সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আজকাল কমবেশি সবাই ভাইরাল হয়ে যায়। কেউ ছবিতে নতুন পোজ দিয়ে ভাইরাল হয়। তো কেউ নতুন বাইক কিনে ভাইরাল। আবার এমনও মানুষ আছেন যারা নিজেদের প্রতিভা প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে ভাইরাল হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনের সঙ্গে এমন ভাবে মিশে গেছে যে নতুন কোন কিছু কিনলে এই প্রজন্ম আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করে। বিভিন্ন সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে যেমন নানা রকম খারাপ জিনিস ভাইরাল হয় ঠিক তেমনি অনেক সময় অনেক ভালো জিনিসও ভাইরাল হয়ে যায়। অনেক মানুষ এই সোশ্যাল – মিডিয়ার মাধ্যমেই হয়ে যান বিখ্যাত।
এই সময়ে দাঁড়িয়েই এক শিশু সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হলো। সে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। তার বয়সী ছেলেমেয়েরা যেখানে আর্থিক অবস্থার কথা চিন্তা না করে পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে সেখানে এই শিশুটি বাতিক্রম। হ্যাঁ তার ভাইরাল হওয়ার কারণটা অবশ্যই ব্যতিক্রম। সে কোন নতুন জিনিস কিনে ভাইরাল হয়নি বা কোন প্রতিভা প্রকাশের মাধ্যমে ও না। তার জীবন সংগ্রাম ই তাকে ভাইরাল করেছে। ভাবছেন তো কী কারণে সে ভাইরাল হলো?
ফেসবুকে তাকে দেখা গেল মায়ের কাজে সাহায্য করতে। অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছলতা নেই তাদের পরিবারে। তাই মায়ের সিঙ্গারা বিক্রির কাজে সেও সাহায্য করছে। চতুর্থ শ্রেণীতে পড়া সেই শিশুকে দেখা গেল সিঙ্গারা বিক্রি করতে। পড়াশোনার অবসরেই সে তেলেভাজা বিক্রি করে।
একইসাথে সে যেমন নিজের পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার তেমনি মাকে সংসার চালাতেও সাহায্য করছে। মুহুর্তের মধ্যে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় এই ভিডিও। কুড়ি হাজার নেটিজেন এই ভিডিওটি দেখে ফেলেছেন।
শিশুর লড়াই করার এই মানসিকতাকে তারা প্রশংসা করেছেন। লেখাপড়া মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধিতে সাহায্য করে কিন্তু নিজের জায়গা প্রতিষ্ঠা করতে গেলে মানুষকে লড়াই করেই সেটি করতে হয়। ছোট্ট শিশুর এই লড়াই তাই স্বাভাবিকভাবেই নেটিজেনদের মন কেড়েছে। অসংখ্য মানুষ তাই এই ভিডিওটিকে শেয়ার করেছেন।