Wednesday , September 27 2023
Home / Hindu / পায়ে কালো কার বা সুতো পড়ার গুনাগুন যদি জানেন, আপনি হয়তো আজ থেকেই পরা শুরু করবেন, দেখুন একবার

পায়ে কালো কার বা সুতো পড়ার গুনাগুন যদি জানেন, আপনি হয়তো আজ থেকেই পরা শুরু করবেন, দেখুন একবার

“বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর”। আমাদের সমাজে শাস্ত্র মেনে আজও কিছু কাজ করা হয়, যেটিকে মানুষ কুসংস্কার বলে থাকেন। তবে যারা এই শাস্ত্র মতে কাজগুলো করেন তাদের জীবনে সাফল্য আসে। যেমন জ্যোতিষশাস্ত্র।

জ্যোতিষশাস্ত্র মতে অনেকেই নিজের দেহে পাথর ধারন করেন নিজের বিপদ কাটানোর জন্য। অনেকে এটা নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপও করে। কিন্তু মনে যদি বিশ্বাস রেখে পাথর ধারন করা যায় তবে সব ফাড়া কেটে যায়। সাফল্যের দিকে এক কদম এগোনো যায়।

তেমনই একটি জিনিস হল কালো রঙের সুতো। মাঝে মাঝেই দেখা যায় কিছু মানুষের হাতে কিংবা পায়ে কালো সুতো বাধা। এর কারন জানতে চাইলে তারা জানায় যে কালো সুতো বাঁধলে নাকি সব বিপদ আপদ কেটে যায়। সব কু নজর মুক্ত হয়ে যায়।

কিন্তু অন্য কোনো সুতো নয়, শুধু কালো সুতোই কেন। উত্তর জানতে চাইলে তারা কেউ উত্তর দিতে পারে না সঠিক। চিরাচরিত প্রথা ও নিজের মনের বিশ্বাস থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। আসল কারন অনেকরই জানা নেই। আসুন জেনে নেই সেই কারন কি।

আমরা সবাই জানি বাড়ির কোনো শুভ কাজে কালো রঙের কোনো জিনিস পড়তে নেই। বাড়ির বয়স্করা বলে থাকেন কালো রঙ নাকি অশুভ প্রতিক। কোনো শুভ কাজে এই রঙের ব্যবহার করা উচিত নয়। আমরা সবাই দেখেছি দেশের শোক পালন করার সময় কালো পতাকা টানানো হয়।

কিন্তু এই কালো রঙের সুতো যদি ডান হাত কিংবা পায়ে বাঁধা যায় তবে সম্পুর্ন বিপরীত ঘটনা ঘটে৷ দেখা যায় সব বিপদ কেটে গিয়ে এবং জীবনে নতুন পথের সঞ্চার হয়। আর মানুষ বিশ্বাস করে যে কালো রঙ অনেকে নেগেটিভ এনার্জিকে জীবন থেকে দূর করে। এই রঙের ধাগা অনেক বিপদের মুখে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।

মানুষ খুব নিশ্চিন্ত বোধ করে। আর সেই বিশ্বাস থেকেই এই কালো রঙের ধাগা বাঁধার উৎপত্তি। আসলে সবটাই মনের বিশ্বাস। যদি এই ধাগাকে বিশ্বাস করে পড়া যায় তবে সব বাঁধা কেটে যেতে বাধ্য। মনের মধ্যে কোনো সংশয় নিয়ে এই সুতো বাঁধলে উপকার পাওয়া যাবে।

ভয়ংকর ক্যানসার থেকে মুক্তি, রক্তচোষা জোঁকের লালায় !

রক্তচোষা জোঁকের লালায়- ‘বাড়ি নিয়ে যান। কিছু করার নেই। রোগীর মেয়াদ বড়জোড় এক মাস।’ বছর পাঁচেক আগে এমনই নিদান দিয়েছিলেন হাজরার এক সরকারি হাসপাতালের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ। রোগীকে বাড়ি পাঠিয়ে শেষ ইচ্ছা পূরণের পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। কান্নার রোল উঠেছিল হাওড়ার সাঁতরাগাছির সামন্ত পরিবারে। বাড়ির কর্তা আশিস সামন্তর আয়ু যে আর মাত্র এক মাস!

আশিসবাবুকে যমের মুখ থেকে ছিনিয়ে এনেছে আয়ুর্বেদ। আরও ভালেোভাবে বললে রক্তচোষা জোঁক। সুশ্রুতের বিধান মেনে লিচ থেরাপি বা জলৌকা বচরণের মাধ্যমে আশিসবাবুকে দুরারোগ্য কর্কটরোগের অভিশাপ থেকে প্রায় মুক্ত করে ফেলেছে শ্যামাদাস বৈদ্যশাস্ত্রপীঠ।

অন্তত তেমনই দাবি রাজাবাজারের এ সরকারি আর্য়ুবেদ হাসপাতালের পঞ্চকর্ম বিশেষজ্ঞ আশিসকুমার দাসের। তিনি জানিয়েছেন, আশিসবাবুর মুখে রডেন্ট আলসার বা ব্যাসাল সেল ক্যানসার হয়েছিল। রোগের ছোবলে নষ্ট হয়ে যায় বাঁ চোখ। ক্যানসার ছড়িয়ে পড়েছিল পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত। থাবা বসিয়েছিল ডান চোখেও। ভয়ংকর হয়ে গিয়েছিল মুখাবয়ব।

পাঁচ বছর লড়াইয়ের পর ৬২ বছরের আশিসবাবু এখন অনেকটাই সুস্থ। স্বভাবতই খুশি রোগীর পরিবার। এক মাসের আয়ু নিয়ে পাঁচ বছরের বেশি সময় পার করে দিলেন আশিসবাবু! কিন্তু ক্যানসার হাসপাতালের চিকিৎসকরা যা করলেন না, তা সামান্য জোঁক করে ফেলল কী করে? আর্য়ুবেদ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শুধু জোঁক থেরাপি নয়, আশিসবাবুকে কিছু ওষুধও দেয়া হয়েছিল। এবং অবশ্যই সকালে খালিপেটে ৩০ মিলিলিটার শোধিত গো মূত্র বা গোধন-অর্ক।

রক্তমোক্ষণ থেরাপি বা ‘ব্লাড লেটিং’ প্রায় হাজার পাঁচেক বছরের পুরানো চিকিৎসা পদ্ধতি। এই চিকিৎসা পদ্ধতিরই অন্যতম জলৌকা থেরাপি বা লিচ থেরাপি। অনেকে একে হিরুডোথেরাপিও বলে থাকেন।

প্রথমে রোগীর ক্ষতস্থান বা রোগগ্রস্ত জায়গায় তিন-চারটি ‘হিরুডো মেডিসিনালিয়া’বা নির্বিষ জোঁক বসানো হয়। আয়ুর্বেদ পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তথা শ্যামাদাস বৈদ্যশাস্ত্রপীঠের অধ্যাপক প্রদ্যুৎবিকাশ কর মহাপাত্র জানিয়েছেন, ‘সাকার’দিয়ে এক একটি জোঁক ২ থেকে ১৫ মিলিলিটার রক্ত শুষতে পারে। সেই সঙ্গে মুখ থেকে এক ধরনের লালা মিশিয়ে দেয় রক্তে।

লালায় হিরুডিন, ক্যালিক্রেইন, ক্যালিনের মতো কিছু উৎসেচক থাকে। আর থাকে গিলান্টেন। যা ব্রেস্ট, মেলানোমা, লাং, প্রস্টেট ক্যানসার সারাতে সাহায্য করে। খোদ বিধানচন্দ্র রায়ও এই পদ্ধতি চিকিৎসা করতেন বলে শোনা যায়। তবে লিচ থেরাপিতে চূড়ান্ত পর্যায়ের রডেন্ট ক্যানসার সেরে ওঠা দারুণ খবর।

Check Also

তারা মায়ের স্বপ্নাদিষ্ট অব্যর্থ ওষুধ খেয়ে সুস্থ হন রোগীরা, রয়েছে ৪০০ বছরের প্রাচীন মন্দিরের মাহাত্ম্য

তারা মায়ের স্বপ্নাদিষ্ট অব্যর্থ ওষুধ খেয়ে সুস্থ হন রোগীরা, রয়েছে ৪০০ বছরের প্রাচীন মন্দিরের মাহাত্ম্য ...