









গ্যাসের সমস্যা বাঙালির কাছে নতুন কিছু নয়। কমবেশি সকলেরই সমস্যা আছে বা মাঝে মধ্যেই হয়। কিন্তু হেলাফেলা করলে তা মারাত্মক হতে পারে।
১. রসুনঃ
রসুন খাওয়ার পরে অনেকেরই গ্যাসের সমস্যা হয়। রসুনের মধ্যে প্রচুর স্বাস্থ্যকর উপাদান। তাই গ্যাস হবে ভেবে রসুনকে এড়িয়ে যাবেন না। রসুন রান্না করে খান, কাঁচা খাবেন না। তাহলে গ্যাসের ভয় নেই।





২. মটরশুঁটিঃ
শীতের সবজি মটরশুঁটিতে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার। তবে কখনও কখনও পেটে গ্যাস তৈরি করতে পারে। রেহাই পেতে রান্নার আগে সারা রাত মটরশুঁটি জলে ভিজিয়ে রাখুন। সহজে হজম হবে।





৩. পেঁয়াজঃ
কাঁচা পেঁয়াজ খেলে অনেকেরই গ্যাসের সমস্যা হয়। তবে রান্নার পরে পেঁয়াজ খেলে সমস্যা হয় না।
৪. বাঁধাকপিঃ
গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে বাঁধাকপি এক নম্বরে। তবে ফাইবার, আয়রন, ভিটামিন এবং মিনারেলসমৃদ্ধ খাবার। কিন্তু যাদের সহ্য হবে না তাদের না খাওয়াই ভাল। তার বদলে শসা, পালং শাক ইত্যাদি খেলে একই উপকার মেলে।





৫. দুগ্ধ-জাতীয় খাবারঃ
দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার পনির, দই, মাখন এগুলি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই এই খাবারগুলো পেটে গ্যাস তৈরি করে। বিকল্প হিসেবে নারকেলের দুধ, বাদামের দুধ, সয়াবিনের দুধ খাওয়া যেতে পারে।





যে কাজটি করলে আর কখনোই আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকবে না!
আমাদের দেশে গ্যাস্টিকের সমস্যা নেই এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়াই যাবে না। এই সমস্যাটি মূলত ভাজাপোড়া খাবার খেলেই বেশি হয়ে থাকে। অনেকেরই এ সব খাবার খাওয়ার পরে পেট ব্যথা বা বুকে ব্যথা কিংবা বদ হজম হয়। অথচ এই সমস্যা দূর করার জন্য ওষুধ না খেয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিচের যেকোন একটি নিয়ম মানলেই চলবে।





১। আধা ইঞ্চি পরিমাণ কাঁচা আদা নিন। তারপর অল্প একটু লবন মাখিয়ে খেয়ে ফেলুন। আদা খাওয়ার কিছুক্ষণ পর এক কাপ কুসুম গরম পানি খান। গভীর রাতে আর গ্যস্ট্রিকের সমস্যা হবে না। অথবা,





২। এক গ্লাস জল একটি হাড়িতে নিয়ে চুলায় বসান। এর আগে এক ইঞ্চি পরিমাণ কাঁচা হলুদ জলে দিয়ে দিন। জল অন্তত পাঁচ মিনিট ফুটতে দিন। তারপর নামিয়ে আনুন। জল ঠাণ্ডা হলে হলুদসহ খেয়ে ফেলুন। গ্যাস্ট্রিক দৌঁড়ে পালাবে। অথবা,





৩। ওপরের সমস্ত পদ্ধতি ঝামেলার মনে হলে শুধুমাত্র এক গ্লাস জলে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করুন। কখনোই রাতে পেট বা বুক ব্যথা করবে না। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় !! গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কম-বেশি সবারই হয়।





গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলো হল পেটে জ্বালা-পোড়া করা, বদহজম, বমি বমি ভাব, বমি করা, পেটে ক্ষুধা, ক্ষুধা হ্রাস পাওয়া, খাওয়ার পর উপরের পেট বেশি ভরে গিয়েছে অনুভূতি হওয়া ইত্যাদি। খাবার সময়মতো খাওয়া হয়না, বাইরের ভাজা-পোড়া বেশি খাওয়া, জাঙ্কফুড খাওয়া, পরিমাণ মতো পানি না খাওয়া ইত্যাদি কারণে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দেখা দেয়। গ্যাস্ট্রিকের হাত থেকে নিস্তার পেতে জেনে রাখুন কিছু ঘরোয়া উপায়-





আলুর রস
১. গ্যাস্ট্রিক সমস্যা রোধ করার অন্যতম ভাল উপায় হল আলুর রস। আলুর অ্যালকালাইন উপাদান গ্যাস্ট্রিক সমস্যার লক্ষণগুলো রোধ করে থাকে।
২. একটি বা দুটো আলু নিয়ে গ্রেট করে নিন। এর গ্রেট করা আলু থেকে রস বের করে নিন। এরপর আলুর রসের সাথে গরম পানি মিশিয়ে নিন। এই পানীয় দিনে ৩ বার পান করুন। প্রতি বেলায় খাবার ৩০ মিনিট আগে খেয়ে নিন আলুর রস। তবে অন্তত ২ সপ্তাহ পান করুন এই পানীয়।





আদা
১. আদাতে আছে এমন কিছু উপাদান যা গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় জ্বালাপোড়া হলে তা রোধ করতে সাহায্য করে। আদা খেলে বমি সমস্যা, বদ হজম, গ্যাস হওয়া কমে যায়।
২. আদার রসের সাথে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। দুপুরে ও রাতে খাওয়ার আগে এটি খেয়ে নিন।
৩. আদা কুচি করে জল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ১০ মিনিট ডেকে রাখুন, এরপর সামান্য মধু মিশিয়ে চায়ের মতো বানিয়ে নিন। এই পানীয়টি দিনে ২/৩ বার পান করুন উপকারিতা পেতে।





৪. আপনি চাইলে আস্ত আদা ধুয়ে কেটে চিবিয়েও খেতে পারেন।
দই
১. প্রতিদিন ২/৩ চামচ দই খেয়ে নিন।
২. দই আমাদের পাকস্থলীকে `এইচ পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া` থেকে রক্ষা করে যা গ্যাস্ট্রিক হওয়ার অনতম কারণ। তাছাড়া দই আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৩. আপনি চাইলে কলা, দই ও মধু একসাথে পেস্ট করে খেতে পারেন দ্রুত গ্যাস্ট্রিক সমস্যা রোধ করার জন্য।
























