Home / Exception / পৃথিবীর সবচেয়ে দামী মশলা! দাম শুনলে আপনার গলা শুকিয়ে যাবে

পৃথিবীর সবচেয়ে দামী মশলা! দাম শুনলে আপনার গলা শুকিয়ে যাবে

পৃথিবীর সবচেয়ে দামী মশলা! দাম শুনলে আপনার – খাবারের স্বাদ বাড়াতে মশলার জুড়ি মেলা ভার। রসনা তৃপ্তির সঙ্গে রকমারি মসলার অদ্ভুত সম্পর্ক বহুদিন ধরেই চলে আসছে। রাধুনীর হাত যশ এবং ভাল মশলার গুণ। এই দুটি একসঙ্গে

মিলে গেলে খাবার স্বর্গীয় সুখ দিতে পারে। খাবারকে সুস্বাদু করতে যুগের পর যুগ ধরে নানান রকম মশলার ব্যবহার হয়ে আসছে। সেসব মশলার মধ্যে কিছু কিছু অনেক দামিও রয়েছে। তবে হয়তো এই মশলার মতো এত দামী কিছু নেই। এক কেজির দাম আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা। বুঝতেই পারছেন, এক কেজি কিনতে গেলে আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের

অনেকটাই শেষ হয়ে যাবে। এই মশলা যে গাছ থেকে হয় সেটিও বিশ্বের সবথেকে দামি ফুলের গাছ। জানেন, কী সেই সেই মশলার নাম? কেশর। ভারত, স্পেন, ইতালি জার্মানি, সুইজারল্যান্ডের মতো দেশে কেশরের ফলন হয়। ভারতে জম্মুর কিমসাতবার এলাকায় কেশরের চাষ হয়। এছাড়া কাশ্মীরের পম্পেওতে কেশরের চাষ হয়। প্রায় দেড় লাখ ফুল থেকে

মাত্র এক কেজি কেশর হয়। তাই এই মশলার এত দাম। সোনার মতো চড়া দাম বলে কেশরকে রেড গোল্ড বলা হয়। কথিত আছে ২৩০০ বছর আগে গ্রিসে প্রথম কেশরের চাষ শুরু হয়েছিল। তবে অনেকেই বলেন প্রথমবার কেশরের চাষ হয়েছিল স্পেনে। এখনও পৃথিবীর সব থেকে বেশি কেশরের চাষ হয় স্পেনে। কেশর ফুলের গন্ধ এতটাই চড়া হয় যে

আশেপাশের এলাকা সুগন্ধে ভরে যায়। আরও পড়ুন- গরমে চাঙ্গা থাকতে ভরসা ঘোল, জেনে নিন তৈরির সঠিক উপায় প্রতিটি ফুল থেকে সব থেকে বেশি হলে মাত্র তিনটি কেশর পাওয়া যায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন কেন দেড় লাখ ফুল থেকে মাত্র এক কিলো কেশর পাওয়া যায়! আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি থেকে শুরু করে ভাল কোনো রান্না, কেশরের ব্যবহার

হয় বহু ক্ষেত্রে। রক্ত পরিশোধন থেকে লো ব্লাড প্রেসারের রোগীদের চিকিৎসা, কেশর উপকারী বলে প্রমাণিত। এখন কিছু কিছু পান মশলায় কেশরের ব্যবহার হচ্ছে। খুব অল্প পরিমাণ কেশর সুগন্ধ ছড়িয়ে দিতে পারে। তাই এর ব্যবহারিক প্রয়োগ হয় খুবই অল্প। চিকিৎসার ক্ষেত্রেও কেশরের ব্যবহার হয়।

Check Also

শ্যাম্পুর সঙ্গে চিনি মেশালে মু’হূর্তেই মিলবে যে আ’শ্চর্য উপকার!

ময়লা চুল প’রিষ্কার করার জন্য সবাই শ্যাম্পু ব্যবহার করেন। এতে চুল প’রিষ্কার, সিল্কি ও শাইনি ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *