ওজন কমানোর জন্য চিন্তিত তিনি তাই গে’লেন ডাক্তারের কাছে। আর ডাক্তারও প’রামর্শ দিলেন রুটি খেতে হবে তিন বেলা। রো’গী তখন বললেন, রুটি কি ভাতের আগে খাবো নাকি পরে খাবো?কারণ ভাত এতো এতো মজা কোনোভাবেই ছাড়া সম্ভব নয় এই ব্য’ক্তির পক্ষে।
ভাতে বাঙালির পক্ষে অবশ্য দিনে এক বেলা ভাত খেয়ে থাকা কষ্টই। ভাত খাওয়া ছে’ড়ে লাভটা তো কিছু হয় না, মনটাও খাই খাই ক’রতে থাকে। ফলে এটা-সেটা হাবিজাবি খাওয়া হয়ে যায় অনেক। আর ফলাফল যা হবার হয় ঠিক তাই। ওজন আর নি’য়ন্ত্রণে থাকে না।
ভাতে মজে আছেন এমন ব্য’ক্তিরা ওজন নিয়ে দু’শ্চিন্তায় থাকলেও এবার শান্ত হোন। আপনারা যদি কিছু নিয়ম মেনে চলেন তাহলেই সম্ভব ওজন নিয়ন্ত্রণ করা।যেটুকু ভাত খাবেন, ঠিক সম পরিমাণ কাঁচা সবজির সালাদ খাবেন। অর্থাৎ যদি এক কাপ ভাত খান, তাহলে অবশ্য এক কাপ সালাদ খাবেন। খেতেই হবে। এই সালাদে থাকতে পারে শসা, টমেটো, বাঁ’ধাকপি, গাজর ইত্যাদি। খুব সামান্য লবণ, কোনও তেল দেবেন না।
ভাতের স’ঙ্গে ডাল খাবেন। মাছ বা মাংস যেকোনো একটা খাবেন। সালাদ, ডাল ইত্যাদি আপনার ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেবে এবং বেশি যেন খেয়ে না ফে’লে ন সেটা নিয়ন্ত্রণ করবে।ভাত খেতে শুরু করার আগে প্লেটে খাবার মেপে নেবেন এবং যেটুকু নেবেন ঠিক সেটুকুই খাবেন। বারবার প্লেটে খাবার নেবেন না। অনেকেই দুপুরে খাবার পর গোসল করেন।
এই কাজটি এখন থেকে আর করবেন না। এতে মেটাবোলিজম হার কমে যায় এবং খাবার হজ’ম হয় না, ওজন বাড়ে দ্রুত।দুপুরে ভাত খাওয়ার পর ঘুমবেন না, একেবারেই না এবং এক জায়গায় বসেও থাকবেন না। ভাত খাবার আধা ঘণ্টা পর ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করবেন। ভাত খেয়ে ওঠার পরপরই চা বা কফি পানের অভ্যাস থাকে অনেকের। এই অভ্যাসটিও ছে’ড়ে দিতে হবে।
রাইস কুকারে রান্না করা ভাত বা বসা ভাত খাবেন না এবং ভাতের সাথে কোনো আলু ভর্তা বা আলুর তরকারি খাবেন না। ভাতে কোনো বাড়তি তেল নেই বরং ভাত বেশ স্বা’স্থ্যকর একটি খাবার।এতক্ষণ যে নিয়মগুলো পড়লেন তা মেনে ভাত খান, তাহলেই পে’ট ভরবে, মন ভরবে কিন্তু ওজন বাড়বে না একটুকুও বরং কমবে যদি এর স’ঙ্গে নিয়মিত এক ঘণ্টা করে ব্যায়াম চালিয়ে যেতে পারেন।