









এর আগে দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও সুরক্ষার খাতিরে ভারতে ব্যান করা হয়েছে ভারতে প্রচলিত একাধিক জনপ্রিয় চীনা অ্যাপ (Chinese app)। তবে এবার যে খবরটি বেরিয়ে আসছে সেখানে জানতে পারা যাচ্ছে চীনা অ্যাপের উপর লাগাম টানার পর এবার চীনা মোবাইল হ্যান্ডসেটের উপর লাগাম টানতে পারে ভারত সরকার এমনটাই সূত্রে খবর। যার দরুন আগামী 19 সেপ্টম্বর ডিজিটাল কমিউনিকেশন কমিশন যাকে সংক্ষেপে DCC বলে থাকি সেখানে বৈঠকে তথ্যের গোপনীয়তা ও সুরক্ষা সুপারিশ প্রসঙ্গে এই বিষয়টিকে উত্থাপিত করা হতে পারে এমনটাই জানতে পারা গেছে।





এক্ষেত্রে ডেটা সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে সেই ক্ষেত্রে সংস্থাগুলিকে। সুপারিশ অনুযায়ী মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে এবার থেকে তাদের ক্রেতাদের ডাটা সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে। যদিও এক্ষেত্রে তথ্য সুরক্ষা এই যে বিষয়টি রয়েছে সেটি 2018 সালের ট্রাই এর তরফ থেকে প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। যেখানে এই সুপারিশে বলা হয়েছিল অ্যাপস, অপারেটিং সিস্টেম মোবাইল হ্যান্ডসেট গুলিকে গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষিত করতে হবে এবং যার জন্য এই সংস্থাগুলিকে ভারতে তাদের সার্ভার ইন্সটল করতে হবে।





তবে সেই সময় ICA ট্রাইয়ের এই সুপারিশগুলির বিরোধিতা করেছিল। তবে বর্তমানে যেমনটা আমরা দেখতে পাচ্ছি ভারতের মোবাইল হ্যান্ডসেট বাজারে এখন প্রায় 74% দখল করে রয়েছে চীনা কম্পানি গুলি।তবে এখানেই শেষ নয় এর পাশাপাশি ট্রাই জানিয়েছে এক্ষেত্রে ফেসবুক-টুইটার হোয়াটসঅ্যাপের মতো OTT অ্যাপ্লিকেশনগুলির নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন নির্দেশিকা দরকার নেই।তাই ট্রাই-এর তরফ থেকে এই অ্যাপগুলির পর্যবেক্ষণের উপর জোর দিওয়া হয়েছে। তাছাড়া পরবর্তীকালে প্রয়োজন পড়লে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়েও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।





তবে ট্রাই জানিয়েছে এই প্লাটফর্ম গুলিকে এই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ করা তাদের পক্ষে ঠিক পদক্ষেপ হবে না। কারন বাজারই এগুলোকে বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ করছে,যার ফলে ট্রাই যদি এই প্লাটফর্ম গুলি কে যদি নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে এক্ষেত্রে শিল্পের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যার জন্য ট্রাই বলেছেন নজরদারি চালানো দরকার তবে এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ নয়।এমনকি যখন প্রয়োজন পড়বে তখন সে প্ল্যাটফর্ম গুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, এর বাইরে OTT অ্যাপ সুরক্ষা এবং গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপের কোন প্রয়োজন নেই।
























