









ত্বক সজীব রাখতে, চুল পড়া বন্ধ করতে, চুল ঘন ও লম্বা করতে, ত্বকের গ্লো ফিরে আনতে যে সকল কসমেটিক্ষ ব্যবহার করা হয়ে থাকে তার ভিতর অন্যতম হচ্ছে এলোভেরা। এলোভেরা অনেক রকম ওষধি উপাদান রয়েছে। তাই রুপচর্চায় এলোভেরার অনেক ব্যবহার রয়েছে। আসুন জেনে নেই এলোভেরা এর ব্যবহার ও কার্যকারিতা সম্পর্কে।





এলোভেরা ব্যবহারে করা হয় কোন কোন কারনে –
ব্রণ দূর করতে এলোভেরা ভালো কাজ করে
ত্বকের তেলতেলে ভাব কমায়
গোড়ালি ফাটা কমায়
সান বার্ন এর কারনে হওয়া কালো দাগ দূর করে
বলি রেখা দূর করতে সাহায্য করে।
ত্বকের যৌবন ধরে রাখে ও সজীব রাখে
চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে থাকে
অ্যালোভেরার অ্যান্টিসেপটিক গুনাগুনও উল্লেখযোগ্য। এলোভেরার পাতার জেল বের ফ্রিজে রাখুন আর অল্প কেটে গেলে বা ক্ষত হলে লাগান। দিনে দুই বা তিন বার লাগালেই ক্ষত আরাম হবে।অতি অল্প খরচে বাজারে এই অ্যালোভেরা পাওয়া যায়। আপনার রূপচর্চার এই ঘরোয়া উপাদানটি আপনাকে সতেজ, সুন্দর আর উজ্জীবিত রাখবে।





শুষ্ক ত্বকের যত্নের কসমেটিক্স এ অ্যালোভেরা থাকে কারণ এটি ত্বককে সজীব করে যা আপনিও বাসায় করতে পারেন। ছুরি দিয়ে অ্যালোভেরার ভিতরের জেল বের করে মুখের ত্বকে লাগালে ত্বক মসৃণ , উজ্জ্বল আর নরম হবে।





বয়সের বাড়ার সাথে আমাদের চামড়ায় ভাজ পড়ে যা আপনি সহজেই রুখতে পারেন এই এলোভেরা ব্যবহার করে কারণ এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ। এই জেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং এর ভিটামিন এ, বি, সি ও এ উপাদান ত্বকের পুষ্টি যোগায়।





রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখতে এটি ব্যবহার করা হয়। ২ টেবিল চামচ ‘অ্যালোভেরা’ জেল আর অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে এই মাস্ক সান বার্ন হয়ে যাওয়া ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।





ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্য অ্যালোভেরা অনেক দরকারি। অ্যালোভেরার ব্যবহারে মাথার ত্বকের পি এইচ ঠিক থাকে আর খুশকিও দূর হয়। ২ঃ ১ অনুপাতে এলোভেরা জেল আর ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে সারা রাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করতে হবে। চুল ‘খুশকি’ মুক্ত থাকবে।





ঠোঁট এর রঙ উজ্জ্বল রাখতে ঠোঁট নরম আর মসৃণ করতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা যায়। নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ঠোঁটে লাগলেই ঠোঁট উজ্জ্বল হবে। এক টেবিল চামচ চালের গুঁড়া আর এলোভেরা জেল মিশিয়ে আস্তে আস্তে এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে ৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। দেখুন ঠোঁট কত ‘উজ্জ্বল’, মসৃণ এবং কোমল হয়ে ওঠে।





অ্যালোভেরা দিয়ে ত্বকের মৃত কোষ দূর করার মাস্ক তৈরি করার জন্য আপনার লাগবে ১ চা চামচ ফ্রেশ এলোভেরা জেল যা ব্লেন্ড করে নিন। এরপর এক চা চামচ ওটমিলের গুড়া আর ১/২ চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাস্কটি মুখে আর গলায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখবেন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন । সপ্তাহে ১ বার এটি ব্যবহার করুন।





এলোভেরার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান একনে সারাতে আর নুতন কোষ জন্মাতে কার্যকর। অ্যালোভেরার জেল আইস কিউব ট্রেতে করে এলোভেরার আইস কিউব তৈরি করে এই কিউব দিনে দু তিনবার আপনার একনেতে ঘষলে একনের সমস্যা কমে যাবে।





ব্রণের সমস্যা দূর করতে এলোভেরার জেল ব্যবহারের নিয়ম –
প্রতিদিন এলোভেরার জেল দিয়ে মুখ ধুতে হবে। প্রথমে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর এলোভেরা জেল নিয়ে ভালো করে ৫ মিনিট সারা মুখে ম্যাসাজ করুন। তাতে করে আপনার ত্বকের সকল ময়লা বের হয়ে যাবে। এবং মৃত কোষও পরিস্কার হয়ে যাবে। তার পর বার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এরপর নরম তোয়াল দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। দিনে ৩-৪ বার করুন। ঘুমানোর আগে মুখ ধুয়ে ঘুমাতে যান। দেখবেন কয়েক সপ্তাহের ভিতর আপনার ত্বকের ব্রণ অনেক কমে গিয়েছে।





চুলে এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম –
এলোভেরা এর তাজা পাতা ভালো করে ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে। তারপর পাতা থেকে জেলি সংগ্রহ করতে হবে। আপনি চাইলে বাজার থেকে এলোভেরা জেলও কিনে ব্যবহার করতে পারেন। এবার চুলের গোড়ায় ও মাথার ত্বকে এই জেল ভালো ভাবে ঘষে ঘষে লাগাতে থাকুন। আর হাত দিয়ে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করতে থাকুন। ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে চুল নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চাইলে এই জেলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ব্যবহার করতে পারেন। এই প্যাক সপ্তাহে ৩দিন ব্যবহার করতে পারেন। আর প্রতিদিন এলোভেরার শরবত পান করুন। আসা করি চুল পড়ার সমস্যা অনেকটাই কমবে।





এলোভেরা জেল কোথায় পাবো?
বাজারে অনেক ব্র্যান্ড এর এলোভেরা জেল পাওয়া যায়। ১৫০টাকা থেকে এর দাম শুরু।
























