









মশা। এক য’ন্ত্রণাদায়ক পতঙ্গের নাম। বিরক্তিকর উপদ্রবের পাশাপাশি তারা রোগজীবাণু সংক্রামণ করে। এই মশা অনেক সময় মানুষের মৃ’ত্যুর কারণ হতে পারে। মশার মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া, পীত জ্বর, জিকা ভাইরাস প্রভৃতি মা’রা’ত্মক রো’গ সংক্রমিত হয়ে থাকে। স্প্রে, কয়েল, অ্যারোসল কোন কিছুতেই মশা তাড়ানো সহজ নয়। আবার এসব দিয়ে মশা তাড়ালেও আমাদের স্বাস্থ্য এতে চরম ভাবে ক্ষ’তিগ্রস্থ হয়।





অথবা আপনি বলতে পারেন আমার কাছে ব্যাট আছে। কিন্তু মশার সাথে কতদিন ব্যাডমিন্টন খেলবেন? ১০টা মারবেন ১০০ মশা সামনে এসে হাজির হবে। আপনি মরে যাবেন কিন্তু আপনার মশা মারা আর শেষ হবে না!





এবার জেনে নিন কিভাবে মাত্র ২০ টাকা খরচ করে পুরো এক বছর মশার উপদ্রব থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। তবে তার আগে আপনাকে কয়েল এবং এ্যারোসলের ক্ষ’তিকর দিক সম্পর্কে জানতে হবে। তা নাহলে আপনার মাথায় ওগুলোই ঘুরপাক খাবে।





কয়েলের মানব দেহের জন্য ক্ষ’তিকর দিক:
(১) আপনি যদি একটি মশার কয়েল টানা ৮ ঘন্টা জ্বালিয়ে রাখেন তাহলে ১৩৭টি সিগারেটের পরিমাণ বিষা’ক্ত ধোঁ’য়া আপনি গিলছেন।
(২) কয়েলে যে গুঁড়া দেখেন সেটা এতটাই সূক্ষ্ম যে তা সহজেই আমাদের শ্বাসনালীর এবং ফুসফুসের পথে গিয়ে জমা হয়ে বি’ষাক্ততা তৈরি করে।
(৩) কয়েলের ধোঁয়া চোখের ভীষণ ক্ষ’তি করে, দীর্ঘদিন ব্যবহারে চোখের ভ’য়াবহ ক্ষ’তিসাধ’ন হতে পারে।
(৪) কয়েল মশাকে তাৎক্ষণিক মারে; কিন্তু মানবদেহে স্লো পয়জনিং সৃষ্টি করে। ফলে ধীরে ধীরে মানুষ মৃ’ত্যুর দিকে ধাবিত হয়।





এ্যারোসলে মানব দেহের জন্য ক্ষ’তিকর দিক:
(১) এ্যারোসল হার্টের জন্য খুবই ক্ষ’তিকর। মানব দেহের হার্ট সরাসরি এ্যারোসলের দ্বারা ক্ষ’তিগ্রস্থ হয়।
(২) এ্যারোসলের ক্যামিকেল চোখের ক্ষ’তি করে, দীর্ঘদিনের ব্যবহারে চোখের কার্যক্ষ’মতা পুরোপুরি ন’ষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এবার জেনে নিন কীভাবে বানাবেন মশার ফাঁ’দ





প্রয়োজনীয় উপকরণ:
(১) দুই লিটারের একটি প্লাস্টিকের বোতল (সেভেনআপ/কোক/ফান্টা/আরসি কোলা যে কোন পিইটি বোতল)।
(২) এক গ্লাসের তিন ভাগের দুই ভাগ (২০০ এমএল) ফুটানো ইষৎ গরম পানি।
(৩) এক কাপের তিন ভাগের ২ ভাগ ব্রাউন সুগার (খোলা চিনি হলে ভালো তবে পরিশোধিত চিনি হলেও চলবে)।
(৪) এক চামচ ইষ্ট (যে কোন সুপার শপ বা বড় মুদি দোকানে পাবেন)।





প্রস্তুত প্রণালী:
মশা থেকে মুক্ত থাকতে হলে আপনাকে প্রস্তুত প্রাণালী ধাপে ধাপে অনুসরণ করতে হবে। প্রথমে প্লাষ্টিকের বোতলটি ওপর থেকে ৩/৪ ইঞ্চি রেখে একটি চাকু দিয়ে কে’টে ফে’লুন। তারপর নিচের বড় (বোতল) অংশটিতে ব্রাউন সুগার বা খোলা চিনি বা পরিশোধিত চিনি ঢে’লে দিন। নাড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই। তারপর এক কাপ ফুটানো পানি ঢালুন। তারপর এক চামচের তিন ভাগের দুই ভা’গ ইষ্ট ছে’ড়ে দিন।





এবার বোতলের ওপরের অংশটিকে চিৎ করে বড় বোতলের ভে’তর ব’সিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন বোতলের ওপরের অংশের মুখের ছিপিটি যেন অবশ্যই খোলা থাকে। কারণ ওখান থেকেই মশা ভেতরে ঢু’কবে। এরপর একটি টেপ দিয়ে বড় এবং ছোট অংশটির জো’রা শ’ক্ত করে লা’গিয়ে দিন। ব্যস! হয়ে গেলো মশা মা’রার হোমমেড ফাঁ’দ। এবার ফাঁদটিকে ঘরের যেকোনো কোনায় রেখে দিন। চলতে পারবেন পুরো এক বছর।
সর্তকতা:
বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন। যাতে তারা ভুলে খেয়ে না ফে’লে।
























