









নচিকেতার ফেলে আসা দিনগুলো কেমন ছিল জানেন? জেনে রাখুন তার জীবনের ইতিহাস -“আশুতোষ কলেজের ফুটপাথ। ওখানকার একটা চায়ের দোকানে বসে থাকতাম। অনেকেই তাই ভাবত, আমি ওই কলেজের ছাত্র। ভুল ভাবত। আমি আসলে মণীন্দ্র কলেজের ছাত্র। তাহলে সেখানে কী করতাম সারাদিন ? তখন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা আমার ফ্যান।





গানের এলবাম সবে হিট করেছে। আমার গান তাদের মধ্যে খুব পপুলার। সেই চায়ের দোকানেই সবাই আসত কলেজ সোশ্যাল গানের শো-এ আমাকে বুক করার জন্য। তখন আমার কী অবস্থা জানো ? -বুকিং নম্বরস ? নেই। কোন নম্বর ? নেই। ঠিকানা ? কেয়ার অফ ফুটপাথ। সিগারেটের প্যাকেটে লিখে রাখতাম কখন কোথায় পৌঁছাতে হবে। হ্যা, আরও একটা কারণ ছিল। আশুতোষ কলেজের উল্টোদিকে চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হসপিটাল। মায়ের দূরারোগ্য ক্যান্সার। সেখানে ভর্তি। মা। আমার সবচেয়ে ভালবাসার মা। তাঁর হাত শক্ত করতে হবে।





কলেজ পেরিয়ে এই ভাবনাই তখন ছিল। তাই গ্র্যাজুয়েশনের পর রবীন্দ্রভারতীতে মিউজিক নিয়ে পড়তে যাওয়াকে মনে হয়েছিল বিলাসিতা। আমাকে রোজগার করতে হবে। আমার বাবা। স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন অনুশীলন সমিতিতে। তালপত্র পেয়েছিলেন। পরবর্তীকালে যোগ দিয়েছিলেন অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টিতে। আজীবন স্বপ্ন দেখে গেছেন বদলের। ‘আমি ভবঘুরেই হব’- এটা কি আমি বাবার কাছ থেকেই ইনহেরিট করেছিলাম ? হয়তো তাই।





১৬ বছর বয়সে বাবা হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়েছিলেন। ফিরে এলেন বছর তিরিশেক বয়সে। এতগুলো বছর কী করেছিলেন, কোথায় ছিলেন, আমাদের তার কিছুই জানা হয়নি। আমার যখন ১৯-২০ বছর বয়স, বাবা হঠাত চোখ বুজলেন। তারপরই হঠাত করে সব পাল্টে গেল। আমার বয়সটা বেড়ে গেল চড়চড় করে। তখন কলেজে পড়ি। আত্মীয়-স্বজনরা কোথায় সব উধাও হয়ে গেল। যেমন হয় আর কী ! কেউ আমাদের কোন খোঁজ খবর পর্যন্ত নিল না। বুঝলাম এটাই পৃথিবী। শুরু হল মাকে নিয়ে আমার লড়াই। বাবা চাকরি করতেন স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউটে। মা পাচ্ছিল বাবার পেনশন। ৭০০ টাকা। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে দুজনের চলে যাচ্ছিল। তবু মনে হল, নাহ! এভাবে কতদিন ? আমায় রোজগার করতে হবে। কিন্তু কিভাবে ?





আমি গান ছাড়া কিছুই জানিনা। আর কিছু তো পারিও না ছাই ! সেই সময় আমার পরিচয় হল মদন সুমনজির। আমার কাছে তিনি পিতৃস্থানীয়। অনেক মানুষের সঙ্গে তাঁর পরিচিতি। এক অসম্ভব প্রতিভাবান মানুষ। ওরকম ‘উইটি’ মানুষ খুব কম দেখেছি। ছিলেন রেডিও’র এনাউন্সার। তাঁর হাত ধরেই আমার প্রথম রোজগার। উনি সুযোগ করে দিলেন রেডিও অনামিকা, রেডিও জিঙ্গল-এ গান গাওয়ার। তখন আমার মেইন ন্যাক গজল। আমি ছেলেবেলা থেকেই গজল শুনতে ব্যাপক ভালবাসতাম। গাইতাম সবসময়, নিজের আনন্দে। এর একটা কারণ, আমার ছোটবেলার একটা সময় যেখানে কেটেছে, সে জায়গাটা ছিল অবাঙালি অধ্যুষিত। অন্য কথায় যাবার আগে একবার সেই জায়গার কথা বলি। ঠিকানা ৮৯ মুক্তারামবাবু স্ট্রিট।





আমার জন্মস্থান। লোকমুখে জায়গার পরিচিতি চোরবাগান। কাছেই রাজেন মল্লিকের বিখ্যাত মার্বেল প্যালেস। অদূরে বড়বাজার। এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষই অবাঙালি। আমি ভর্তি হয়েছিলাম সানবীমস কে জি স্কুলে। ছোটবেলার কিছু কিছু ব্যাপার মনের মধ্যে সারাজীবন থেকে যায়। সেরকম কিছু স্মৃতি নিয়ে আসে টাটকা বাতাসের আমেজ। যেমন আমার শৈশবের সেই স্কুলটা। এখনও মাঝে মাঝেই তার কথা মনে পড়ে। ওহ ! সেই গ্র্যান্ডফাদার পিয়ানো, সেই ঝাড়বাতি। এক অদ্ভুত মায়াময় টান সেই স্কুলের। আজও বুকের মাঝে বাজনা বেজে ওঠে। একদিন চলে এলাম শ্যামাবাজারে। সেখানে ছিলাম এক বছর। এখানে এসেই প্রথম বাইরের জগতের সাথে আমার পরিচয়। কেননা তার আগে আমাকে বাড়ি থেকে বেরোতে দেয়া হত না। ছোট ছিলাম তো। তারও পরের ঠিকানা বেলগাছিয়া এল.আই.জি. হাউজিং এস্টেট। চোরবাগানের ওই অবাঙালি পাড়াতেই হিন্দির প্রতি আমার বিশেষ আকর্ষণ জেগে উঠেছিল।





আমার গলা কিন্তু আদতে বোধহয় বাঙালির পছন্দের গলা নয়। একেবারে প্রথমদিকে তাঁরা আমার কন্ঠস্বর, গায়কী বিশেষ পছন্দ করেননি। আমার গলা মূলত অবাঙালি, পাঞ্জাবিদেরই পছন্দের। আমি তখন গজল গাই, বাংলা গান গাই। আরি লেখা বাংলা গান, তবে সেসব গান জীবনমুখী নয়। সে গান অন্যরকম। একটু ক্ল্যাসিক্যাল ধরণের। সেসব গান গেয়েই কখনও-সখনও টুকরো-টুকরো রোজগার, মাকে একটু সাহায্য। তারপর হঠাত বিয়ে করলাম। …এবং অবশ্যই ভালবেসে। সেই ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় থেকে ওঁর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব। ওর তখন ক্লাস ফাইভ। থাকতাম একই পাড়ায়। বেলগাছিয়ায় এল.আই.জি. হাউজিং এস্টেট। ওখানেই কেটেছে আমার বড় হওয়ার বেশিরভাগ সময়। বিয়ে করার পর বুঝলাম পৃথিবী আরও অনেক কঠিন জায়গা। সে সময় আমার স্ত্রীর ভূমিকা ভোলা যাবেনা কোনওদিন।





ওইই তখন রোজগার করে। টিউশন পড়ায়। আর আমি হন্যে হয়ে খুঁজছি কীভাবে কী করা যায়। কিন্তু সেভাবে কিছুই তো হয়না। মাঝে মাঝে ফ্রীল্যান্সে ফাংশন করি। তাতে সামান্য আয় হয়। তখন আমাদের কয়েকজনের একটা দল ছিল। আমি, তাপস চক্রবর্তী এবং আরও কেউ কেউ। তাপস এখন ফিল্ম-এডিটর। ও আমাকে খুব সাহায্য করেছিল। আমাকে মেন্টাল সাপোর্ট দিত। বলত, “নচি, তুই ঠিক পারবি। একদিন আমাদের সবাইকে ছাড়িয়ে যাবি” মেনকা সিনেমার কাছে একটা প্রডাকশন হাউস ছিল। নামটা এখন ঠিক মনে পড়ছে না। সেখানে টি.কে. বাসু নামের ভদ্রলোক আমাদের বসতে দিতেন। সকালে স্নান খাওয়া সেরে বেরিয়ে পড়তাম।





তারপর সেখানে আড্ডা মারতাম। আর ঘুরে বেড়াতাম বিভিন্ন প্রডাকশন হাউসগুলোতে। কাজের খোঁজে। কিন্তু কোথাও কাজ খুঁজে পাচ্ছিনা। ভিতরে ভিতরে সে কী অসহ্য যন্ত্রণা ! কোথাও আলোর চিহ্ন নেই। এভাবে বেকার ঠিকঠাক রোজগার ছাড়া কেটেছিল এগারো বছর। “কেয়ার অফ ফুটপাথ, নচিকেতা দু’টি হাত….” জীবনের এই সময়ের কথা বলতে যেয়ে মনে যাচ্ছে বেশ কয়েকজনের কথা। যাদের ভালবাসা আমাকে উজ্জীবিত করেছে বারবার। তাদের মধ্যে একজনের কথা সবার আগে বলা দরকার। তিনি না থাকলে আমার বোধহয় গায়ক হওয়াই হত না। তিনি পীযুষকান্তি সরকার। পীযুষ দা পিঠে হাত দিয়ে বলতেন, “নচিকেতা, কে কী বলে জানিনা। আমি মনে করি, তোমার গলা আন্তর্জাতিক মানের।” অবশ্যই একটু বাড়িয়ে বলতেন। আমি তখনও মনে করতাম, আমি সুর বুঝি, গান বুঝি, লিরিক পারি। ব্যস, এইটুকু।





কিন্তু আমার গলা কখনই গান গাইবার মত নয়। ঠিক ওই দুর্বল বিশ্বাসের জায়গায় আমাকে ইন্সপায়ার করতেন পীযুষ দা। আরেকজন, স্বপন বসু। আমার খুব কাছের বন্ধু। স্বপনদার অনেক ফোক গান আমি হিন্দি করে দিতাম। স্বপনদাও খুব ভালবাসত আমায়। একদিন তার কাছে লিখে নিয়ে গেলাম আমার ‘সারে জাহান সে আচ্ছা’ গানটা। বললাম, “স্বপনদা, এই গানটা তুমি গাও।” ওই গানেই লেখা ছিল, “হাসপাতালের বেডে টি.বি. রোগীর সাথে …” স্বপনদা বলল, “ওরে বাবা, এ কী!! এ গান কী করে গাইব? অনেক চেষ্টা করলাম ওঁকে দিয়ে গানটা গাওয়াবার। কিন্তু উনি গানটা গাইলেন না। স্বপনদা খুব ভাল মানুষ। মনে হয় কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। হবে নাই বা কেন ? তখনও গানের এই ট্রেন্ডই তো আসেনি।





আসলে প্রতিষ্ঠানবিরোধী চিন্তাভাবনা আমার ছোটবেলা থেকেই মনের মধ্যে গড়ে উঠেছে। বাড়িতে একটা রাজনৈতিক বাতাবরণ ছিল। আগেই বলেছি আমার বাবার কথা। সাধারণ মানুষের প্রতি ভালবাসা তাঁর থেকেই পাওয়া। রাজনীতির মূল বিষয়টা আমি বুঝতাম। মানে থিওরিটিক্যাল। একটা পলিটিক্যাল কনশাসনেস ছিল। সেখান থেকেই এইসব গানগুলোর জন্ম। এভাবেই দিন চলছিল। তারপর ১৯৯২ সাল। ৬ ডিসেম্বর। বাবরি মসজিদ ধ্বংস হল। কলকাতায় কয়েকদিনের জন্যে কার্ফ্যু জারি হল। সে সময় আমি লিখে ফেললাম “এই বেশ ভাল আছি” ! আমার এক বন্ধুকে শোনালাম। সে শুনে বলল, “দূর, এই গান কে শুনবে ?”





আমি বললাম, বাজি লড়, অবশ্যই লোকে শুনবে। আজ না হোক, কাল। শুনবেই। সে বাজি লড়েছিল। পরবর্তীকালে হেরেছিল। সে সময়ে লেকটাউনে সুভাষ চক্রবর্তী একটা অনুষ্ঠান করেছিলেন। নতুন-পুরোনো শিল্পীরা সবাই গান গাইছেন। আমিও সুযোগ পেলাম… মঞ্চে উঠে গাইলাম ‘এই বেশ ভাল আছি’ ! শ্রোতারা এই প্রথম এই ভাষা, এই ভাবনার কোনও গান শুনল । সবাই কেমন বিহ্বল। তাদের একদিকে শিহরণ জাগছে, ভাল লাগছে, কিন্তু ঠিকঠাক বোঝাতে পারছেনা। গানের একটা নতুন ধরণ সেই অনুষ্ঠান থেকে প্রথম জন্ম নিল। তার কয়েকদিন পরেই গঙ্গা উত্সব হবে। সুভাষ চক্রবর্তী বললেন, নচিকে দু’টো গান গাইবার সুযোগ দেয়া হবে। কারণ অনেক নামী শিল্পী সে অনুষ্ঠানে আছেন। ঠিক আছে, তাই সই ! জানতে পারলাম, সেই অনুষ্ঠানে আরতি মুখার্জি, ভুপেন হাজারিকার মত শিল্পীরা গান গাইবেন।





অনুষ্ঠান চলছে গঙ্গা বক্ষে। সঙ্গে নিয়ে গেছি মাত্র দুটো গান। ‘এই বেশ ভাল আছি’ আর ‘চোর’ কিন্তু দর্শক-শ্রোতাদের অনুরোধে পরপর গাইতে হল ন’টা গান। তারপর নামতে বাধ্য হলাম। অবাক হয়ে দেখছি, শ্রোতারা সমানে বলে চলেছেন,”আরো শোনান, আরো শুনব।” এরকম গান তারা আগে কখনো শোনেননি। হয়ত ভাবতেই পারেননি। কেউ বলে উঠল, “রোম্যান্টিক গান শোনান।” গাইলাম, ‘এই, তুমি কি আমায় ভালবাসো ?” গানের সব ব্যাকরণ তছনছ হয়ে গেল গঙ্গায় ! তারপর থেকেই শুনছি, লোকে খুঁজছে। গানের শো-তে ডাকবে। ফোন নম্বর চাইছে। নচিকেতার ফোনই নেই, তো ফোন নম্বর ! একদিন হঠাত খবর পেলাম, এইচ.এম.ভি-র ট্যালেন্ট সার্চ হচ্ছে। চলে গেলাম সেখানে। সুশান্ত ব্যানার্জি ছিলেন রেকর্ডিস্ট। কেন জানি না- প্রথম আলাপেই আমাকে ওঁর ভালো লেগে গিয়েছিল। ওরা চেয়েছিল আমার একটা ডেমো ক্যাসেট। কিন্তু সেটা করতে গেলেও তিন-চারশো টাকা লাগবে। সেই টাকাটাও তো তখন আমার কাছে নেই।





সুশান্ত ব্যানার্জি আমার সব কথা শুনলেন। উনি আমাকে এক্ষেত্রে খুব সাহায্য করলেন। আমাকে রবিবার দিন আসতে বললেন। তিনি আমার গান রেকর্ড করে দেবেন। সেই ক্যাসেট ট্যালেন্ট সার্চ-এ পাঠানো হবে। রেকর্ড হল চারটে গান। ‘অন্তবিহীন পথ চলাই জীবন’, ‘চোর’, ‘এই, তুমি কি আমায় ভালবাসো’ আর ‘এই বেশ ভাল আছি’ সাতদিন পরে এইচএমভি থেকে সোমনাথ চ্যাটার্জি দেকে পাঠালেন। আমি পাশ করেছি। আমার গান রেকর্ড হবে। বুকের অধ্যে দুরুদুরু বাজনা। এলো অগাস্ট মাস। বাড়িতে বসে আছি। খুব চিন্তা হচ্ছে। কী হবে, কে জানে। আমার রেকর্ড শুনবে তো লোকে ? আমার এক বন্ধু হঠাত এসে হাজির। বলল, “চল আমার সঙ্গে। শুনবি চল- তোর গান বাজছে। বলে কী ? অর মাথাটা কি বিগড়ে গেল? ওর বাইকে করে গেলাম এয়ারপোর্ট। ফাঁকা মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে শুনলাম। হ্যা, এ তো আমারই গান!!





শেষ পর্যন্ত আমার ক্যাসেট বেরিয়েছে। তার দুদিনের মধ্যে সমস্ত পশ্চিমবঙ্গে আমার গান বাজতে শুরু করল এবং ছড়িয়ে পড়ল। শুরু হয়ে গেল আমার নতুন পথ চলা। অন্তহীন… আলোর খোঁজে। খন তো সবকিছুই আমার হাতের নাগালে। তবু বারবারই মনে হয়, যাদের কিছু নেই বা কম আছে, তাদের কথা। মনে হয়, মানুষের কখনও শুধু নিজের জন্য ভাবা উচিত নয়। একটা মানুষের প্রয়োজন খুব বেশি নয়। কখনোই কেউ একা একসঙ্গে আটটা বিছানায় শুতে পারেনা বা একসঙ্গে আটটা গাড়িতে চড়তে পারেনা। তাই কোনকিছুই অতিরিক্ত ভাল নয়। পাশের মানুষদের কথাও ভাবা উচিত সবসময়।





গ্রন্থকীট হয়ে নয়, পৃথিবীর পাঠশালা থেকেই আমরা শিখতে পারি তার চেয়ে অনেক বেশি কিছু। অন্তবিহীন পথ চলাই জীবন, শুধু জীবনের কথা বলাই জীবন”… সেই কথা বলতে বলতে মনের কোণে উঁকি দিয়ে যাচ্ছে আরও হাজারো গল্প। যে গল্পগুলোর অধ্যে আছে হাজারো লড়াই, অনেক যন্ত্রণা, অনেক হতাশার কথা। মনে পড়ে যাচ্ছে আমার একসময়ের ঠিকানা সেই কেয়ার অফ ফুটপাথ। সেই অ্যাম্বিশান, আমি ভবঘুরেই হব’ আর একা একা পথ চলার কথা। অনন্ত স্মৃতি জুড়ে আমার মায়ের কথা। ভাগ্যিস নচিকেতার নাম হয়েছিল। না হলে মায়ের চিকিৎসা, ওষুধ-পত্রের খরচও দিতে পারতাম না। এখনও মাঝে মাঝেই মা স্বপ্নে এসে দাঁড়ান। গায়ে হাত বুলিয়ে বলেন, “টুটুন, ভাল আছিস ?
























