বেশ কয়েকটি আচার অনুষ্ঠান পালন করলে তুষ্ট হন মা লক্ষ্মী। যে যে আচার অনুষ্ঠানের ধরন অনুসরণ করলে দেবী প্রসন্ন হবেন জেনে নেওয়া যাক-
* প্রচলিত আছে, সমস্ত দেবতা তুলসী গাছে বাস করেন। তাই বাড়িতে তুলসী গাছ লাগালে ও সেখানে প্রতিদিন প্রদীপ জ্বালালে তুষ্ট হবেন মা দেবী। বলা হয়, তুলসী গাছ মা লক্ষ্মীর আরেক রূপ।
* পুজোর দিন ছাড়াও বাড়িতে প্রতিদিন যদি মা লক্ষ্মীর পায়ের চিহ্ন আঁকা যায় তবে ভাল। প্রতিদিন না আঁকলেও মা লক্ষ্মীর পুজোর তিথির দিন ও বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার পায়ের চিহ্ন আঁকলে দেবী তুষ্ট হন।
* প্রতিদিন স্নান করে পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করে লক্ষ্মী গায়ত্রী মন্ত্র ১০৮ বার জপ করলে মা লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হন। মন্ত্রটি জপ করার সময় পদ্মবীজের মালা ব্যবহার করা ভাল।
* বাড়ির কল্যাণের জন্য ঠাকুর ঘরে কড়ি ও শঙ্খ রাখা ভাল।
* বাঁশি বিষ্ণুর অবতার শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় এবং মা লক্ষ্মীরও প্রিয়। তাই বাঁশের বাঁশিকে কাপড়ে মুড়ে ঠাকুরের সিংহাসনে রাখলে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।
* দক্ষিণাবর্ত শঙ্খকে মা লক্ষ্মীর শঙ্খ বলা হয়। একটি পরিষ্কার কাপড়ে, রূপোর বা মাটির পাত্রের উপর রাখলে এই শঙ্খের মাধ্যমেই বাড়িতে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ আসে।
* প্রতিদিন মা লক্ষ্মীর মূর্তি বা পটের সামনে দু’টি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে পদ্ম, নারকেল ও ক্ষীরের নৈবেদ্য দিলে তুষ্ট হন মা লক্ষ্মী।
* লক্ষ্মী দ্বাদশ স্তোত্র টানা ১২ দিন ধরে ১২ বার ভক্তি ভরে উচ্চারণ করলে ঋণের বোঝার থেকে মুক্তি ঘটে।
* এছাড়া প্রতি শুক্রবার একটি মাটির প্রদীপে নয়টি সলতে জ্বালানো ভাল।