









ইংরেজিতে যা পোস্ট মর্টেম বাংলায় তা ময়না তদন্ত, কিন্তু কেন এই নাম ? পোস্ট মর্টেম অন্ধকার থেকে একটি অজানা কারনকে উদঘাটন করে আলোতে নিয়ে আসে। কিন্তু তা বলে ময়না তদন্ত ? কেন মানুষ তদন্ত নয় কেন ? কখনও ভেবে দেখেছেন ? আসলে এই সমস্ত ব্যাপারগুলো সহজে আমাদের কাছে ধরা দেয় না। এই না ধরা দেয়ার জন্যেই তো আবার “তদন্ত”।





তবে পোস্ট মর্টেমকে ময়না তদন্ত বলা হয় কেন, কি সম্বন্ধ এর ময়না পাখির সঙ্গে ? বিষয়টা সকলের কাছে অজানা। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন এই নামকরণ –
আমরা জতই বলিনা কেন ‘ময়না কথা কয়না’, কিন্তু আশ্চর্য হবেন জেনে যে প্রায় তিন থেকে তেরো রকম ভাবে ডাকতে পারে ময়না পাখি। আর ময়না দেখতে একদম মিশমিশে কালো ও তার ঠোঁট হলুদ বর্নের। খালি চোখে বা অন্ধকারে ময়না পাখিকে প্রায় দেখতে পাওয়া যায় না।





এরা নিজের কালো বর্নকে গাছের পাতা, ডালপালা, গাছের কুঠুরির মধ্যে লুকিয়ে রাখে। কেবলমাত্র একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তিই ময়না পাখির ডাক শুনে বলতে পারে যে পাখিটি ময়না নাকি ময়না নয়।





অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা ময়না পাখির কন্ঠস্বর শুনে যেমন ময়নাকে আবিষ্কার করতে হয়, ঠিক তেমনই পোস্ট মর্টেমের ক্ষেত্রেও অন্ধকারে থাকা সম্পূর্ণ অজানা এবং অচেনা কারনকে সামান্য সূক্ষ্ম সূত্র ধরেই খুঁজে বের করতে হয়। এই সম্পর্কের থেকেই পোস্ট মর্টেমকে বাংলায় ময়না তদন্ত বলা হয়।
























