Wednesday , September 27 2023
Home / News / দুটো হাতই নেই প্রতিবন্ধী,তবুও ক’রোনাকালে পা দিয়েই রোগীদের সেবা করছে এই হাসপাতাল কর্মী

দুটো হাতই নেই প্রতিবন্ধী,তবুও ক’রোনাকালে পা দিয়েই রোগীদের সেবা করছে এই হাসপাতাল কর্মী

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কাজ না করার জন্য একের পর এক অজুহাত দিতে থাকেন। অর্থাৎ বলা যেতে পারে কুড়েমি গ্রাস করেছে তাদের। তার মাঝে যদি কোন সমস্যার উদ্ভব হয় তাহলে তারা পিছু হটেন। তবে আজকের এই সমাজে এখনও বেশ কিছু মানুষজন আছেন যারা বাধা-বিপত্তি সবকিছুকে অতিক্রম করে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছে যান। বলা চলে, তাদের জন্যই আজকের সমাজে মানবিকতার ন্যূনতম চিহ্ন আমরা দেখতে পাই। আসামের ছোট্ট শহর সোনারির বাসিন্দা ২১ বছর বয়সী প্রিন্সি গোগোয়ের গল্পও একই রকম।

ছোটবেলা থেকেই প্রীন্সির দু’জনের হাত নেই। এতে দুঃখ পেলেও তিনি কখনোই নিজেকে কোণঠাসা করে রাখেন নি। বরং এই করোনার মহামারী চলাকালীনও তিনি হাসপাতালে কাজ করে তার পরিবারের যত্ন নিচ্ছেন। তিনি আজকাল গুয়াহাটিতে থাকেন এবং এখানকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে কাজ করেন।তার স্বপ্নটি বাস্তবায়িত করতে প্রিন্সি তার নিজের পা কে কাজে লাগিয়েছেন। তিনি হাসপাতালে ফোন তোলা থেকে শুরু করে রোগীদের নাম লেখার মতো সমস্ত কিছুই নিজের পায়ের সাহায্যে করে থাকেন তিনি। প্রিন্সির এই উদ্যোগ দেখে সকলেই তাঁর প্রশংসা করেন।

চাকরি করা ছাড়াও প্রিন্সি গান ও পেইন্টিং করেন । এই দুটি কাজ তার খুব পছন্দের। নিজের পায়ের মাধ্যমে তুলির টানে ছবি আঁকেন তিনি। কিছুকাল আগে তিনি গণেশের একটি মূর্তিও তৈরি করেছিলেন। এই প্রতিমাটি ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল। প্রিন্সির একটি স্বপ্ন রয়েছে বিভিন্ন দক্ষ-দক্ষ শিশুদের জন্য একটি আর্ট স্কুল খোলার। এই পেইন্টিংগুলি বিক্রি করে তিনি যে পরিমাণ অর্থ রোজকার করবেন তা তাদের জন্য বিনিয়োগ করবেন। তিনি মনে করেন যে এই বিদ্যালয়ের বাচ্চাদের শিল্পের দক্ষতা শিখতে হবে এবং তারা যেন নিজেদের কখনো অক্ষম বলে মনে না করে।

এমনকি প্রিন্সির পরিবারেও তাদের মেয়ের এমন প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কোন দুঃখ নেই। বরং তারা তাঁর জন্য গর্ব করে। এই মেয়েটিই নিজের পরিবারের সমস্ত দায় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে। পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার সময় তাকে মানসিক রোগী বলে স্কুল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়েছিল। অবসাদগ্রস্ততার না ভুগে নিজের গ্রামের স্কুল থেকেই দ্বাদশ শ্রেণী পাস করেন তিনি।

শারীরিক সক্ষমতা না থাকার কারণে জীবনের এত উৎসাহ দেখে বেশ কয়েকটি সংস্থা তাকে সাধুবাদ জানিয়েছে। তিনি অনেক প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য অনুপ্রেরণা। তিনি বলেছিলেন যে, “আপনি যদি নিজের ভিতরে কিছু করতে চান তবে কোনও কিছুই আপনাকে সাফল্য অর্জনে বাধা দিতে পারে না”। আমরা আশা করি যে প্রিন্সির সমস্ত স্বপ্ন শীঘ্রই সত্য হয়ে উঠবে।

Check Also

কচি কাঁঠালের এঁচোড় দিয়ে চিংড়ি মাছ এইভাবে রান্না করলে তার স্বাদ হবে দারুন! গরম ভাতের সাথে জাস্ট জমে যাবে, রইলো স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি!

আমরা বাঙালি মাত্রই ভোজন রসিক, বিশেষ করে গ্রাম গঞ্জের লোকাল যত খাবার আছে, বিভিন্ন পালা ...