









এই বছরের এপ্রিল মাসে, ৪০ বছর বয়েসী ধনী রাম সাগগু তার বাড়ির চারপাশে পড়ে থাকা প্লাইউড জোগাড় করে,একটি বৈদ্যুতিক করাত, একটি স্প্যানারের সাহায্যে কাঠের সাইকেল তৈরি করলেন। দীর্ঘ চার মাস ধরে দুইবার ব্যর্থ চেষ্টার পর সফল হলেন তিনি।এটির দাম ১৫,০০০ টাকা। শখের জন্য নয়,করোনা মহামারী এবং পরবর্তী লকডাউনের কারণে কাজ হারানোর কথা আগেই বুঝতে পেরেছিলেন তিনি।





তিনি বলেছেন,”আমি একজন ছুতার। সাধারণত, আমি আলমারি, দরজা, তাকগুলি তৈরির বরাত পেতাম এবং কখনও কখনও আমি এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ভাঙা জিনিসগুলি মেরামত করতাম। নির্মাণকে পুরোপুরি থামিয়ে দিয়ে এবং জীবিকার কোনও উপায় ছাড়াই আমি নিজেকে সচল রাখতে এবং





নতুন দক্ষতা শিখতে অন্যরকম কিছু তৈরির চেষ্টা করলাম। তবে, আমার সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে বাড়িতে পাওয়া কাঁচামাল পাতলা কাঠ সহ সরঞ্জাম”। কীভাবে সাইকেল তৈরি করা যায় তা বোঝা ধনী রামের পক্ষে কঠিন ছিল না। সাইকেলের দোকানে কাজ দেখে সময় কাটাতেন তিনি।





একদিন কাগজে সাইকেলের নকশা আঁকেন তিনি। এরপর প্লাইউড দিয়ে সাইকেলের চাকা, রিমস,হ্যান্ডেল তৈরি করেন। একটি পুরনো সাইকেল থেকে চেন,প্যাডেল, সিট,চাকা,স্ট্যান্ড কাঠের বডির সাথে যুখ করেন। ধনী রাম জানিয়েছেন,এক মাসের বেশি সময় লেগেছিল এই মডেল তৈরি করতে।





তার দ্বিতীয় চেষ্টা করার জন্য, তিনি নকশাকে কিছুটা সংশোধন করলেন যাতে কাঠের ফ্রেমটি চাকা এবং ব্রেকগুলিকে সমন্বিত করতে পারে। ধনী রাম বলেছেন যে যদিও এই নকশাটি চলাচল করার জন্য উপযুক্ত ছিল তবে তিনি এটি আরও পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন যাতে তিনি সামনে একটি খাঁচা আর মাড- গার্ডস লাগাতে পারেন।





পরের মাসে একটি দোকান থেকে কাঠ, সিট আর ব্রেক সংগ্রহ করেন। চূড়ান্ত পণ্যটির ওজন ২০ কেজি এবং ১৫০ কেজি পর্যন্ত বহন করতে পারে। সাইকেলটি ওয়াটার প্রুফ। নিজের তৈরি প্রথম সাইকেল চন্ডিগড়ে বিক্রি করেছেন।





দক্ষিণ আফ্রিকা এবং কানাডার ব্যক্তিদের কাছ থেকে সাইকেল তৈরির বরাত পাচ্ছেন তিনি। মোট ১০ টি সাইকেলের অর্ডারের মধ্যে ৭টি তৈরি করেছেন তিনি। চন্ডীগড়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাকেশ সিংহ এই কাঠের সাইকেলে প্রত্যহ যাতায়াত করেন। যদি আপনি এই সাইকেল ক্রয় করতে চান,7087697652 এ একটি অর্ডার দিতে পারেন।
























