রাজ্যে ৮ম স্থান

প্রতিদিন 24 কি.মি. সাইকেলে চালিয়ে স্কুল! দশমে ৯৮.৭৫% নম্বর পেয়ে রাজ্যে ৮ম স্থান

Copy

প্রতিদিন ২৪ কি.মি. সাইকেলে স্কুল! দশমে প্রায় ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যে – প্রত্যেকদিন ২৪ কিলোমিটার সাইকেলে করে হাইস্কুল সঠিক সময়ে পৌঁছাতে হয়েছে। যতই শ্রমসাধ্য বিষয় না কেন, যতই বাধা আসুক না কেন,উচ্চ বিদ্যালয়ে

যেতে চায় মেয়েটি। এইভাবে পনেরো বছরের আলোক প্রতিকূলতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পাড়ি দিত স্কুলে। বহু বছরের টানা পরিশ্রম। তবুও হার মেনে নেয়নি। কথায় বলে, কষ্ট করলে তবেই কেষ্ট মেলে। এখানেও ঘটনাটা ঠিক একই রকম। দীর্ঘদিন ধরে কষ্টের ফল দশম শ্রেণীর ফলাফলের মধ্যে দিয়েই প্রকাশিত হল। মধ্য প্রদেশের ভিন্ড জেলার একটি প্রত্যন্ত

গ্রাম অঞ্জল এর বাসিন্দা রোশানী ভাদুরিয়া। সে পড়ে দশম শ্রেণীতে। তার বাবা একজন কৃষক। দিনের পর দিন জনৈক দক্ষ ব্যক্তির কাছে প্রিয় ছাত্র হিসেবে শিক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছিল রোশানী। তবে উচ্চ বিদ্যালয় পড়া ছিল তার কাছে একটি ভীতিজনক বিষয়। দিনে ২৪ কিলোমিটার সাইক্লিং করা কেবল কথার কথা নয়। স্কুলে যেতে এবং বাড়ি

ফিরতে বহু সময় লেগে যেত। তারপরেও, তার বাড়ির কাজ শেষ করার পরে, রোশানী তার চিন্তাভাবনা সহ মনোযোগ সহকারে পড়াশোনার কাজ চালিয়ে যেত। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল তার বহু দিনের বহু প্রচেষ্টার শ্রমসাধ্য কাজের ফল। দশম শ্রেণীতে ৯৮.৭৫ শতাংশ নাম্বার পেতে সারা মধ্যপ্রদেশে অষ্টম স্থান অধিকার করেছে রোশানী ভাদুরিয়া।

ইচ্ছা থাকলে যে উপায় হয় তার প্রমাণ দিল ১৫ বছর বয়সী মধ্যপ্রদেশের এক কন্যা। এই কোন নাই এখন সারা গ্রামের তথা মধ্যপ্রদেশের অনেক ছাত্র ছাত্রীর অনুপ্রেরণা। বাবা পুরুষোত্তম ভাদুরিয়া তার মেয়ের কৃতিত্ব দেখে ভীষণ সন্তুষ্ট। প্রথমদিকে তার মেয়েকে উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠানোর জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার ছিল না। কারণ অষ্টম শ্রেণি

পর্যন্ত রোশানী যে স্কুলে পড়তো সে এখন পর্যন্ত বাস সার্ভিস ছিল। তবে বেশ কয়েকটি ইস্যু নিয়ে তাকে মেগাঁয়ের কর্তৃপক্ষ অনুষদে যেতে হবে। সেই অনুষদটি গ্রাম থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে। বাস যেত না। সেই কারণে একমাত্র ভরসা হিসেবে ছিল সাইকেল। ২ বছর ধরে সাইকেলে করে স্কুলে যেতে হয়েছিল মেয়েটিকে। এবার তার বাবা মেয়ের জন্য একটি মোটর

গাড়ির ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন। সফলতা অর্জন করতে পারলে পূর্বের বাধা-বিপত্তিকে আর কষ্টকর বলে মনে হয় না। এই বিষয়ে রোশানী জানিয়েছে, ” প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া একটু কষ্টকর হত। তবে আমি কতবার সাইকেল চালিয়েছি তা দেখিনি। বাবার সময় থাকলে তিনি আমাকে মাঝে মাঝে মোটরবাইকে নিয়ে যেতেন। এবং

যখন আমি বাড়ি ফিরে আসি, আমি প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা পড়াশোনা করতাম।” ভবিষ্যতে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়ে রোশানির আইএএস অফিসার হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। এখন সে তার স্বপ্ন পূরণের পথে কিছুটা হলেও সফল।

Check Also

বিশ্বকে তাক লাগাতে সবচেয়ে বড় এয়ারপোর্ট বানাচ্ছে টাটা

Copy টাটা গ্রুপের অবকাঠামো এবং নির্মাণ শাখা, ‘টাটা প্রজেক্টস’, উত্তর প্রদেশের গ্রেটার নয়ডার জেওয়ারে আসন্ন ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *