









রাশিয়ার ওয়মিয়াকন গ্রাম, যেখানে তাপ’মাত্রা মাইনাস ৭১ ডিগ্রি সেলসিয়াস! এখন পৌষের শেষ। এই শীতের দিনে যদি মনে হয়, ঠান্ডাই আপনাকে সবচেয়ে কষ্ট দিচ্ছে, তাহলে একবার রাশিয়ার ওয়মিয়াকন গ্রামের কথা ভাবুন, যেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ৭১ ডিগ্রি সেলসিয়াস!





জানুয়ারিতে এই গ্রামের গড় তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই গ্রাম পৃথিবীর সবচেয়ে ঠান্ডা স্থান। এটি ঠান্ডার শেষ সীমানা নামেও পরিচিত। ওয়মিয়াকন গ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাইনাস ৭১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।





সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানায়, ওয়মিয়াকন গ্রামে প্রায় পাঁচশ মানুষ বাস করেন। মূলত বল্গা হরিণ পালন, শিকার ও মাছধরা এদের প্রধান পেশা। প্রচণ্ড ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে এখানকার অধিবাসীরা ফসলের চাষ করতে পারেন না। বল্গা হরিণই এদের খাবারের প্রধান উৎস।





গ্রামবাসী এখন ঠান্ডায় অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তবে মাইনাস ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা নেমে গেলে গ্রামটির একমাত্র স্কুলটি বন্ধ রাখা হয়।
প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে ওয়মিয়াকন গ্রামের বাসিন্দাদের বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে কলমের কালি জমে যাওয়া কিংবা একবার বন্ধ করার পর গাড়ি আবার চালু করা। এ ছাড়া ঠান্ডার কারণে ব্যাটারি দ্রুত তার কার্যক্ষমতা হারায়। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, গ্রামের কেউ মারা গেলে বরফের কারণে তাঁকে কবর দেওয়ার জায়গা পাওয়া যায় না।
সেক্ষেত্রে মৃতদেহভর্তি কফিন সমাধিস্থ করার আগে কবর খননের জন্য আগুন জ্বালিয়ে বরফযুক্ত মাটি কাটা হয়, যা করতে অন্তত তিন দিন সময় লাগে। তবে এটাও ঠিক যে এই তাপমাত্রার করণেই ওয়মিয়াকন গ্রামটি পর্যটকের জন্য আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। কিছু কিছু ভ্রমণবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘পোল অব কোল্ড’ বা ‘ঠান্ডার শেষ সীমানা’ সফরের জন্য নতুন ভ্রমণ পরিকল্পনা তৈরি করেছে।



















