









শিক্ষক নিয়োগ সহ রাজ্যের একাধিক সরকার বিভাগের কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়াকে নিয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি যুব মোর্চা। আর এবার করোনা আবহের মধ্যে বিজেপির এরকম এক কর্মসূচিকে ঘিরে নতুনভাবে রাজ্যে মাত্রা পেয়েছে বাংলার কর্মসংস্থান প্রসঙ্গ। এবার করোনা আবহের মধ্যে বিরোধীদের সমস্ত ইস্যুকে উড়িয়ে দিয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কর্মসংস্থান ইস্যুতে নতুন প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। যার দরুন পুজোর আগেই চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর দিয়ে কর্ম সাথী প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার যেখানে পাওয়া যাবে দু লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ।





এই প্রকল্পের দরুন ঋণ নিয়ে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি মাপের ব্যবসা শুরু করতে পারবে রাজ্যের যুবসমাজ, এক্ষেত্রে 18 থেকে 50 বয়সী যেকোন ব্যক্তি এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বর্তমান যুব সমাজকে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যেই এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে।এক্ষেত্রে কারা আবেদন করতে পারবেন? এই প্রকল্প থেকে কী কী সুবিধা মিলবে কত টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে সবকিছু উল্লেখ করা রয়েছে গেজেটে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত মে মাসে এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন যেখানে তিনি বলেছিলেন, যে কর্ম সাথী প্রকল্প টি রয়েছে সেটি রাজ্যে বেকার যুবক-যুবতীদের আত্মনির্ভর করে তোলার উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে।





যেখানে 18 থেকে 50 বছর বয়সী যে কোন ব্যক্তিই এই প্রকল্পের দরুন আত্মনির্ভর হওয়ার সুযোগ পাবেন।এক্ষেত্রে প্রতি বছর 1 লাখ বেকার যুবক যুবতীকে সরকার কর্ম সাথী প্রকল্পে ঋণ এবং ভর্তুকি প্রদান করবে গ্রাম্য কিংবা শহর যেকোনো জায়গায় বেকার যুবক যুবতীরা এই প্রকল্পের অধীনে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর এক্ষেত্রে যাদের আগে থেকেই এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংকের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তারা অগ্রাধিকার পাবেন। এক্ষেত্রে যারা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করবেন আবেদনকারীকে ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণী পাস হতে হবে, এরই পাশাপাশি বলে দেওয়া হয়েছে একটি পরিবার থেকে কেবলমাত্র একজনই আবেদন করতে পারবেন এর জন্য। তবে এখানে পরিবার বলতে বোঝানো হয়েছে মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী দের।





উৎপাদন, পরিষেবা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য এক্ষেত্রে দু লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন এবং ভর্তুকি দেওয়া হবে তবে এক্ষেত্রে প্রকল্পের যা মূল্য হবে তার 5 থেকে 10% টাকা আবেদনকারীকে জোগাড় করতে হবে। 50 হাজার টাকা পর্যন্ত প্রকল্পের জন্য 5% এবং 50 হাজার থেকে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত যে প্রকল্পটি রয়েছে সেটির জন্য আবেদনকারীকে 10% টাকা জোগাড় করতে হবে।তাছাড়া এক্ষেত্রে তপশিলি জাতি,উপজাতি ও সংখ্যালঘু এবং মহিলা আবেদনকারী উভয় ক্ষেত্রে 5% টাকা জোগাড় করলেই হবে।আর এই প্রকল্পে শুরুতেই 15% টাকা ভর্তুকি হিসাবে প্রদান করবে সরকার আর বাকি যে 75 থেকে 80 শতাংশ টাকাটি রয়েছে সেটি কম সুদে দেবে রাজ্য সমবায় ব্যাংক।





আর এক্ষেত্রে যারা সময়মতো এই ঋণ পরিশোধ করে দেবেন তারা মোট সুদের 50% ফেরত পেয়ে যাবেন।এক্ষেত্রে দুটি পর্যায়ে উদ্যোগীদের ঋণ প্রদান করা হবে প্রথম দফায় ঋণ দেওয়ার পর খরচের খতিয়ান জমা দিতে হবে এরপর দেওয়া হবে তৃতীয় দফার ঋন। এই জন্য অফলাইন,অনলাইন দুই পদ্ধতিতেই অ্যাপ্লিকেশন জমা দেওয়া যাবে আবেদন করার জন্য এক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়বে পরিচয় পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমান, বয়সের প্রমাণ, স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণ।যদিও এর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন বাংলাতে বেকারত্বের হার প্রায় 40% কমেছে আগের তুলনায়। 1 কোটি 36 লাখ বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান দিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের তরফ থেকে মনে করা হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যুবসমাজকে এইভাবে আর্থিক দিক থেকে স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যে যে কর্ম সাথী প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে সেটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
























