









জীবনকে ভালোভাবে চালানোর জন্য কাজ, চাকরি বা ব্যবসা করে প্রত্যেকেই। আর কাজ করার জন্য সুস্থ থাকাটা খুবই জরুরী। সুস্থ থাকতে গেলে কিছু কিছু অভ্যাস বদলাতে হয়। কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। খাওয়া দাওয়া ঠিক করে করতে হয়। এই ক্ষেত্রে বাইরের খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো। বিশেষ করে পেট পরিষ্কার রাখতে হয়, কারন পেট থেকেই হাজার রোগের সুত্রপাত।





আমাদের এই পেট ঠিক রাখতে গেলে যেমন বেশ কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হয়, তেমনই কিছু খাবার আছে যেগুলো অবশ্যই খেতে হবে। এমন কিছু খাবার আছে যা সকালে খালি পেটে খেলে তা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
যেমন সর্দি কাশির ধাত থাকলে সকালে খালি পেটে লেবু আর মধু একসাথে জলের সাথে খেলে উপকার পাওয়া যায়। সেইরকমই সকালবেলা খালি পেটে এক কোয়া রসুন খুব উপকারে আসে। রসুন বিশ্বে বানিজ্যিক ভেষজ হিসাবে সফলতম।





রসুন কৃমি কমাতে সাহায্য করে, এছাড়া শ্বাসকষ্ট কমাতে, হজমে সহায়তা করে। শ্বাসনালী মিউকাস মুক্ত করতে রসুনের অবদান অপরিহার্য। প্রসবের সমস্যায় রসুন ভালো কাজ দেয়। যাদের অ্যাজমা আছে তাদের জন্য রসুন খুবই উপকারী।
হাইপারটেনশন কমাতে রসুনের অনেক অবদান আছে। অনেকের অল্প বয়সে চুল পেকে যায়, চুল পাকানো কমাতে রসুন খুব উপকারী। অনেকেই হাড়ের বিভিন্ন রোগের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য রসুন খুব উপকারী। হাড়ের বিভিন্ন রোগ সারাতে রসুন খুব কার্যকরী।





রসুনের প্রধান সক্রিয় উপাদান হল অ্যালিসিন নামক সালফারযুক্ত জৈব যৌগ। অ্যালিসিন রসুনের গন্ধ ও ভেষজের গুন এই দুইয়ের প্রধান কারন। রসুনকে কাটলে অ্যালিনেজ নামক উৎসেচক অ্যালিইন থেকে অ্যালিসিন তৈরি করে, এই অ্যালিসিন খুব ক্ষণস্থায়ী। রান্না করলে এর ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই ভেষজগুনের জন্য কাচা রসুন বেশি উপকারী।





সকালে এক কোয়া রসুন খাওয়া ঠান্ডা লাগার প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্ত পরিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে রসুন। পরিপার ক্রিয়া উন্নত করতে এক কোয়া রসুন অত্যন্ত কার্যকর।





ভাইরাস ও সংক্রমণজনিত অসুখ প্রতিরোধ করতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রসুন। এমনকি স্নায়বিক চাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে রসুন। মূত্রাশয়ের কাজ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে রসুন। এছাড়া শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রেখে হৃদস্পন্দনের হার নিয়ন্ত্রনে রাখতে রসুনের ভূমিকা অপরিসীম।
























