পূর্বে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলগুলিতে মোবাইল নিয়ে আসা ছিল একেবারে নিয়মবিরুদ্ধ কাজ। এজন্য কঠোর দন্ড দেওয়ার নির্দেশ ছিল স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
তবে করোনা পরবর্তী কালে সুরক্ষার খাতিরে স্কুলে একাদশ দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল ফোন নিয়ে আসার ছাড়পত্র মেলে।
কিন্তু সমস্যা হল সুরক্ষা নয় বরং বিনোদনের স্বার্থেই এর দুর্ব্যবহার করে চলেছেন ছাত্রীরা। কিছুদিন আগেই অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে,
ভিডিও বানিয়ে কিছু মেয়েকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার কথা চলছিল। তবে অভিভাবক এবং ছাত্রীদের সম্মিলিত ক্ষমাপ্রার্থনায় সেই আর্জি স্বীকার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। স্যোশাল মিডিয়ার দৌলতেই এই খবরগুলি জানতে পারা যায়। বলা বাহুল্য, স্যোশাল মিডিয়া যদি না থাকত তবে এই ধরনের কাজ করার অভিপ্রায়ও থাকতনা ছাত্রীদের। টিভির পর্দায় বা খবরের কাগজে জায়গা না করতে পারলেও সেই ঘটনাগুলি জানার সুযোগ পায় নেটিজেনরা। ফলতঃ একদিকে যেমন ইন্টারনেট আশীর্বাদ অন্যদিকে অভিশাপও বটে। সম্প্রতি কিছু ছাত্রীর নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আর তা নিয়েই সরগরম নেটপাড়া। লাল পাড় সাদা শাড়ির ইউনিফর্ম পরনে। পোশাকে কোনো খুঁত নেই। তবে যে চুলে বেনী দোলার কথা সেই খোলা চুল ফুরফুর করে উড়ছে হাওয়ায়। ক্লাসরুমের বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে তাঁরা।
শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে ফাঁকা ক্লাসরুমে নাচছে শিক্ষার্থীরা। স্কুলে নাচাটা দোষের নয়, রবীন্দ্র জয়ন্তী, শিক্ষক দিবসে নাচার চল তো কবেকার। তবে বলিউডের হিন্দি আইটেম গানে নাচার সঙ্গে তো তার একটা পার্থক্য থেকে যায় বৈকি! ‘বাবুজি জরা ধীরে চলো’ নামক জনপ্রিয় গানের অশ্লীল ইঙ্গিতে নাচতে দেখা গিয়েছে শিক্ষার্থীদের।এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর জানা যায় কোচবিহারের এনএনএম হাই স্কুলের পড়ুয়া তাঁরা। এদিকে ততক্ষনে স্যোশাল মিডিয়ায় কমেন্ট করে নেটিজেনরা ছাত্রীদের বরখাস্ত করার দাবি তুলে ফেলেছে। প্রধান শিক্ষক রামকৃষ্ণ প্রামাণিকও কথা দিয়েছেন তিনি ছাত্রীদের শনাক্ত করে যত শীঘ্র সম্ভব শাস্তি দেবেন। পাশাপাশি তিনি এ ও জানিয়েছেন বিদ্যালয়ে ফোনের অপব্যবহার যাতে না হয় সেই বিষয়টি নজর রাখবেন তিনি, প্রয়োজনে ফোন আনাও বন্ধ করা হতে পারে।