Home / News / গয়না বন্ধক রেখে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে রাস্তার কুকুরদের খাওয়াচ্ছেন ইনি

গয়না বন্ধক রেখে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে রাস্তার কুকুরদের খাওয়াচ্ছেন ইনি

আমরা অনেকেই জীবজন্তু কে খুব ভালোবাসি কিন্তু আবার অনেকেই তাদের দেখলে দুরচাই করে করে তাড়িয়ে দেয় কিছুদিন আগে দীপাবলীতে দেখা গেছিল কুকুরকে পুজো করা হচ্ছে, এরকম অনেক কিছুই দেখা যায় কেউ কেউ আবার নিজের জন্মদিনে খাওয়ায়, ঠিকই রকমই একটা ঘটনা ঘটেছে আসুন জেনে নিই

ছোটথেকে কুকুর ভালবাসতেন। বড়িতে ১৩টি কুকুর। চেয়েছিলেন রাস্তার কুকুরদের জন্যও কিছু করবেন। কিন্তু এজন্য তো টাকার দরকার?‌ পাবেন কোথায়?‌ স্বামী রাজি হচ্ছিলেন না। তাই নিজের গয়না বিক্রি করে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেন। প্রতিদিন কল্যাণীর রাস্তায় রাস্তায় স্কুটারে চেপে ঘোরেন। তার পর ৪০০ কুকুরকে মাংস–ভাত খাওয়ান নীলাঞ্জনা বিশ্বাস।

বাড়িতে ১৩টি কুকুরের মধ্যে ১২টিকেই রাস্তা থেকে তুলে এনেছিলেন নীলাঞ্জনা। কিন্তু বাকিরা?‌ তাদের জন্যো কিছু করতে মন চাইত ৪৫ বছরের গৃহবধূর। ঠিক করেন, কল্যাণীর রাস্তায় সব কুকুরকে খাওয়াবেন তিনি। যেমন ভাবা, সেই কাজ। কিন্তু বাদ সাধেন স্বামী। খরচ জোগাতে রাজি হননি। সেসবে আটকে থাকেননি নীলাঞ্জনা। নিজের ২ লক্ষ টাকার গয়না বিক্রি করেন। সেই দিয়ে ব্যাঙ্কে থেকে ৩ লক্ষ টাকা ঋণ নেন। শুরু করেন কাজ।

প্রতিদিন স্কুটারে চেপে কল্যাণীর রাস্তায় ঘোরেন আর সারমেয় ভোজন করান। মুরগির মাংস আর ভাত। প্রথমে রাস্তায় প্লাস্টিকের পাত্র পাতেন। তাতে খাবার পরিবেশন করেন। একটিতে জলও দেন। কুকুরদের খাওয়া শেষ হলে প্লাস্টিকের বাসনগুলো তুলে নেন। রাস্তাও পরিষ্কার করে দেন। প্রতিদিন সেসব বাসন নিজের হাতে পরিষ্কার করেন নীলাঞ্জনা। ৪০০ কুকুরের খাবার তো কম নয়।

সেজন্য বাড়িতে আলাদা একটি ফ্রিজ রয়েছে নীলাঞ্জনার। রান্নার জন্য জ্বালানিও মজুত করা থাকে। হার্টের অসুখ রয়েছে। হাই সুগার। তবু ঝড়বৃষ্টি, শীত, গরম যাই হোক, কুকুরদের খাওয়ানো বন্ধ করেন না। খাওয়ানোর পাশাপাশি কুকুরদের চিকিৎসা করান।

ভ্যাকসিনও দেওয়ান। এসবে তাঁকে সাহায্য করে সন্তানরা দীপাবলিতে রাস্তার কুকুরদের রীতিমতো অত্যাচার করে বহু মানুষ। এসব রোখার জন্য নিয়মিত প্রচার চালান তিনি। তিনি চান, কল্যাণী প্রশাসন এবং পুরসভাও এগিয়ে আসুক, যাতে কুকুররা রাস্তায় নিরাপদে রাত কাটায়।

Check Also

কচি কাঁঠালের এঁচোড় দিয়ে চিংড়ি মাছ এইভাবে রান্না করলে তার স্বাদ হবে দারুন! গরম ভাতের সাথে জাস্ট জমে যাবে, রইলো স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি!

আমরা বাঙালি মাত্রই ভোজন রসিক, বিশেষ করে গ্রাম গঞ্জের লোকাল যত খাবার আছে, বিভিন্ন পালা ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *