









মা’রণভাইরাস করোনা চারদিকে ছ’ড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণগুলো হলো জ্বর, সর্দি, কা’শি, গলা ব্য’থা ও শ্বা’সক’ষ্ট। এই ভাইরাসের হা’নায় যেকোনো মানুষের শরীরের অবস্থা খা’রাপ হয়ে যেতে পারে। তবে কিছু কিছু মানুষের শরীরে এই ভাইরাস বাসা বাঁ’ধলেও কোনো ল’ক্ষণ প্র’কাশ পায় না।





আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবে’দনে জানা যায়, করোনা কিছু কিছু মানুষের শরীরে গো’পনে আ’ক্র’মণ করে আবার গো’পনেই চলে যায়। তবে আপনি কয়েকটি ল’ক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন, কোনো সময় করোনায় আ’ক্রা’ন্ত ছিলেন কি না। ইয়াহু নিউজের এক প্রতিবে’দনে এমন কয়েকটি ল’ক্ষণের কথা বলা হয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-





‘বেড কো’ল্ড’র আ’ক্র’মণ : করোনার শুরুতে আপনি যদি ঠাণ্ডা বা সর্দিতে আ’ক্রা’ন্ত হন; তাহলে আপনি করোনায় আ’ক্রা’ন্ত হয়ে থাকতে পারেন। করোনার আর সাধারণ সর্দির মধ্যে পার্থক্য খুবই কম। তবে এগুলোর সঙ্গে যদি জ্বর, কা’শি, শ্বা’সক’ষ্ট, ক্লা’ন্তি, পেশি বা শরীর ব্য’থা, মাথা ব্য’থা, স্বাদ বা গ’ন্ধের ক্ষ’তি, গলা ব্য’থা, নাক দিয়ে পানি পড়া, বমি বমি ভা’ব, ডায়রিয়া থাকে, তাহলে ধ’রে নিতে পারেন আপনি করোনায় আ’ক্রা’ন্ত হয়ে থাকতে পারেন।





গন্ধ বা স্বাদ অ’নুভূতি হা’রানো: গ’ন্ধ, স্বা’দ হা’রিয়ে ফে’লা বা কমে যাওয়া করোনার একটি বড় ল’ক্ষণ হয়ে দাঁ’ড়িয়েছে। যদিও এই ল’ক্ষণটি সবার ক্ষেত্রে ঘ’টে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসক ড. অ্যাডালজা জানিয়েছেন, স্বা’দ হা’রিয়ে ফে’লা করোনার সঙ্গে দৃ’ঢ়ভাবে যু’ক্ত।আমেরিকান একাডেমি অব ও’টো’লারি’ঙ্গো’লজি-হেড অ্যান্ড নে’ক সা’র্জা’রির প্রাথমিক ত’থ্যে দেখা গেছে যে, করোনা রোগীদের গ’ন্ধ অ’নুভূ’তি হা’রাতে থাকা ২৭ শতাংশ রোগীর প্রায় সাত দিনের মধ্যে ‘কিছুটা উন্নতি’ হয়েছিল, তবে বেশির ভাগের মধ্যেই ভালো হয়ে যায় ১০ দিনের মধ্যে।





শীত, ফ্লু’, সাই’নাস ই’নফে’কশন বা মৌসুমি অ্যা’লার্জির মতো শ্বাস-প্রশ্বাসের অন্যান্য রোগেও অস্থায়ীভাবে গ’ন্ধ বা স্বা’দের অ’নুভূ’তি হা’রিয়ে ফে’লতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ল’ক্ষণটি কিছু লোকের মধ্যে দীর্ঘদিন থাকতে পারে। করোনামু’ক্তির পর কয়েক মাসও এটি থাকতে পারে।





চুল পড়ে যাওয়া: করোনার থা’বা থেকে মু’ক্ত হওয়ার পর অনেকেরই চুল পড়ে যায় বলে প্রতিবে’দনে বলা হয়। করোনাজয়ী অনেকেই এমন ত’থ্য জানিয়েছেন। করোনা জয়ের পর অস্বা’ভাবিকভাবে বেশি চুল পড়তে পারে। অভিনেত্রী অ্যালিসা মিলানো কয়েক মাস ধ’রে করোনার উ’পস’র্গে ভু’গছিলেন। আগস্টের গো’ড়ার দিকে নিজের একটি ভিডিওতে চুল পড়ে যাওয়ার ঘ’টনা তু’লে ধ’রেন তিনি।এটি টে’লো’জেন এ’ফ্লুভি’য়াম হিসেবে পরিচিত এক অবস্থার জন্য চুল পড়ে যেতে পারে। গ’র্ভাব’স্থা, চ’রম মা’নসি’ক চা’প, ওজন হ্রা’স, করোনাসহ অনেকগুলো কারণেই চুল পড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসক ডা. অ্যাডালজা।





মাঝে মাঝে শ্বাসক’ষ্ট অ’নুভব: জ্যামা (জেএএমএ) জা’র্নালে প্রকা’শিত গবেষণায় দেখা গেছে, করোনামু’ক্ত মানুষদের মধ্যে শ্বাসক’ষ্টসহ ভাইরাসের প্র’ভাব থাকতে পারে। এটি কত দিন স্থায়ী হতে পারে তা পরিষ্কারভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে এটি ফু’সফু’সের দীর্ঘস্থায়ী প্র’দা’হের কারণে ঘ’টে। মার্কিন চিকিৎসক ডা. শ্যাফনার বলেছেন, আপনার যদি এমনটা হয়, তবে ভালো। সম্ভবত আগে আপনি যে অসুস্থতার অভিজ্ঞতা পেয়েছিলেন, তা ছিল করোনার। এ রকম হলে তিনি দ্রু’ত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।





কাশি আছে; কিন্তু যাচ্ছে না: করোনায় আ’ক্রা’ন্ত হয়ে সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর কাশিও থেকে যেতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী কা’শিও গো’পনে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে যাওয়ার লক্ষণ। জ্যা’মা স্টা’ডিতে অংশ নিয়েছে এমন লোকেরা এই ত’থ্য জানিয়েছে। ড. অ্যাডালজা বলেছেন, কাশি প্রায়শই শুষ্ক থাকে, যার অর্থ ক’ফ বা শ্লে’ষ্মা’র মতো কিছুই আসে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি জানিয়েছে, করোনামু’ক্ত হয়ে যাওয়ার পর ১৪ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত কাশি থেকে যেতে পারে। সুস্থ হয়ে যাওয়া ৪৩ শতাংশ মানুষের এমন হয়েছিল।





আপনি সত্যি সত্যিই ক্লা’ন্ত: জ্যামা স্টাডি অ’নু’সারে, কোনো ব্যক্তির করোনা হওয়ার পরে এটি সবচেয়ে বড় স্থায়ী প্রভা’বগুলোর মধ্যে একটি। এই সমী’ক্ষায় দেখা গেছে যে ৫৩ শতাংশ রোগী জানিয়েছেন, প্রথমবার ভাইরাসের লক্ষ’ণগুলো দেখানোর প্রায় ৬০ দিন পর পর্যন্ত ক্লা’ন্তি থেকে যায়।ড. অ্যাডালজা বলেছেন, আমরা এমন কিছু মানুষকে দেখেছি, যাদের হালকা অসু’স্থতা ছিল। কিন্তু অনেক সময়ের জন্য ক্লা’ন্তি ছিল। তবে এমনটা কেন হচ্ছে, সেই বিষয়ে পু’রোপু’রিভাবে কিছুই জানা যাচ্ছে না। মনে রাখবেন, ক্লা’ন্তি আসলেই একটি সাধারণ সমস্যা। অনেকগুলো বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার ল’ক্ষণ হতে পারে এটি (অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুম না পাওয়াসহ)। চুল পড়ার মতো, যেসব মানুষ করোনার কারণে ক্লা’ন্তি অ’নু’ভব করে, তাদেরও অতীতে ভাইরাসের অন্যান্য ল’ক্ষণ দেখা যেত বলে জানিয়েছেন ড. অ্যাডালজা।





কিছু অস্বা’ভাবিক ল’ক্ষণ: করোনা থেকে সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর কিছু অস্বা’ভাবিক লক্ষণ সারা জীবন থেকে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জো’র দিয়ে বলেছেন যে করোনা এখনো একটি নতুন ভাইরাস। চিকিৎসকরা এবং বিজ্ঞানীরা সর্বদা এটি সম্পর্কে আরো জানছেন। ডা. অ্যাডালজা বলেছেন, ভাইরাসের স্থায়ী প্র’ভাব নিয়ে গবেষণা চলছে।





এটি উল্লেখ করার মতো বিষয়, ভাইরাস সং’ক্র’মণের পরে কিছু মানুষ হৃ’দরো’গে আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন। জ্যা’মা কা’র্ডিও’লজিতে প্রকা’শিত এক নিব’ন্ধের বরাত দিয়ে ইয়াহু নিউজ বলছে, করোনামু’ক্ত ১০০ জনকে নিয়ে একটি ছোট্ট গবেষণা করা হয়। এ সময় প্রাক্তন রোগীদের ওপর এমআরআই করা হয়েছিল। তখন দেখা গেছে, ৭৮ শতাংশ মানুষের কোনো ধরনের অস্বাভাবিক হৃদরোগ ছিল না। অথবা পূর্বে যা ছিল, তার চেয়েও আলাদা। ডা. শ্যাফনার বলেছেন, করোনামুক্তির পর এ’লোমে’লো হা’র্টের ধ’ড়ফ’ড়ানিসহ বিভিন্ন সমস্যা থাকতে পারে।





প্রতিবে’দনে বলা হয়, অবশ্যই এমন আরো অনেক জ’টিল’তা রয়েছে, যা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা এখনো জানেন না। যদি মনে হয়, আপনার করোনা আছে, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করার কথা বলেছেন ডা. শ্যাফনার। সূত্র : ইয়াহু নিউজ।
























