







করো’নাভাই’রাস কে কেন্দ্র করে গোটা বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছে মহা’মারী। ইতিহাসের পাতায় পড়লেও এই প্রজন্ম মহা’মারী এখনো দেখেনি। লকডাউন থাকায় সমাজের একটি বিশেষ শ্রেণীর মানুষ যে কি কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে তা নিজের চোখে না দেখলে হয়তো বোঝা সম্ভব হবে না।




সমাজের একশ্রেণীর মানুষ এই সময়টাকে যে রকম ভাবে উপভোগ করছে আরেকটি শ্রেণীর মানুষ কিভাবে দিন কাটাচ্ছে তা দেখলে গা শি’উরে উঠবে, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর অবস্থা ভ’য়াবহ। এই রকম একটি ঘটনা উঠে এসেছে কেনিয়ার মোম্বাসা এলাকায়।




পেনিনা বাহাতি কিৎসাও নামে এক মহিলার হৃদ’য়বিদারক একটি ঘটনা উঠে এসেছে বিবিসি সংবাদপত্রের মাধ্যমে।যদিও এই ঘটনাটি কে সামনে এনেছে তার প্রতিবেশী প্রিস্কা মোমানি।এই বিধবা মহিলা সন্তানদের নিয়ে কোনভাবে দিন গুজরান করে লন্ড্রিতে কাজ করে।কিন্তু লকডাউন এর ফলে তার সেই রোজগারও ভাটা পড়েছে।




ঘরে এক ফোঁটা তার চালের দানা নেই। কিন্তু অভুক্ত সন্তানেরা খিদের জ্বা’লায় ছটফট করছে। মা হয়ে চোখের সামনে সন্তানদের খিদে এই ছটফট করতে দেখা যে কতটা ক’ষ্টের তা একজন মা ই জানে।প্রাপ্তবয়স্কদের হয়তো বোঝানো যায়, কিন্তু ছোট ছোট বাচ্চারা কি করে বুঝবে।খিদের জ্বা’লা যে বড় জা’লা।




যেমন গল্পের বইয়ে থাকে ঠিক সেই রকমই ঘটনাটি ঘটেছে।বাচ্চাদের ছটফট করতে দেখে মা রান্না চাপায়,কিন্তু ঘরে তো কিছু নেই তাই খাবারের বদলে পাথর চাপা দেয়।এই ভ’য়ানক দৃশ্য দেখে আঁ’তকে উঠেছে প্রতিবেশী নিজেই।পাথর চাপা দিয়ে মা নিজেই যেন নিজের বুকে ক’ষ্টের পাথর চাপা দিল।আস্তে আস্তে বাচ্চারা ঘুমিয়ে পড়ল।




তারা আর চিৎ’কার করল না খিদের জ্বা’লায়। কিতসা পড়াশুনা ও জানে না।স্বামী মা’রা গেছে আগের বছর গুন্ডাদের হাতে।আট সন্তানের জননী সে।গত কয়েকদিন ধরেই অভুক্ত রয়েছে সে। যদিও এই ধরনের একটা ঘটনা সামনে আসায় তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকে।প্রতিবেশী জানিয়েছেন বাড়িতে চিৎকারের আওয়াজ শুনে তিনি যান তার বাড়িতে।




সেখানে গিয়ে তিনি এই ঘটনাটা নিজের চোখে দেখেন।বাড়িতে দুটো বেডরুম।না আছে বি’দ্যুৎ,না আছে জল। সে যেন এক ভ’য়ঙ্কর অবস্থা।তবে কি’ৎসাকে সাহায্য করবার জন্য প্রতিবেশী ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেনিয়া সরকার ও রেডক্রস কে।




স্বামী মা’রা যাবার পর থেকেই কিতসা অথৈ জলে পড়েছিল আর lockdown এর ফলে তা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়াতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 400 পেরিয়ে গেছে।মৃ’ত্যু হয়েছে 17 জনের।যদিও অনেকের মতে এই ধরনের ঘটনা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে প্রায় প্রতিটি ঘরেই চলছে।সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হলেও তা যথার্থ নয়।




lockdown এর সময়সীমা আর কিছুদিন বাড়লে গোটা বিশ্বের বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর যে কি অবস্থা হতে পারে টা তা কি’ৎসার ঘটনা থেকে কিছুটা অনুমান করা যেতে পারে।বিশ্বের অর্থনৈতিক কাঠামো তলানিতে এসে ঠেকেছে।




কি করে গোটা বিশ্ব করে ক’রোনা কে জয় করে আবার আগের পর্যায়ে পৌঁছাবে,কিভাবে অর্থনৈতিক কাঠামো আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে তা নিয়ে এখন চিন্তিত বিশ্বের উন্নতশীল দেশ থেকে শুরু করে তৃতীয় বিশ্বের দেশ প্রত্যেকেই।তাই সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে এসে এই পরিস্থিতি কে সামাল দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে বারবার প্রশাসনের তরফ থেকে।



















