







ঈশ্বরের অপর নাম ডাক্তার প্রমাণ করলো শংকর, দেশজুড়ে যেখানে করোনা নিয়ে হৈচৈ সেখানে ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা যারা থ্যা’লাসে’মিয়ায় আ’ক্রান্ত তারা ঠিকমতো র’ক্ত পাচ্ছে না। এ সময় তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে তারা ঠিকমতো র’ক্ত জোগাড় করতে পারছে না। উল্টে বেড়ে যাচ্ছে ক’রনা সং’ক্রমণের ভ’য়। সারা বিশ্বে এখন ডাক্তার নার্স এটাই একমাত্র ভগবানই দ্বিতীয় হিসাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।




দিনরাত অ’ক্লান্ত পরিশ্রম করে বাঁ’চিয়ে তুলতে চাইছেন প্রত্যেকটি মানুষকে। তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে কল্যাণী জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। একটি শিশুর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা চারের ঘরে নেমে গিয়েছিল। বছর আটেক এর ছোট্ট শরীরটা বিছানায় লেগে গিয়েছিল। তখন শুধু দরকার র’ক্তের । র’ক্তের গ্রুপ বি প’জেটিভ।




র’ক্ত কোথায় ছোট শিশুটির মা হন্যে হয়ে এদিক ওদিক ঘুরে সন্ধান করেও রক্ত জোগাড় করে আনতে পারেনি। আস্তে আস্তে নে’তিয়ে পড়ছিল ছোট্ট শিশুটি। শিশুটি শিশুটির নাম জগন্নাথ হেমব্রম। ভে’ঙে পড়েছিল শিশুটির মা এই বুঝি বাঁ’চানো যাবে না তার সন্তানকে। এমন অবস্থায় কার্যত ভগবানের রূপ ধরে এগিয়ে এলেন একজন জুনিয়র ডাক্তার। যার র’ক্তের গ্রুপ বি প’জেটিভ।




তিনি সেই দিন সময় মত বি পজেটিভ র’ক্ত শিশুটিকে না দিলে শিশুটিকে বাঁ’চানোর মু’শকিল হয়ে যেত। এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকরা। এই মহান ব্যক্তির নাম ডক্টর শংকর দে। কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের এই তরুণ চিকিৎসক।তিনি কার্যত দেবদূত হয়ে জীবন দান করলেন কল্যাণীর বীরসিধুনগরের এর জগন্নাথ কে।




ডাক্তার শঙ্কর দে কে এই নিয়ে প্রশ্ন করায় তিনি বলেছিলেন যে ছেলেটির মায়ের অস’হায়তা নিজের চোখে দেখেছিলাম। সেদিন আমি মেডিসিন বিভাগে অনকল ছিলাম। আমি দেখলাম যে ছেলেটির অবস্থা সত্যি খুব সং’কটজনক হয়ে পড়েছিল। ছেলেটিকে দেখে আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। ছেলেটির হিমোগ্লোবিনের মাত্রা যেখানে ১২ থাকার কথা সেখানে ৪.৬ নেমে এসেছিল।




তীব্র অ্যা’নিমিক হয়ে পড়েছিল থ্যা’লাসেমিক জগন্নাথ। বিছানা থেকে উঠে বসতে পারছিল না। এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিল যে তার শরীরে কোন ক্ষ’মতা ছিল না। এই সময়ে র’ক্ত না দিলে পরিস্থিতি আমাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারত। শংকর কে কুর্নিশ জানিয়েছেন ওয়েস্টবেঙ্গল ডক্টর ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কৌশিক চাকি।




তিনি বলেছেন যে ক’রনার ম’হামা’রীর এই সময়ে ডাক্তাররা যে আরো দায়িত্বশীল হয়ে উঠেছেন তার প্রমাণ শংকরের র’ক্তদান। আমাদের সকলকে শংকর এর জন্য গর্ব করা উচিত। প্রত্যেক ডাক্তার এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে পারে। ডাক্তার শঙ্করে দের র’ক্তে সুস্থ হয়ে উঠেছে জগন্নাথ। রবিবার শিশুটি বাড়ি ফিরে এসেছে। এই ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছেন যে থ্যা’লাসেমিয়া রোগীদের কতটা বি’পদ অন্তত এই অবস্থায়।




সহজলভ্য গ্রুপ হলেও বি প’জেটিভ ডোনার জোগাড় করতে হি’মশিম খেতে হয়েছিল জগন্নাথের মা তবুও জোগাড় করে উঠতে পারেনি। বাচ্চাটির মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তা খুবই উ’দ্বেগজনক। বেশিরভাগ র’ক্তদাতা এই সময় বাড়ির বাইরে বের হতে চাইছেন না।কারো কারো মতে র’ক্ত দিলে এই সময় শরীর দুর্বল হয়ে যাবে।




ফলে ক’রোনা সং’ক্রমণের চান্স বেড়ে যাবে। তাই কেউই চাইছে না যে এই সময় বাইরে বেরিয়ে কাউকে র’ক্ত দেওয়ার জন্য।যদিও এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল বলে জানিয়েছেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডক্টর প্রসূন ভট্টাচার্য। তিনি বারবার বলেছেন যে র’ক্ত দিলে কখনো শরীর দুর্বল হয়ে যায় না।




একটা মানুষ র’ক্ত দেয়ার পর ছয় ঘণ্টার মধ্যে সেই র’ক্ত আবার তার শরীরে পুনরায় তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু লকডাউন এর জন্য বড় বড় র’ক্তদান শিবির গুলি এখন কাজ করতে পারছে না। কিন্তু এখন ছোট ছোট শিবির করার অনুমতি দেয়া হয়েছে আশাকরি এই র’ক্ত সং’কট কেটে যাবে খুব তাড়াতাড়ি।



















